যে কারণে পেনাল্টি গুণলো রাজশাহী
‘ফেক ফিল্ডিং’ বা ‘ফিল্ডিংয়ের ভান করার’ দায়ে ৫ রান পেনাল্টি গুণেছেন রাজশাহী কিংস অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। রংপুরের রানতাড়ায় ১২তম ওভারে ঘটেছে এ ঘটনা। ২০১৭ সালের আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এ নিয়ম, ক্রিকেটের ৪১ নম্বর আইনের অধীনে।
১২তম ওভারে শেষ বলে রাইলি রুশোর ইনসাইড-এজ গিয়েছিল স্কয়ার লেগে, সেখানকার থ্রো স্ট্রাইকিং-প্রান্তে হয়েছিল ওভারথ্রো। সেটা ধরতেই গিয়েছিলেন মিরাজ। তবে ‘বল তাকে অতিক্রম করে যাওয়ার পরও’ ডাইভ দিয়েছিলেন তিনি। দুই ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো ও বেন হাওয়েল অবশ্য দুই রান সম্পন্ন করেছিলেন, তবে আম্পায়ারদের চোখে মিরাজ এর ডাইভ ছিল ‘ফেক ফিল্ডিং’।
এরপর অবশ্য এটা নিয়ে তৈরি হয়েছিল 'ধোঁয়াশা', দুই আম্পায়ার মিরাজকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বুঝিয়েছেন এটি। আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজও।
আইসিসির আইনের ৪১.৫ ধারায় ‘ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করা, ছলচাতুরি করা বা বাধা দেওয়া’ শিরোনামে বলা আছে-
৪১.১.৫- ৪১.৪ এর সঙ্গে যুক্ত হবে, যদি কোনও ফিল্ডার কোনও কথা বা অ্যাকশনে ইচ্ছাকৃতভাবে বল খেলার পর দুই ব্যাটসম্যানের যে কোনও একজনকে বিভ্রান্ত করে, ধোঁকা দেয় বা বাধা দেয়, সেটা ‘আনফেয়ার’ বলে গণ্য হবে।
৪১.৫.২- এমন কিছু হয়েছে কিনা, সেটা যে কোনও আম্পায়ার নির্ধারণ করবেন।
৪১.৫.৩- যদি যে কোনও আম্পায়ার মনে করেন যে ফিল্ডার এমন কিছু করেছেন বা এমন কিছুর করার চেষ্টা করেছেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডেড বল ঘোষণা করে অন্য আম্পায়ারকে এটা জানাবেন।
৪১.৫.৪- সেই ডেলিভারিতে কোনও ব্যাটসম্যান আউট হবেন না।
৪১.৫.৫- যদি প্লেয়ারদের মধ্যে শারীরিক সংস্পর্শ হয়, তবে সেটা আইনের ৪২ নম্বর ধারার অধীনে কিনা, আম্পায়াররা সেটা ঠিক করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
৪১.৫.৬- এরপর বোলিং এন্ডের আম্পায়ার যা করবেন-
-ব্যাটিং সাইডকে ৫ রান পেনাল্টি দিবেন।
-ফিল্ডিং দলের অধিনায়ককে এই অ্যাকশন সম্বন্ধে অবহিত করবেন, যত দ্রুত সম্ভব ব্যাটিং দলের অধিনায়ককে অবহিত করবেন।
৪১.৫.৭- সে বলকে ওভারের একটি হিসেবে গণ্য করা হবে না।
৪১.৫.৮- এই ঘটনার আগে ব্যাটসম্যানরা যতো রান সম্পন্ন করেছেন, পেনাল্টির সঙ্গে সেটা যুক্ত হবে। এই ঘটনার সময় যে রান প্রক্রিয়াধীন আছে (সেটা সম্পন্ন না হলেও), সেটাও এর সঙ্গে যুক্ত হবে।
৪১.৫.৯- উইকেটে উপস্থিত ব্যাটসম্যানরা ঠিক করবেন, পরের ডেলিভারিতে কে মুখোমুখি হবেন।
৪১.৫.১০- আম্পায়াররা যতো দ্রুত সম্ভব এটি নির্বাহীকে জানাবেন, যিনি এই ম্যাচের দায়িত্বে আছেন, তিনি এই ঘটনায় যুক্ত ক্রিকেটার ও তার অধিনায়ক, এবং দরকার পড়লে পুরো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।