আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের পর ব্যাটসম্যানকে ডেকে পাঠালেন ইনগ্রাম
বিগব্যাশে ব্রিসবেন হিটের জেমস প্যাটিনসনের বিপক্ষে রান-আউটের আবেদন প্রত্যাহার করে তাকে আবার ব্যাটিংয়ের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারস অধিনায়ক কলিন ইনগ্রাম। পপিং ক্রিজের ভেতরে ব্যাট নেওয়ার পরও টিভি আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন প্যাটিনসনকে। অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে সেই মুহুর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল টিভি আম্পায়ারের, পুরো ব্যাপারটা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। পেসার বেন লাফলিনের কথা শুনে পরে আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ইনগ্রাম।
বিগ ব্যাশের উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে ৬ উইকেটের স্কোরের সময় প্যাটিনসনের বিপক্ষে অ্যাডিলেডের রান-আউটের আবেদন গিয়েছিল টিভি আম্পায়ারের কাছে। টিভি রিপ্লে পরিস্কার দেখিয়েছে, উইকেটকিপার স্টাম্প ভাঙার আগেই ক্রিজে ঢুকে গিয়েছিলেন প্যাটিনসন। বড় পর্দায় রিপ্লে দেখানোর পর তিনি স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। সে সময়ই টিভি আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত ভেসে আসে।
গোলমাল তৈরি হয় এরপরই। দুই অনফিল্ড আম্পায়ার পল উইলসন ও সাইমন ফ্রাই, অ্যাডিলেড ফিল্ডার, ব্রিসবেনের দুই ব্যাটসম্যানকে সে সিদ্ধান্ত রীতিমতো বিস্মিতই করেছিল। সিদ্ধান্তটা মানতে পারেননি ব্রিসবেন অধিনায়ক ক্রিস লিন, তিনি ছুটে গিয়েছিলেন মাঠের পাশে চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে। খানিক বাদে ‘দুর্ভাগ্য’ মেনে নিয়ে ডাগ-আউটের দিকে হাঁটাও দিয়েছিলেন প্যাটিনসন। তবে অনিশ্চয়তা কাটেনি তখনও।
আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে এরপর আবেদন প্রত্যাহার করেছেন ইনগ্রাম। সেটা করতে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন পেসার বেন লাফলিন, যিনি পরে বলেছেন, “আমি নিশ্চিত ছিলাম না কেন আউট দেওয়া হয়েছিল। তবে আমার মনে হয়, ‘কমন-সেন্স’ খাটানো উচিৎ এসব ক্ষেত্রে, শেষ পর্যন্ত আমরা সেটাই করেছি।
“আমাদের শেষ অপশন এটাই ছিল, আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া। আমাদের অধিনায়ক কলিনকে (ইনগ্রাম) গিয়ে বলেছি, ‘এটা ভুলে গিয়ে সামনে এগুনো উচিৎ’। অবশ্য ক্রিস লিন ২০০ রানে ব্যাটিং করলে ব্যাপারটা নিয়ে আমি দুইবার ভাবতাম। আমরা ভাল অবস্থায় ছিলাম, এটা তাই ঠিকই আছে!”
তবে ব্যাপারটা কিভাবে সামলাবেন, সেটা নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত ছিলেন না ইনগ্রাম। এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতিতে পরেননি তিনি। ইনিংস-বিরতিতে তিনি বলেছেন, “এরকম আসলে সচরাচর দেখা যায় না। বেন লাফলিনের সঙ্গে কথা বলার পরই সে প্রস্তাবটা দিয়েছিল। আমরা শুধু বিলম্ব কাটিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা সবাই দেখেছি, এটা আউট ছিল না। ছেলেদের এটা (আবেদন প্রত্যাহার) নিয়ে সমস্যা নেই।”
এরপর স্টাম্পড হওয়ার আগে ‘দ্বিতীয় জীবন’-এ আর চার রান যোগ করেছেন প্যাটিনসন। শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিতেছে অ্যাডিলেড।