• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    'ডি ভিলিয়ার্স এলেও কম্বিনেশন একই থাকবে'

    'ডি ভিলিয়ার্স এলেও কম্বিনেশন একই থাকবে'    

    প্রথম তিন ম্যাচে ছিল দুইটি জয়। কিন্তু সর্বশেষ দুই ম্যাচ হেরে আবারও একটু ব্যাকফুটে রংপুর রাইডার্স। বিশেষ করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা যখন নিজেই ওপেনিংয়ে নামেন, দল কতটা ভারসাম্যপূর্ণ থাকে সেই প্রশ্নও উঠে যায়। মাশরাফি অবশ্য বললেন, দলের কম্বিনেশন ঠিকই আছে। ডি ভিলিয়ার্স আসলেও সেই ভারসাম্য বদলাবে না বলেই মনে করছেন।

    আজকের ম্যাচটা মাশরাফির জন্য একটু বেশিই হতাশার ছিল। ১৩৫ রানের লক্ষ্য এমন কঠিন কিছুই ছিল না, ম্যাচের বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের হাতেই। কিন্তু শেষ ওভারে ৯ রানও নিতে পারল না ক্রিজে রুশোর মতো ব্যাটসম্যান থাকার পরেও। তার ওপর মাশরাফিকে নিজেকেই যখন ওপেন করতে নামতে হয়, দলের ভারসাম্য কতটা ঠিক আছে সেই প্রশ্ন উঠেই যায়।

    নিজে ওপেনিং নেমেছে কেন, সেই প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি ব্যাখ্যা করলেন, ‘আমরা আজ কোনো ওপেনিং নেইনি।ধয় ফরহাদ  রেজা না হয় আমাকে যেতে হতো।  যেহেতু ওদের লেফট হ্যান্ড ব্যাটসম্যান ছিল তাই আমরা নাহিদকে পিক করেছি অফস্পিনার হিসেবে। সো একজনের যেতে হতো। তাই আমি গিয়েছি।’ মাশরাফি বললেন, রান যেমনই হোক না কেন ওপেন করবেন তা আগে থেকেই ঠিক ছিল।

    কিন্তু গেইল, রুশো ছাড়া সেরকম আর কোনো ব্যাটসম্যান না থাকাটা কি দলের ভারসাম্য নষ্ট করছে না? মাশরাফি তা মানলেন না, ‘ডিভিলিয়ার্স আসলেও আমার মনে হয় একই কম্বিনেশন হবে। শেষ বছরেও দেখেন আমরা ছয়টা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছি। মাঝে হয়তোবা জিয়া কোনো ম্যাচে ওপেন করেছে। আমি নম্বর তিনে খেলেছি। সেমিফাইনালে গাজী ওপেন করেছিল। আমাদের শেষ বছর থেকে এরকম কম্বিনেশন যে আমরা ৬ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলব। শেষ বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বড় কারণ আমাদের টপ অর্ডার। আমার মনে হয় শেষ বছর যা ছিল এবার তাই আছে। আমরা ছয় ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছি কিন্তু দেখা যায় অন্যান্য দলে সাত-আট ব্যাটসম্যান নিয়েও খেলতে পারছে। যেটা আমরা পারছি না।

    তবে আজ শেষ ওভারে ফরহাদ রেজা যেভাবে পর পর তিনটি বল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না, ম্যাচটা ওখানেই হাতছাড়া হয়ে গেছে বলে মানছেন রংপুর অধিনায়ক, ‘ওখানে  একদম পরিষ্কার বার্তা ছিল। ফরহাদ রেজা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। ওখানে কি করতে হবে এতোটুকু বুঝত। ওখানে সিঙ্গেল নিয়ে যতটা সম্ভব রুশোকে স্ট্রাইক দেওয়া উচিত ছিল। রুশো যেহেতু ছিল একটা আশা  অবশ্যই ছিল। ওর ব্যাটে ঠিক জায়গায় লেগে একটা টাইমিং হলেই হতো। ম্যাচ বের হয়ে যেত। ম্যাচটা এমন পজিশনে ছিল যে মাত্র এক বল হলেই হতো। আশা অবশ্যই ছিল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় চারটা ডট বলের জন্য বেশি মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের। স্ট্রাইক রোটেট করলেও আমাদের জন্য সহজ হতো।’