এমন ম্যাচ জেতানোর অভ্যাস আছে ফ্রাইলিঙ্কের!
বিপিএলে এমন কিছু হবে, রবি ফ্রাইলিঙ্ক কি কল্পনা করেছিলেন?
বিপিএলের আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় জানসি সুপার লিগে খেলে এসেছেন এই অলরাউন্ডার। সেখানে সর্বশেষ সাত ম্যাচে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট, ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ইনিংসটা ২২ রানের। অথচ এবারের বিপিএলে তিন ম্যাচ খেলে দুইটিতেই ম্যাচসেরা, আজ তো চিটাগং ভাইকিংসকে জেতালেন সুপার ওভারে। ক্যারিয়ারে অবশ্য এর আগে সুপার ওভারে কখনো খেলেননি এই দক্ষিণ আফ্রিকান। তবে আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এমন চাপ নেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়মিতই আছে তাঁর।
খুলনার বিপক্ষে এমনকি সুপার ওভারেও কাজটা অনেক কঠিন ছিল ফ্রাইলিঙ্কের। খুলনার দরকার ছিল ১২ রান, খুব কঠিন কিছু নয়। মাহমুদউল্লাহ নিজেই বলেছেন, রানটা নেওয়া উচিত ছিল তাদের। কিন্তু ফ্রাইলিঙ্ক দিয়েছেন ঠিক ১০ রান। পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, শুধু শান্ত থাকার চেষ্টা করেছেন, ‘কাজটা তো কঠিনই। আমি আগেই বলেছি এটা ছিল আমার প্রথম সুপার ওভার। আমি ভেবেছি ১১ রান আসলে খুব খারাপ না। আমি ভেবেছি, এটা আমাকে ডিফেন্ড করতেই হবে। মালানের ওই চারে শুধু একটু গড়বড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি শুধু শান্ত থাকতে চেয়েছি।’
সুপার ওভার না হয় প্রথম, কিন্তু প্রতিদিনই এভাবে শেষে এসে তাঁকে ব্যাটে না বলে হাল ধরতে হচ্ছে, এই ব্যাপারটা কেমন লাগছে? ফ্রাইলিঙ্ক স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন ব্যাপারটা, ‘সাত নম্বরে নেমে এরকম পরিস্থিতি তো আমাকে অনেক বার সামলাতে হয়েছে আগে। হয় শেষ ওভারে ১৫ নিতে হবে নইলে ১০ রান ডিফেন্ড কররে হবে। সৌভাগ্যবশত, ক্যারিয়ারে এরকম আমাকে করতে হয়েছে। এটার জন্য অনুশীলন দরকার, আর আপনাকে শান্তও থাকতে হবে। অনেক অনুশীলন করার পরেই শুধু আপনি তৈরি হতে পারবেন।’
জয় এনে দেওয়ার পর মুশফিক খুশিতে কোলেই চড়ে বসেছেন বিশালদেহী এই অলরাউন্ডারের। ফ্রাইলিঙ্ক অবশ্য নিজের চেয়ে দলের সবার অবদানকেই বড় করে দেখছেন, ‘জিততে পারা তো সবসময় অসাধারণ একটা অনুভূতি। আপনারা দেখেছেন, দলের সবার কাছে এই জয় কতটা বড় ছিল। আর এরকম মুহূর্তের জন্যই আমরা খেলি। দর্শকদের অর্ধেক খুশি ছিল, আমাদের সবাই তো বটেই। আর ম্যান অব দ্য ম্যাচ আর টাকাপয়সা নয়, আমি এরকম মুহূর্তগুলোই মনে রাখি। দল যত উপভোগ করবে, ততই ভালো।’