অভিশপ্ত ২০১৮ ভুলে যেতে চান সাব্বির
কঠিন সময় কাকে বলে, সাব্বির রহমান এখন টের পাচ্ছেন ভালোমতোই। চার মাস হলো, জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধ। আরও মাস দুয়েকের জন্য বন্ধই থাকবে জাতীয় দলের দুয়ার। কিন্তু এর মধ্যে যে ফর্মও হারিয়ে ফেলেছেন, জাতীয় লিগের পর বিসিএলেও রান নেই। ২০১৮ সালটা তাই ভুলেই যেতে চাইছেন সাব্বির। নতুন বছরে বিপিএল দিয়েই সবকিছু শুরু করতে চান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন ভক্তকে নিগৃহীত করার জন্য গত সেপ্টেম্বরে ছয় মাস নিশিদ্ধ হয়েছিলেন সাব্বির। তাঁর জন্য সেই অভিজ্ঞতা অবশ্য নতুন কিছু নয়, গত বছরেই ঘরোয়া লিগ থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন ছয় মাস। এর মধ্যে জাতীয় লিগে ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন, একটি ৯৯ রানের ইনিংস ছাড়া আর কোনো ফিফটি নেই। এরপর বিসিএলের তিন ম্যাচেও ছয় ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি, সর্বোচ্চ ৫৬।
সাব্বির রহমান তাই অভিশপ্ত ২০১৮ সালটা ভুলেই যেতে চাইছেন, ‘কাল রাতে প্রমিস করেছি, ২০১৮ আমার অনেক খারাপ কেটেছে। ভুলে গেছি। আজ নতুন বছরের প্রথম দিন, সামনে তাকিয়ে আছি এখন।’ গত কয়েকটা মাস কতটা কঠিন গেছে সেটাও বললেন, ‘ভেরি ডিফিকাল্ট, মেন্টালি। এই সময়টায় এনসিএল খেলেছি, বিসিএল খেলেছি। অনুশীলন করেছি নিজের। বাসায় ছিলাম ফ্যামিলির সাথে। তো অলমোস্ট পাঁচ মাস হয়ে গেছে, আর এক মাস বাকি আছে। দেখি এবার বিপিএলটা কি হয়!’
কিন্তু ঘরোয়া লিগে যা রান পাননি, এজন্য দল থেকে এভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার কি কোনো প্রভাব আছে? সাব্বির তা মানলেন না, ‘না, আমার কাছে তেমন প্রভাব পড়েছে বলে মনে হয় না। পারফরম্যান্স তো সবসময় আসবে না। আপনি চাইলেই ১০০ মারবেন এর কোন গ্যারান্টি নাই। আমি চেষ্টা করেছি নিজের প্রস্তুতি ঠিক মত করার জন্য। ’
আপাতত সাব্বির তাকিয়ে আছেন বিপিএলের দিকেই, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, জাতীয় দল সবার জন্যই খোলা আছে। বিপিএলটা আমার জন্য অনেক বড় স্টেজ। আমার লাইফে অনেক বড় টুর্নামেন্ট। ইনশাআল্লাহ আমি চেষ্টা করব আমার ন্যাচারাল ক্রিকেটটা খেলার জন্য। আর বিশ্বকাপ অনেক দূরে আছে এখনও। আপাতত বিপিএল নিয়ে চিন্তা করছি। ’
বিপিএলে গত বার সাব্বিরের দল সিলেট ভালো শুরু করেও বেশিদূর যেতে পারেনি। এবার ওয়ার্নারদের নিয়ে আরও শক্তিশালী সিলেট সিক্সার। সাব্বির বিশেষ করে ওয়ার্নারের মতো ব্যাটসম্যানের সাথে খেলার জন্য অপেক্ষা করছেন, ‘অবশ্যই সে অনেক ভালো প্লেয়ার। তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক। অবশ্যই তাঁর দলে থাকাটা অনেক ভালো দিক। ওর মত বড় প্লেয়ারের অভিজ্ঞতা যদি আমাদের মাঝে শেয়ার করে, আমরা যদি ওকে ফলো করি, আমরা যদি বাকি দশজন সাপোর্ট করতে পারি, তাহলে ভালো কিছু আসবে।’