ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে রংপুরকে জেতালেন মাশরাফি
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ১৬.২ ওভারে ৬৩ (আফ্রিদি ২৫; মাশরাফি ৪/১১, অপু ৩/২০, শফিউল ২/৮)
রং পুর রাইডার্স ১২ ওভারে ৬৭/১ (মারুফ ৩২, গেইল ২০; আবু হায়দার ১/১১)
ফলঃ রংপুর ৯ উইকেটে জয়ী
টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন একবার, সেটিও সেই ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেলফাস্টে। এরপর টি-টোয়েন্টিতে আর ৪ উইকেট পাওয়া হয়নি কখনোই। সেই খরাটা ঘোঁচালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, রংপুর রাইডার্সের হয়ে নিলেন ক্যারিয়ারসেরা ১১ রানে ৪ উইকেট। আর তাতেই কুমিল্লা গুটিয়ে গেল মাত্র ৬৩ রানে। সেই রান তাড়া করতে মাত্র ১ উইকেট হারাতে হলো রংপুরকে, ঠিক ১২ ওভারেই পৌঁছে গেল লক্ষ্যে।
একটা সময় বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর গড়ারই সম্ভাবনা ছিল কুমিল্লার। ৩৯ রানে পড়ে গিয়েছিল ৭ উইকেট, তখন ক্রিজে ছিলেন আফ্রিদি ও মেহেদী হাসান। আফ্রিদি ১৮ বলে ২৫ রান করলেন, আর তাতেই ৫০ পেরুল কুমিল্লা।
তবে আসল কাজটা তার আগে করে গেছেন মাশরাফি। তামিম ইনিংসের শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে, ১০ বলে ৪ রানের ইনিংসটা শেষ হয়েছে মাশরাফিকে তুলে মারতে গিয়ে। মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন ফরহাদ রেজাকে। ইমরুল কায়েস শুরুতেই ব্যথা পেলেন, তবে আউটের জন্য মাশরাফির সঙ্গে বোপারার কৃতিত্বও কম নয়। পয়েন্ট থেকে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে ইমরুলের ক্যাচটা ধরেছেন বোপারা। এভিন লুইসের জন্যও ফাঁদটা ভালোই পেতেছিলেন মাশরাফি। অফ কাটারটা বুঝতে পারেননি লুইস, টাইমিং ঠিকমতো না হওয়ার ক্যাচ গেছে লং অনে। মাঠা ঠাণ্ডা রেখে সেটি ধরেছেন অপু, ১৮ রানে হারাল তৃতীয় উইকেট।
সেই ১৮ রানেই উইকেট পড়ল আরও দুইটি। শফিউলের বলে কোনো রান না করেই এলবিডব্লু মালিক। এরপর যে উইকেট নিয়েছেন, সেটিই হয়তো সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দেবে রংপুর অধিনায়ককে। মাশরাফির অফ কাটার না বুঝতে পেরে ক্যাচ দিলেন স্মিথ, কুমিল্লা অধিনায়ক করতে পারলেন না কোনো রানই। ৪ উইকেটও হলো মাশরাফির। বিপিএলের এর আগে সেরা ফিগার ছিল ২০১৬ সালে, খুলনার বিপক্ষে পেয়েছিলেন ১৬ রানে ৩ উইকেট।
এরপর বিজয় আউট ২ রানে, প্রথম ছয় জনের মধ্যে একজন ব্যাটসম্যানও কুমিল্লার হয়ে পারলেন না দুই অঙ্ক ছুঁতে। সাতে নেমে সেটি করলেন আফ্রিদি, আনামুল ও সাইফ উদ্দিনকে নিয়ে রক্ষা করলেন আরও বড় বিপর্যয় থেকে। কিন্তু নিজে শেষ পর্যন্ত ২৫ রান করে আউট হয়ে গেলেন অপুর বলে। মেহেদী হাসান , আবু হায়দার রনিরাও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না, আফ্রিদিই একমাত্র সেটি পারলেন করতে।
ক্রিস গেইল ফিরেছেন, তবে এই রান তাড়া করতে তাঁকেও দরকার হলো না রংপুরের। ১ রান করেই রনির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন গেইল, এরপর অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটিতে রংপুরকে টানা দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছেন মেহেদী মারুফ ও রাইলি রুশো।