• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    'ইংলিশদের জন্য বিপিএল 'কমফোর্ট জোন'-এর বাইরে আসার সুযোগ'

    'ইংলিশদের জন্য বিপিএল 'কমফোর্ট জোন'-এর বাইরে আসার সুযোগ'    

    এক চিটাগং ভাইকিংস ছাড়া এবার বিপিএলের প্রতি দলেই আছেন ইংলিশ ক্রিকেটার। শুক্রবার ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্সেই আছেন তিনজন ইংলিশ- অ্যালেক্স হেলস, রবি বোপারা ও বেনি হাওয়েল। রংপুরের এর আগের তিনটি ম্যাচই খেলেছেন বোপারা ও হাওয়েল, শেষটি বাদে বাকি দুটিতে ছিলেন হেলস। ডায়নামাইটসে একমাত্র ইংলিশ ইয়ান বেল এখনও নামেননি। তবে ১৩ হাজারের ওপর আন্তর্জাতিক রান করা এই ব্যাটসম্যান বলছেন, ইংলিশদের ‘কমফোর্ট জোন’-এর বাইরে আসার ভাল একটা সুযোগ বিপিএল। সাকিবদের কাছ থেকে দেখে অনেক কিছু শিখছেনও তিনি। 

    প্রায় তিন বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে শেষ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে সময়টা দারুণ গেছে বেলের। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ডিভিশন টু-তে ছিলেন সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক, দুই ডিভিশন মিলিয়ে ছিলেন তৃতীয়। ভাইটালিটি ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টিতেও ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার, লরি এভান্স ও অ্যারন ফিঞ্চের পর। 

    এবার বিপিএল চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছেন বেল। আজ যেমন বললেন, “আমার মনে হয় ইংলিশ ক্রিকেটের দিক থেকে দেখলে এরকম কন্ডিশনে খেলতে আসাটা দারুণ ব্যাপার। দেশে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখন অনেক জোর দেওয়া হয়েছে, আর আপনি যতো ‘কমফোর্ট জোন’-এর বাইরে এসে খেলবেন, ইংলিশ উইকেটের চেয়ে আলাদা কিছুতে, ততোটাই ভাল হবে। নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে চ্যালেঞ্জ জানানোটা দারুণ একটা ব্যাপার, এই টুর্নামেন্ট সেটারই একটা উপায়।” 

    ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সে টুর্নামেন্টেই নিজের শেষ ওয়ানডেটা খেলেছিলেন বেল। এরপর ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের দলের খোলনলচেই বদলে গেছে। বয়স এখন ৩৬ পেরিয়ে গেছে। তবে তরুণ ইংলিশদের জন্য সাকিবদের মতো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে খেলাটা দারুণ অভিজ্ঞতা বলে মানছেন তিনি, “আমার তো একটু বয়স হয়ে গেছে। তবে আমার বয়সে এসেও এখানে খেলতে পারার অভিজ্ঞতাটা দারুণ। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের তরুণদের জন্য তো এটা আরও বড় সুযোগ। সাকিবের মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের বিপক্ষে এই কন্ডিশনে খেলতে শেখাটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। দেশে ফিরে তারা আরও ভাল ক্রিকেটার হয়ে উঠবে।” 

    ঢাকার বিদেশী ক্রিকেটারদের ভীড়ে এখনও খেলা হয়ে ওঠেনি বেলের। আফগানিস্তানের হযরতউল্লাহ যাযাই প্রথম দুই ম্যাচেই পেয়েছেন ফিফটি, সঙ্গে তিন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান- সুনীল নারাইন, কাইরন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেলের মতো অলরাউন্ডারের সঙ্গে তার দলে সুযোগ পাওয়াটাও সহজ নয়। তবে একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে তেমন একটা ভাবছেন না বেল, “আমাদের বিশ্বমানের সব ক্রিকেটার আছে, আমরা সৌভাগ্যবান। সবাই ভাল করছে। আমি সুযোগ পেলে ভাল, তবে না পেলেও এখানে যা সুযোগ সুবিধা সেসব কাজে লাগিয়ে অনুশীলন করে যেতে চাই যতখানি পারি। তবে সবাই (বিদেশীরা) যেভাবে খেলছে সেটা উপভোগ্য, এবং একাদশে সুযোগ পাওয়াটা এখন কঠিন।” 

    আপাতত অবশ্য বেল উপভোগ করছেন সাকিবদের সঙ্গটাও, “সাকিবের মতো ক্রিকেটারের বিপক্ষে খেলেছি আমি এর আগে, একসঙ্গে খেলিনি। তাকে খেলতে দেখা ও নিজেকে প্রস্তুত করতে দেখাটা দারুণ ব্যাপার। পোলার্ড, রাসেল,নারাইনদের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারটাও তাই। আমার কাছে ব্যাপারটা তাই শেখার, এবং এটা আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের থেকে আলাদা একটা অভিজ্ঞতা।”