নির্বাচনে সাবেক খেলোয়াড়দের যারা জিতলেন, যারা হারলেন...
ক্রীড়াঙ্গনের তো বটেই, দেশের অনেকের চোখ ছিল এবারের নড়াইল-২ আসনে। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে মাশরাফি বিন মুর্তজা বিপুল ব্যবধানেই জিতেছেন। তবে মাশরাফি ছাড়াও এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন আরও কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন, আবার কেউ বড় ব্যবধানে হেরেছেন।
নড়াইল-২ আসনে এবার ২ লাখ ৮৪ হাজার ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৭১ হাজার ২১০ ভোটই পেয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মাশরাফি। কাছাকাছি থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদুজ্জামান পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮৩ ভোট। মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সময়ই নির্বাচন করে জয়ী হলেন মাশরাফি। এর আগে শ্রীলঙ্কার হয়ে অবসর নেওয়ার আগেই সাংসদ হয়েছিলেন মাতারা হারিকন সনাৎ জয়াসুরিয়া।
নাঈমুর রহমানের দুর্জয়ের জন্য এই নির্বাচন অবশ্য নতুন নয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও ছিলেন সাংসদ, এবার মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লিগের হয়ে লড়ে বড় ব্যবধানে জিতেছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক। ২ লাখ ৫১ হাজার ২৫১ ভোট পেয়েছেন দুর্জয়, কাছাকাছি থাকা বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আবদুল হামিদ পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৪৭ ভোট।
আবদুস সালাম মুর্শেদীও একসময় ফুটবলে মাঠ কাঁপিয়েছিলেন। মোহামেডানের হয়ে তাঁর করা এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও ভাঙতে পারেনি কেউ। পরে ব্যবসায়ী হয়েছেন, বাফুফের সহসভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন, এরপর এবার জাতীয় নির্বাচনে খুলনা-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। ২ লাখ ২৩ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মুর্শেদী, কাছাকাছি থাকা বিএনপির আজিজুর বারী হেলাল পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৮৭ ভোট।
তবে সবার ভাগ্য একই রকম ছিল না। সাবেক ফুটবলার ও জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ উদ্দিন ভোলা-৩ আসন থেকে লড়েছিলেন এবার। তবে মাত্র ২৫০২ ভোট পেয়ে হেরেছেন বড় ব্যবধানে। আড়াই লাখ ভোট পেয়ে ওই আসন থেকে জয়ী হয়েছেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।