নিষেধাজ্ঞা শেষের আগে ফিরছেন 'অধিনায়ক' ওয়ার্নার
আগামী মার্চে শেষ হবে নিষেধাজ্ঞা, তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বে আর কোনোদিন সম্পৃক্ত হতে পারবেন না ডেভিড ওয়ার্নার। কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ওয়ার্নার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক। এই নিষেধাজ্ঞার পর আইপিএল দল হায়দরাবাদের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সে টুর্নামেন্টের গত মৌসুমে। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই অধিনায়কত্বের স্বাদটা আবার পেতে যাচ্ছেন এই বাঁহাতি, বিপিএলে সিলেট সিক্সারসের হয়ে।
অধিনায়কত্বের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ওয়ার্নার বলছেন, “আমি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। দল হিসেবে যাতে সবার কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারি, সেটা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। সেরা একাদশটা নিশ্চিত করতে হবে, অনুশীলনে যাতে ঠিক কাজটা করতে পারি সেটাও দেখতে হবে। রান করা ও দলকে নেতৃত্ব দেওয়া- এ দুই কাজ যাতে ঠিকঠাক করতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”
নিষিদ্ধ হওয়ার পর কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিলেন ওয়ার্নার। প্রথমবারের মতো এবার খেলবেন বিপিএলে। মাঝের সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় খেলেছেন ক্লাব ক্রিকেট। সেখানকার নীচু ও ধীরগতির উইকেট বিপিএলে তাকে সহায়তা করবে বলে জানাচ্ছেন তিনি, “এই মুহুর্তে অস্ট্রেলিয়ায় ক্লাব ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে ওয়াকারের (ইউনুস) সঙ্গে কথা বলছিলাম। উইকেটগুলো বেশ ধীরগতির ও নীচু ছিল, মানিয়ে নেওয়ার কাজটাও কঠিন। তবে আমার সময়টা ভাল গেছে দেশের মাটিতে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে আগে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, উইকেট কেমন হবে। আমার জন্য ব্যাপারটা একটা রুটিন ও ছন্দে ফেরার, দলকে যাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি সেটা নিশ্চিত করার।”
বল টেম্পারিংয়ের ঘটনার পর দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনের পর সম্প্রতি মুখ খুলেছেন স্মিথ ও ব্যানক্রফট। পুরো ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার ব্যাপারে বিশাল অঙ্কের টাকার প্রস্তাব ওয়ার্নার ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। আপাতত নিষেধাজ্ঞার পরের সময়টা নিয়ে তিনি বলছেন, সময়টা খারাপ যায়নি তার, “জীবন তো ভালই ছিল। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলাম। মানুষ হিসেবে পরিণত হওয়াটাই তো ব্যাপার। ঘরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, ঘরে স্বামী ও পিতা হিসেবে আমি কেমন সেটা। আর এখন ক্রিকেটে ফেরার বায়াপার, সিলেট সিক্সারসকে কিভাবে শীর্ষে নিতে পারি সেটা নিশ্চিত করার।”
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর অস্টেলিয়া দলে ফেরার ব্যাপারটাও পুরোপুরি নির্বাচকদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি, “আমাকে নেবে কিনা, সেটা তো পুরোপুরি নির্বাচকদের ওপর। দিনের শেষে আমি যেটা করতে পারি, এই টুর্নামেন্ট ও আইপিএলে রান করতে পারি। আর এটা নিশ্চিত করতে পারি যে, আমি সামর্থ্য অনুযায়ী সবচেয়ে ভাল মানুষটা হয়ে উঠতে পারছি কিনা।”