• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে: মরিনহো-গেরো কাটাতে পারবেন ক্লপ?

    কিক অফের আগে: মরিনহো-গেরো কাটাতে পারবেন ক্লপ?    

    ২০১৮-১৯ প্রিমিয়ার লিগে দুইদলের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা একেবারেই বিপরীত। ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে শীর্ষস্থান নিয়ে যুদ্ধ চলছে ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুলের। আর মৌসুমের শুরু থেকেই হার, ড্রয়ের মাঝেই ঘুরপাক খেতে থাকা হোসে মরিনহোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আছে টেবিলের ছয় নম্বরে। কিন্তু লড়াইটা যখন ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল দুই দলের, তখন এসব কেতাবি পরিসংখ্যান আর ধোপে টেকে না।

    কবে, কখন, কোথায়? 
    রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় অ্যানফিল্ডে মুখোমুখি হবে লিভারপুল এবং ইউনাইটেড। সাম্প্রতিক সময়ে হয়ত এবারই লিভারপুল বনাম ইউনাইটেড ম্যাচে ‘ফেভারিট’-এর পাল্লাটা ভারী ‘অল রেড’দের দিকে।

     

    মরিনহো-ক্লপের মতের ভিন্নতার মূলে শিরোপা

    পুরো ক্যারিয়ারে শিরোপা জেতাটাকে রীতিমত অভ্যাসেই পরিণত করেছিলেন তিনি। ইউনাইটেডে কাটানো সময়টায় প্রথম মৌসুমে শিরোপা ধরা দিয়েছিল। দ্বিতীয় মৌসুম কেটেছে হতাশায়, আর চলতি মৌসুমে আবারও পথ হারিয়েছে ইউনাইটেড। তবে শিরোপা জেতাকেই ফুটবলের মূল উদ্দেশ্য মনে করেন না মরিনহো, “অবশ্যই আমার শিরোপা জেতাটা জরুরী।বিশেষ করে আপনার দলের যখন সামর্থ্য থাকবে তখন তো শিরোপার জন্যই খেলা উচিত। সংবাদপত্র তেমন একটা না ঘাঁটলেও আমার জানামতে প্রিমিয়ার লিগ জয়ই লিভারপুলের এই মৌসুমের লক্ষ্য। বলার জন্য বলা এক জিনিস, কিন্তু সামর্থ্য থাকলে এসব বিষয় নিয়ে কথা না বলাটাই বরং বোকামি। মৌসুমের শুরু থেকেই নিজেদের লক্ষ্য ঠিক করে তাতে অটুট থাকা দরকার। আমার মনে হয় ইয়ুর্গেন সেটাই করেছেন।”

     

     

    তবে মরিনহো যতই বলুন, ক্লপ অবশ্য এসব গায়ে মাখাচ্ছেন না। ভাল খেলে যাওয়াটাই তার দর্শনে ফুটবলের মূল লক্ষ্য, “হ্যাঁ শিরোপা জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমার মনে হয় না এটার জন্য কোনও বাধ্য বাধকতা থাকা উচিত। দলকে ভাল খেলানোর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবটাই আমি করতে রাজি এবং আমি এমনটাই করে আসছি। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের কথাই ধরা যাক। আমরা ফাইনাল খেলেছি। কারও কাছে যদি মনে হয় গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে আমরা ব্যর্থ, তাহলে সেটা একান্তই তাদের চিন্তাধারা। তবে আমি কখনোই বলব না যে আমরা ব্যর্থ হয়েছি (গত মৌসুমে)। দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়েছি আমরা গতবার। এসব আসলে যার যার দর্শনের ওপর।”

     

    দলের খবর

    মৌসুমের অন্যতম ‘হাই-ভোল্টেজ’ ম্যাচের আগে দুইদলেরই আছে ইনজুরির লম্বা তালিকা। লিভারপুলের রক্ষণ সাজাতেই হিমশিম খাবেন ক্লপ। কলারবোন ভেঙে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন লিভারপুল ডিফেন্ডার জোয়েল মাতিপ, হাঁটুর ইনজুরির কারণে নেই জো গোমেজও। নাপোলির বিপক্ষে পায়ে ব্যথা পাওয়ায় নিশ্চিত নয় রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের খেলাও। মাঝমাঠ, আক্রমণে অবশ্য ফাবিনহো, মোহামেদ সালাহদের সবাইকেই পাবেন ক্লপ। লিভারপুলের মত অবশ্য শুধু রক্ষণ নয়, ইউনাইটেডের ইনজুরি সমস্যা প্রায় সবখানেই। ইনজুরির কারণে রক্ষণে নেই ভিক্টর লিন্ডেলফ, ডিয়োগো দালত, ক্রিস স্মলিং। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়ায় অনিশ্চিত মার্কোস রোহো খেলাও। থাকছেন না এই মৌসুমে ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ গোলদাতা অ্যান্থনি মার্শিয়ালও।

     

     

     

    সম্ভাব্য মূল একাদশ

    লিভারপুল (৪-৩-৩): অ্যালিসন; মিলনার, ভ্যান ডাইক, লভ্রেন, রবার্টসন; ফাবিনহো, ওয়াইনাল্ডাম, কেইটা; সালাহ, ফিরমিনো, মানে

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৪-৩-৩): ডি গেয়া; ইয়ং, জোনস, বাই, শ; ফ্রেড, মাতিচ, পগবা; লিনগার্ড, লুকাকু, রাশফোর্ড

     

    সংখ্যায় সংখ্যায়

    • ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা এবং প্রিমিয়ার লিগ মিলিয়ে মোট ২০০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। ইউনাইটেডের জয় ৮০টি, লিভারপুল জিতেছে ৬৫ টি এবং ড্র হয়েছে ৫৫টি ম্যাচ।
    • আগামীকাল লিভারপুলকে হারালে ২০১৬ সালের পর ‘অল রেড’দের টানা দুই ম্যাচে হারাবে মরিনহোর দল।
    • ইউনাইটেডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ৮ ম্যাচে জয়হীন লিভারপুল (৩ ড্র, ৫ হার)।