তিন বছরেই দুর্নীতির শেষ দেখতে চান নাজমুল হাসান
২০১৮ সাল সাফল্যের বিচারে বেশ ভালোই গেছে বলতে হবে বাংলাদেশের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর বাদ দিলে বড় ধরনের বিপর্যয়েও পড়তে হয়নি। তবে বছরের শেষটাই একরাশ কালিমা এঁকে দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বলে নয়, আম্পায়ারিং নিয়ে ওই ম্যাচে যা হয়েছে সেটা এঁকে দিয়েছে বড় একটা প্রশ্নচিহ্ন। এরপর সেই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে আর মুখ খোলেনি বিসিবি। অবশেষে আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিন বছরের মধ্যেই দূর করতে চান সব দুর্নীতি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আম্পায়ারিং-কেলেঙ্কারির পর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো ম্যাচের প্রভাব আম্পায়ারদের ওপর পড়েছে কি না, উঠেছিল এমন প্রশ্নও। নাজমুল হাসান বললেন, ধীরে ধীরে হাত দিতে চান প্রথম বিভাগ থেকে নিচের স্তরের ক্রিকেট লিগে, ‘প্রথম কথা হলো, ক্রিকেটে একটা ছিলো বিপিএল। প্রথম যখন আসি, বিপিএল নিয়ে ঝামেলা ছিলো। তা দূর করার চেষ্টা করেছি, মোটামুটি হয়েছে। প্রিমিয়ার ডিভিশন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু লাস্ট টাইমে কোনো বিতর্ক হয়নি। ওটাও গেলো। আমাদের এখন আরো নিচে যেতে হবে; ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড ডিভিশনে যাবো, জেলায় যেতে হবে। সব ঠিক করতে সময় লাগবে। আম্পায়ারিংয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আম্পায়ারিং যদি ঠিক করতে পারি, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে’।
প্রশ্ন উঠেছে, কিছু বিশেষ বিশেষ ক্লাবকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই প্রথম, দ্বিতীয় আর তৃতীয় বিভাগের ম্যাচগুলোতে ঢুকে পড়েছে দুর্নীতি। নাজমুল হাসান সেটা সরাসরি না হলেও পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন, ‘ ক্লাবের ব্যাপার হলো, সবই আসলে ক্লাবভিত্তিক। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে তাদের দাপট থাকে। বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, আম্পায়ারিং সুষ্ঠু হয়, যদি আমি শক্ত থাকি, বা ওরা যদি আমার কাছ থেকে সাহস পায়, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ ছাড়া আরো অনেক অভিযোগ আছে। যা দূর করা সহজ কাজ নয়। উন্নতি হচ্ছে, নিচের পর্যায়েও হবে। আরো তিন বছর যদি ক্রিকেটের সাথে থাকি, তাহলে কোনো জায়গায় ছাড় দেয়া হবে না। এগুলোর শেষ দেখে ছাড়বো।’
নাজমুল হাসান বলেছেন, আম্পায়ারিংয়ের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, ‘দেখেন, দুর্নীতি অনেক জায়গায় থাকে। একদিনে সব ঠিক করা যাবে। এগুলো ঠিক করতে হবে উপর থেকে। নিচ থেকে নয়। আমি সেভাবেই এগোনোর চেষ্টা করছি। আম্পায়ারিংও তেমনই। আউট না হলে যদি আউট দেয়া হয়, তাহলে তো হবে না। আম্পায়ারিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমি যেটা বলতে চাচ্ছি। এখানে মল্লিক আছে, তারা জানে, আমি তাদের বসতে চাই। আমি নিখুঁত আম্পায়ারিং চাই। এটাই এখান থেকে যাওয়া প্রথম বার্তা হবে।’