অধিনায়কত্বটা উপভোগই করছেন মিরাজ
তাকে অধিনায়ক করার ঘোষণাটা এসেছিল চমক হয়ে। প্রথম ম্যাচে অবশ্য বিক্ষিপ্ত ছিল মেহেদি হাসান মিরাজের অধিনায়কত্ব। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে আজ বেশ ধাতস্থ হয়ে এলেন মিরাজ, অধিনায়কত্ব রাখলেন আলাদা ছাপ। পরে ব্যাটিংয়ে তিনে উঠে এসে পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। সে সিদ্ধান্তটা টিম ম্যানেজমেন্টের ছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাচশেষে। আর অধিনায়কত্বটা উপভোগ করছেন জানিয়ে কৃতিত্ব দিচ্ছেন দলের সবাইকেই।
মিরপুরের ধীরগতির উইকেটে টসে হেরে ফিল্ডিং পেয়েছিল রাজশাহী। জুনাইদ সিদ্দিক ও পল স্টার্লিং শুরুটা করেছিলেন ভালই, ব্রেকথ্রু পেতে মিরাজ ঘুরলেন মোস্তাফিজুর রহমানের দিকে। বাঁহাতি পেসার ব্রেকথ্রু দিলেন, তবে অতি-উৎসাহী হয়ে তাকে আবার আনলেন না মিরাজ। নিজে আসলেন ডানহাতি মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে বাঁহাতি ডেভিড মালান যোগ দেওয়ার পর। দিনের সেরা বোলার ইসুরু উদানাকেও ব্যবহার করলেন ধাপে ধাপে। ১৭তম ওভারে তো দিলেন সৌম্য-চমক। প্রথম বোলিং করতে এসে প্রথম ওভারেই সৌম্য ফেরালেন মালানকে। মালান ততক্ষণে গিয়ার বদলানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, সৌম্যর স্লো-মিডিয়াম পেসই কাল হলো তার।
অধিনায়কত্বে নিজেকে আলাদা করে চেনানোর দিনে মিরাজ অবশ্য বলছেন সবার সহায়তা পাওয়ার কথা, “আসলে দলের সবাই সহায়তা করছে। ম্যানেজমেন্টের সবাই করছে। দেশি ও বাইরের সবাই। খুব ভালো লাগছে। উপভোগ করেছি।”
এরপর ব্যাটিংয়ে তিনে উঠে এসে দিয়েছেন চমক। টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়া ছিল লক্ষ্য বড় নয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে খেলার মতো কাউকে পাঠানো। শুরুতে অবশ্য ধরন দেখে মনে হচ্ছিল ক্যামিও ধরনের কিছু খেলাই লক্ষ্য তার, তবে এরপর থেকে দিয়েছেন পরিণতবোধের ছাপ।
এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে তাকে পাঠানো হয়েছিল, মিরাজ বলছেন এরপর থেকেই আত্মবিশ্বাসটা বেড়েছে তার, “আসলে আত্মবিশ্বাস থাকা তো সবসময় ভালো। এশিয়া কাপের ফাইনাল থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। আমি চিন্তা করেছি আমি পারব, আমি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলেছি। ওখান থেকেই আত্মবিশ্বাস এসেছে। আর দলের সবাই বিশ্বাস করেছে। এটা আরও ভালো লেগেছে।”
মাত্র ১১৮ রানের লক্ষ্য হলেও রাজশাহী সেটা তাড়া করতে সময় নিয়েছে ১৯তম ওভার পর্যন্ত। মিরাজ এখানে অবশ্য নিজের ব্যাটিংয়ের কিছুটা দায় দেখছেন, “আমার একটু ভুল হয়ে গিয়েছে। আমি একটু ধীড়ে খেলে ফেলেছি। আমি চেষ্টা করলে শেষ ওভারে (১৯তম ওভার) যেত না। আমি সেট ব্যাটসম্যান ছিলাম। আমার দায়িত্ব নিয়ে শেষ করা উচিত ছিল।”
তবে এরপরই মিরাজ মনে করিয়ে দিচ্ছেন আসল ব্যাপারটা, “সমস্যা হয়েছে, তবুও জয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। আমরা প্রথম ম্যাচটা হেরেছিলাম।”