• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    বিজয়ের কাছে প্রতিটি ম্যাচই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি

    বিজয়ের কাছে প্রতিটি ম্যাচই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি    

    এনামুল হক বিজয়ের সমস্যাটা একটু অদ্ভুত। ঘরোয়া লিগে সুযোগ পেলেই রানের ফোয়ারা বইয়ে দেন, কিন্তু জাতীয় দলে এলেই এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজেও ওয়ানডেতে ছিলেন, ৫০ ওভারে ওই সিরিজ পর্যন্তও তামিমের সঙ্গে বিজয়ই ছিলেন প্রথম পছন্দ। কিন্তু সুযোগ কাজে না লাগানোয় বাদ পড়েছেন, পরে যেটি কাজে লাগিয়েছেন লিটন-ইমরুলরা। এই মুহূর্তে বিজয়ের বিশ্বকাপ খেলার পক্ষে বাজি ধরার লোক তাই কম। তবে বিজয় আশা ছেড়ে দিচ্ছেন না, প্রতিটি ম্যাচই দেখছেন বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তুতি হিসেবে।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে বাদ পড়ার পর জাতীয় লিগে খুব একটা রান পাননি বটে, তবে বিসিএল আসার পরেই আবার চওড়া বিজয়ের ব্যাট। সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি, কাছাকাছি থাকা নাঈম ইসলামের চেয়েও ১৩৬ রান বেশি। তবে এবারের চ্যালেঞ্জটা অন্যরকম, সেটি বিপিএলে। আজ মিরপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে অনুশীলনের সময় বিজয় বিশ্বকাপের মন্ত্রটাই জপলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি যখন উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরলাম এবং যখন ম্যাচগুলোতে ভালো করতে পারলাম না, তখন থেকে প্রতিটি ম্যাচই আসলে আমার কাছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সেটা এনসিএল বলেন, বিসিএল বলেন, বিপিএলের প্রতিটি ম্যাচ এবং বিপিএলের পরে যদি কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলি অথবা যেকোনো ম্যাচই আমার জন্য ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি। আমি সবসময় তৈরি থাকার চেষ্টা করবো। এজন্য প্রতিটি ম্যাচই আমার নিজের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

    কিন্তু ঘরোয়া লিগে ভালো করলেও জাতীয় দলে এসে খেই হারিয়ে ফেলছেন কেন? বিজয় বলছেন, ভাগ্য তাঁর পক্ষে ছিল না, ‘আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেছিলাম বিধায় কিন্তু আমি ২০১২ থেকে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলে ভালোভাবে খেলতে পেরেছি। রান করার অভ্যাসটি সবসময়ই কাজে লাগে। আমি এবার এসে করতে পারিনি, কিন্তু গত তিন চার বছর ধরে আমি কিন্তু আন্তর্জাতিকে ভালো পারফর্ম করেছি। মাত্র চার পাঁচটি ইনিংসে আসলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। আর লাক ফেভার করার ব্যাপার থাকে, অনেক দিন পর জাতীয় দলে খেললাম বা সেট হয়ে আউট হয়ে গিয়েছি- ঐ ইনিংস গুলো বড় করতে পারলে হয়তো কাজে দিতো। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করা অনেক জরুরী। সেটা জাতীয় দলে সাহায্য করে।’

    কুমিল্লায় এবার সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন নির্বাসিত অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথকে। বিজয় তাঁর জন্য তৈরিই হয়ে আছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে সে অনেক বড় সুপারস্টার বিশ্ব ক্রিকেটে। আমরা যারা কিছু তরুণ ক্রিকেটার আছি তাঁরা সবাই মিলে প্রশ্ন করবো কিছু থাকলে এবং চেষ্টা করবো তাঁর থেকে ভালো কিছু মোটিভেশনাল বিষয় বের করে আনার জন্য। আর ক্রিকেটে তো শেখার শেষ নেই। আমার কাছে মনে হয় এত বড় সুপারস্টারের কাছ থেকে ছোট ছোট অনেক কিছুই শেখার আছে। আমি নিজেও কিছু প্রশ্ন তৈরি করে রেখেছি, সে আসলে করবো।’