'খুনে' মুশফিকে ম্লান 'দানবীয়' পেরেরা
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ১৮৪/৫, ২০ ওভার (পেরেরা ৭৪*, সাইফউদ্দিন ২৬*, খালেদ ৩/৩৪)
চিটাগং ভাইকিং ১৮৬/৬, ১৯.৪ ওভার (মুশফিক ৭৫, শাহজাদ ৪৬, সাইফউদ্দিন ৩/৪৫)
চিটাগং ৪ উইকেটে জয়ী
শেষের আগের ওভারের শেষ বলে আউট লাইনে ধরা পড়লেন মুশফিক, ৪১ বলে ৭৫ রানের ইনিংসের পরও লাইন তখনও পেরুনো হয়নি তাদের। তবে যাওয়ার আগে ‘ওকে’ দেখিয়ে গেলেন রবি ফ্রাইলিংক। ফ্রাইলিং সে দায়িত্বটা পালন করলেন দারুণভাবেই। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭, প্রথম ৩ বলে ২ রান উঠলেও চতুর্থ ওভারে লিয়াম ডওসনকে ছয় মেরে ভাইকিংসের জয় নিশ্চিত করলেন ঠিকই। শেষ হাসি তাই ওই মুশফিকেরই, থিসারা পেরেরার ২৬ বলে ৭৪ রানের ইনিংস ম্লান হয়ে গেল তাতেই।
প্রথম ইনিংসে শেষে এসে সব আলো কেড়েছিলেন ওই পেরেরাই। আজ সকালেই এসে পৌঁছেছেন, সন্ধ্যায় এরপর ঝড় তুললেন মিরপুরে। শেষ ৩ ওভারে কুমিল্লা তুললো ৬০ রান! এর মাঝে ১৯তম ওভারে ফ্রাইলিঙ্কের বলেই নিলেন ৩০ রান! ৮টি দানবীয় ছয় মারলেন, ফিফটি করলেন মাত্র ২০ বলে।
এর আগে পথ হারিয়েছিল কুমিল্লা, প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তুলতেই তারা হারিয়েছিল ২ উইকেট। দ্বিতীয় বলেই তামিম কট-বিহাইন্ড, বোলার ফ্রাইলিঙ্ক, ছুঁড়ে এসেছেন তিনি সে উইকেট। তাকে অনুসরণ করলেন এনামুল হক বিজয়, আবু জায়েদের বলে। ৩৪ বলে ৩৮ রান করা এভিন লুইসের চোট কুমিল্লার দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল আরও। এরপর একই ওভারে ইমরুল কায়েস ও লিয়াম ডওসনকে ফিরিয়ে কুমিল্লাকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিলেন খালেদ আহমেদ। তবে পেরেরার ঝড় ভুলিয়ে দিয়েছিল সেসব।
চিটাগংয়ের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল দারুণই, মোহাম্মদ শাহজাদ খেলেছেন দারুণ এক ইনিংস। পাওয়ারপ্লেতে ক্যামেরন ডেলপোর্টের উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছিল্ল ৬১ রান। পেরেরার বলে এলবিডব্লিউ হলেন ইয়াসির, ম্যাচে ফিরল কুমিল্লা। এরপর আফ্রিদি ফেরালেন ২৭ বলে ৪৬ রান করা শাহজাদকে।
এরপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলেন মুশফিক। কুমিল্লাকে ‘খুন’ করলেন পরিকল্পনা করে, ধীরে ধীরে। নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে গড়লেন ৪৭ রানের জুটি, যেখানে জাদরানের অবদান ১২। মেহেদির বলে তিনি ফিরলেন ১৩ রানে, মোসাদ্দেকও সাইফউদ্দিনকে তুলে মারতে গিয়ে লাইনে ধরা পড়ার আগে করতে পারলেন ১২।
তবে একপ্রান্তে সব আশা হয়ে ছিলেন মুশফিক। শেষ ৪ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৫৩ রান। সাইফউদ্দিনের ওভারে মুশফিকের চার-ছয়ে এলো ১৫। দুই ছয়ে আবু হায়দারের ওভারে ১৪। সে ওভারে শেষ বলে স্কুপের চেষ্টারত মুশফিককে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ায়তে ৪ রান বঞ্চিত হলো চিটাগং, রিভিউয়ে স্পষ্ট হয়েছিল ইনসাইড-এজ। ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনের দুই নো-বল কাজটা একটু সহজ করে দিল মুশফিকের জন্য। সে ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে উঠলো ১৭ রান।
তবে আউট হলে কি হবে, দিনটা যে আজ মুশফিকেরই!