• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    সৌম্য বলছেন, শর্ট বল খেলাটা 'সাহসের ব্যাপার'

    সৌম্য বলছেন, শর্ট বল খেলাটা 'সাহসের ব্যাপার'    

    প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে উড়ে যাওয়ার পর ম্যাচ শেষেই সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণ নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। সেই প্রশ্ন তাদের কাছেই করতে হবে। সেই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেননি সাকিব, আসেননি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিনও। অগত্যা দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সৌম্য সরকারের কাছেই জানতে চাওয়া হলো ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ। বিশেষ করে টপ অর্ডারের শর্ট বলে একইভাবে আউট হওয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সৌম্য অবাক করে দিয়েই বললেন, শর্ট বল খেলাটা ‘সাহসের ব্যাপার’ বলেই মনে করেন।

    তামিম, লিটন, সৌম্য-প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের আউটের ধরন ছিল একটাই, ক মিড উইকেট ব শর্ট বল। ব্যাটসম্যানরা বার বার একই ভুল কেন করেছে, এমন প্রশ্নে সৌম্যের উত্তরটা ছিল বিস্ময় জাগানোর মতো, ‘আমার কাছে মনে হয় ওরা শর্ট বল করেছে, আমরা দৌড়ে মারতে গিয়েছি। এটা সাহসের ব্যাপার। শর্ট বলের মধ্যেও জোরে বলে মারতে গিয়েছি। আমরা পিছিয়ে গিয়ে আউট হলে বলা যেত যে আমরা শর্ট বলের ভয়ে আউট হয়েছি। আমরা যদি বুদ্ধি খাটিয়ে প্লেসিং করার চেষ্টা করতাম, টাইমিং করে খেলতাম তাহলে ভালো হত।’

    শর্ট বল খেলা সাহসিকতা না দুর্বলতা, এমন প্রশ্নে সৌম্য স্বীকার করলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুতগতির বোলারদের সঙ্গে আরেকটু ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নিতে হবে তাদের, ‘লাস্ট কয়েক ম্যাচে আমরা শট বলে তেমন আউট হইনি। আর আমাদের যেই কন্ডিশনে খেলা হয় সেখানে বেশিরভাগ স্পিন খেলি, এখান হঠাৎ যখন আপনি একজন কুইক বোলারকে খেলতে আর্লি স্টেইজে একটু সমস্যা হয়। ওটার সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’

    কিন্তু সেদিন অমন হারের পর সাকিব আল হাসান কী বলেছিলেন ড্রেসিংরুমে? সৌম্য বললেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সাথে যদি আমরা আরেকজন রান করত তাহলে ১৩০ এর জায়গায় ১৬০ হয়ে যেত। তখন খেলার ধরন অন্য রকম হতে পারতো। বোলারদের আত্মবিশ্বাসও বেশি থাকতো। তারপরও হোপ ওদের হয়ে অনেক ভালো ব্যাট করছে। পাওয়ারপ্লেতে অনেক রান করেছে ওরা। আমরা যদি সেখানে ডট বলের সংখ্যা বেশি বাড়াতে পারতাম, তাহলে হয়তো খেলাটা আরেকটু দূর পর্যন্ত যেত।’

    সৌম্য স্বীকার করলেন, পরের ম্যাচে আরেকটু বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতে হবে তাদের,‘সবাই তো জানি ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল, এই ফরম্যাটে। আমরাও যে খারাপ করছি তা না। চেষ্টা তো করছি তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার। হয়তো বা কোন একটা ভুল ছিল। কোন বুদ্ধির ঘাটতি ছিল হয়তো। আমরা আর্লি তাদেরকে চার্জ করতে গিয়েছি। আমরা যদি বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতাম, পেসারদের প্রথম কিছু ওভার যদি আমরা হ্যান্ডেল করতাম, তাহলে শেষের দিকে আমরা রান আরও কাভার করতে পারতাম। ’

    এই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে গিয়েই তাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। আগামীকাল শুধু বুদ্ধি খাটানো নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু দরকার হবে বাংলাদেশের।