• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    ওয়ার্নারের কাছ থেকে টিপস নিয়েছেন আফিফ

    ওয়ার্নারের কাছ থেকে টিপস নিয়েছেন আফিফ    

    এখন পর্যন্ত বিপিএলে বাংলাদেশীদের কেউ ফিফটি পাননি। যে কয়টি ইনিংস হয়েছে, তার মধ্যে আফিফ হোসেনের ইনিংসটাই সবচেয়ে উজ্জ্বল। শুধু ২৮ বলে ৪৫ রান করেছেন বলেই নয়, ধুঁকতে থাকা সিলেটকে যেভাবে জাগিয়ে তুলেছেন সেটার জন্যও বটে। অন্য প্রান্ত থাকা ডেভিড ওয়ার্নারকেও একরকম দর্শক বানিয়ে ফেলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আফিফ বললেন, অন্য প্রান্ত থেকে ওয়ার্নারের পরামর্শ কাজে দিয়েছে তাঁর।

    ৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর চতুর্থ উইকেটে ওয়ার্নারের সাথে আফিফ যোগ করেছেন ৭১ রান। এর মধ্যে ৪৫ রানই করেছেন আফিফ। ম্যাচ শেষে বলেছেন, নিজের খেলাটাই শুধু খেলার চেষ্টা করেছেন, ‘আমি চেয়েছি আমার নিজের গেমটা খেলার। আমি সবসময় যেটা করি তো ওভাবেই আমি খেলতে চেষ্টা করেছি। বল সিলেক্ট করে ভাল বলগুলি সিঙ্গেলস নিতে চেয়েছি, বাজে বলগুলি চেষ্টা করসি বাউন্ডারি মারতে। ’

    ওয়ার্নার ওই সময় অন্য প্রান্ত থেকে কী বলেছিলেন? আফিফ কৃতিত্ব দিলেন অধিনায়ককে, ‘ওয়ার্নারের সাথে যখন ব্যাটিংয়ে ছিলাম অবশ্যই জিনিসটা খুব ভাল লাগার ছিলো।এতবড় একজন ব্যাটসম্যান তার সাথে ব্যাটিং করছি, তো এই জিনিসটা কনফিডেন্স দিয়েছে। আর….. ও অনেক টিপস দিচ্ছিল যেগুলো ব্যাটিংয়ের সময় কাজে লেগেছে।’

    গত ম্যাচে ১২৭ রান নিয়ে লড়াই করেও পারেনি সিলেট। আজ ব্যাটিংয়ে ভালো করাটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে আফিফকে,
    ‘অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক কাজে দেবে। আমরা প্লাওয়ার প্লেতে ভাল অবস্থানে ছিলাম না। সেখান থেকে ভাল কামব্যাক করসি, ভাল অবস্থানে গিয়েছি, এই জিনিসটা অনেক পজিটিভ একটা জিনিস যেগুলো সামনের ম্যাচে কাজে দেবে।’

    মিরপুরের উইকেটে সকালে স্ট্রোক খেলা সহজ ছিল না মোটেই। সেই কঠিন কাজটাই একদম সহজ মনে করালেন আফিফ। এই তরুণ অবশ্য বলছেন, মিরপুরের উইকেট ভালোই ছিল, ‘স্ট্রোক মেকিং উইকেট বলতে গেলে এই উইকেটে একটু টার্ন ছিলো, মিরপুরের উইকেটে সবসময় যেটা হয়, টার্ন থাকে। তো মিরপুরের উইকেট… খারাপ ছিলো না,ভালই ছিলো। চিটাগংয়ে যখন খেলবেন চিটাগংয়ের উইকেট এর থেকে আরও ফ্ল্যাট থাকে। তো ওই তুলনায় একটু টার্নিং উইকেট এটা।’