• " />

     

    'আমার নেগেটিভ নিউজ মানুষ বেশ ভালো খায়'

    'আমার নেগেটিভ নিউজ মানুষ বেশ ভালো খায়'    

    কথাটা সাকিব আল হাসান বলেছিলেন আগের ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পরেই। উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেছিলেন, অন্যদের ব্যাটিং নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। সেটা অন্য ব্যাটসম্যানরা ভালো বলতে পারবেন। এরপর সাকিব কাল অনুশীলনও করেননি। ব্যাটসম্যানদের ওপর রাগ পুষে রেখেছেন কি না, এমন একটা প্রশ্ন ভাসছিল হাওয়ায়। তবে সাকিব আজ তাঁর স্বভাবমতোই রসিকতার সুরে এসব খারিজ করে দিয়েছেন। বরং রসিকতা করে বলেছেন, তাঁকে নিয়ে নেতিবাচক কিছু মানুষ ‘বেশি খায়’।

    আজ একটু শুরু থেকেই সংবাদ সম্মেলনে সাকিব খোঁচা মারার ‘মুডে’ ছিলেন। শুরুতে এসেই বললেন, সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর আসবেন না। প্রশ্নের মধ্যেও রসিকতা করে অনেক বার। তবে আগের ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ওরকম মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর সাকিব দিলেন মোক্ষম খোঁচাটা, ‘কোন বার্তাই ছিল না (ব্যাটসম্যানদের প্রতি)। কারো সঙ্গে কথা হয়নি। যেটা হয়েছে, ব্যাটসম্যানদের দোষ দিয়ে আসিনি। উনাকে (শামীম আশরাফ চৌধুরী) বলেছি, এটা কোন নেগেটিভ ইস্যু না, এবং ফান করে বলেছি। পুরা উত্তরটা তো আপনারা লিখবেন না বা বলবেন না।শুধু ওই’......ওই নেগেটিভ নিউজটা আসে কীভাবে আরকি। কারণ আমার নেগেটিভ নিউজ মানুষ বেশ ভালো খায়। আমিও পছন্দ করি। কারণ আমি মনে করি এটা আমাকে ভাল করার জন্য এটলিস্ট একটু হলেও প্রেরণা যোগায়।’

    কথাটা মজা করে বললেও সাকিব আগেও অনেক বার নানান কারণে আলোচনা-সমালোচনায় এসেছেন। সেটা নিয়ে নিজের আবেগটাও গোপন করার চেষ্টা করেননি। আজ জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই ইতিবাচক দিকগুলোই আগে দেখবেন। আগের ম্যাচে বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়াটাই বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে তাঁকে, ‘আমার কাছে মনে হয় গত ম্যাচ থেকে ব্যাটসম্যানরা অনেক শিক্ষা নিয়েছে। প্রথম ম্যাচে যেটা হয়েছে ১৪০ কিমিতে বল আসছে ওটাকে আমরা ১৮০ তে মারতে গিয়েছি। এখন ১৪০ এ আসছে ওটাই আমরা পেসটা ইউজ করেছি। আমার কাছে মনে হয় অনেক সেন্সেবল একটা চিন্তা ব্যাটসম্যানরা করেছে। খুবই রাইট গেম প্লান করেছে। ভেবেছে এই পেসটা ইউজ করতে পারলে রান করা সম্ভব। যেটা আজ লিটন করে দেখিয়েছে।’

    প্রশ্ন এলো তাঁর নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়েও। কাল অনুশীলন করেননি, খানিকটা জ্বর জ্বর ভাব ছিল। আজও সংবাদ সম্মেলনে কাশছিলেন, বোঝা যাচ্ছে ডিসেম্বরের ঠাণ্ডা বেশ কাবু করে ফেলেছে তাঁকে। তার ওপর সাকিব জানালেন, খানিকটা পেটের পীড়াও ছিল তাঁর। তবে সাকিব আরও একবার দেখালেন, শারীরিক বা মানসিকভাবে অবস্থা যা-ই থাকুক না কেন, নিজের সেরাটা বরাবরেই চাপের মুখে বেরিয়ে আসে তাঁর।