• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    জাজাই-শুভাগতর পর রুবেল-তোপে উড়ে গেল রাজশাহী

    জাজাই-শুভাগতর পর রুবেল-তোপে উড়ে গেল রাজশাহী    

    ঢাকা ১৮৯/৫, ২০ ওভার (জাজাই ৭৮, শুভাগত ৩৮, নারাইন ৩৮, সানি ২/২৩)
    রাজশাহী ১০৬, ১৮.২ ওভার (হাফিজ ২৯, সানি ১৮, রুবেল ৩/৭, মোহর ২/২৪) 
    ঢাকা ৮৩ রানে জয়ী 


    হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ৪১ বলে ৭৮, শেষে শুভাগত হোমের ১৪ বলে ৩৮ রানে ১৮৯ পর্যন্ত যাওয়া ঢাকা ডায়নামাইটস টুর্নামেন্ট শুরু করেছে রাজশাহী কিংসকে উড়িয়ে দিয়ে। রানতাড়ায় নিয়মিত উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে রাজশাহী কিংস, ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মূল ক্ষতিটা করেছেন রুবেল হোসেন। ১৯০ রানের লক্ষ্যে প্রথম দুই ওভারে ২২ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার, তবে তৃতীয় ওভারে এসেই ঢাকাকে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন সাকিব। তাকে সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছেন মুমিনুল, রাজশাহীর বাঁধ ভেঙেছে তাতেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা, শেষ পর্যন্ত থেমেছে ১০৬ রানেই। প্রথম ওভারে ১২ রান দেওয়া মোহর পরে আর ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। 

    এর আগে ঢাকার ইনিংসের ছিল তিনটি ধাপ। প্রথম ওভারে মিরাজকে ছয় মেরে শুরু করেছিলেন জাজাই, পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে কাইস আহমেদের ১ রানের পরও উঠেছিল ৬৮ রান। ১০ ওভারে উঠেছিল ১১৩ রান, কোনও উইকেট না হারিয়েই। প্রথম ২ ওভারে ৩০ রান গোণা মিরাজ তৃতীয় ওভারে এসে এনেছেন ব্রেকথ্রু, জাজাইকে ক্যাচ বানিয়ে। এরপরই একটা ধস নেমেছে ঢাকার ইনিংসে। ১১.৫ থেকে ১৫.২ ওভারে ১২ রান তুলতে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট। এরপর অবশ্য তাদেরকে ফিরিয়ে এনেছেন শুভাগত ও রাসেল। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজশাহীর পিচ্ছিল ফিল্ডিং। তিনটি ক্যাচ মিস করেছেন তারা, অন্তত ৮ রান মিসফিল্ড হয়েছে। হোম-রাসেলের জুটিতে এসেছে ৫৩ রান, হোম অপরাজিত ছিলেন ১৪ বলে ৩৮ রানে। 


    জাজাই ঝড় 

    প্রথম ওভারে লং-অফ দিয়ে ছয়ে শুরু, মিরাজের পরের ওভারে তিন ছয়। এরপর আলাউদ্দিন বাবুকে লং-অন দিয়ে ছয়ের পর এক্সট্রা কাভার দিয়ে পরপর দুই বলে চার, স্কয়ার লেগ দিয়ে চার এরপর। ২২ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর অবশ্য একটু ধীর হয়ে গিয়েছিলেন জাজাই। দ্বিতীয় স্পেলে মিরাজ ফেরার পর জাজাই মারলেন আরেকটি ছয়। ৫১ রানে হাফিজের বলে একটা জীবন পেয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত থামলেন ওই মিরাজের বলেই। লং-অনে টেনে মারতে গিয়ে ধরা পড়ার আগে করেছেন ৪১ বলে ৭৮ রান। 

    পিচ্ছিল রাজশাহী

    প্রথমে হাফিজের বলে খাড়া ক্যাচ তুলে বেঁচে গেলেন জাজাই, বারকয়েক চেষ্টাতেও ক্যাচের নিচে ঠিক পজিশনে যেতে পারলেন না জাকির হাসান। তার আঙুলের ডগায় লেগে ছিটকে গেল বল, জাজাই পরে যোগ করলেন আরও ১৭ রান। ১৭তম ওভারে রাসেল তুলে মারলেন মোস্তাফিজকে, বল উঠলো অনেক ওপরে। মিড-উইকেটে মুমিনুলকে দেখে মনে হলো দিকভ্রান্ত! ১৯তম ওভারের শেষ বলে একই বোলারের বলে বাঁচলেন ওই রাসেলই। এবার ডিপের দুই ফিল্ডার লরি এভান্স ও সৌম্য সরকারের দুজনই এগিয়েছিলেন, তবে ক্যাচ দূরের কথা, বলটা ধরলেনই না তারা, সেটা হয়ে গেল চার। ২০ তম ওভারের পঞ্চম বলে আলাউদ্দিন বাবুকে স্কয়ার লেগ দিয়ে মারলেন শুভাগত হোম, এবার ফ্লাডলাইটের আলোয় ফ্লাইট বুঝলেন না কাইস। এবারও হলো চার। 

    রুবেলের সেরা বোলিং 

    ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে দুইটি ম্যাচে তিনটি করে উইকেট পেয়েছিলেন রুবেল হোসেন, দ্বিতীয়টিতে ৩১ রানে নেওয়া ৩ উইকেটই ছিল তার সেরা বোলিং ফিগার। আজ সেটা ভাঙলেন তিনি। ৩ ওভারে ৭ রানে তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথমে জাকির ক্যাচ দিয়েছেন পুল করতে গিয়ে। পরের ওভারে রুবেল নিলেন রাজশাহীর ইনিংসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি, অন্যপাশে সঙ্গীদের যাতায়াতের মাঝেও টিকে থাকা মোহাম্মদ হাফিজ শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপারের হাতে। পরের ওভারে রুবেল পেয়েছেন আরেকটি, এবার থার্ডম্যানে ধরা পড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। 

    এবং রিভিউ-বিতর্ক

    স্নিকো বা আল্ট্রা-এজ ছাড়াই বিপিএলের রিভিউ তৈরি করেছে নতুন বিতর্ক। একই ম্যাচে কট-বিহাইন্ডের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে দুইরকম ফল। জাজাই বেঁচে গেছেন রাজশাহী রিভিউ নেওয়ার পরও, আর হাফিজ বেঁচে গেছেন আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরও।