• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    'নিউজিল্যান্ডের প্রস্ততিতে বিপিএল কোনো কাজে আসবে না'

    'নিউজিল্যান্ডের প্রস্ততিতে বিপিএল কোনো কাজে আসবে না'    

    বিপিএল শুরুর আগেই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, এই টুর্নামেন্ট কোনোভাবেই নিউজিলান্ড সিরিজের সিরিজের প্রস্তুতি নয়। আজ সিলেটে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ স্টিভ রোডসের কন্ঠেও একই সুর। বিপিএলের প্রস্তুতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে কোনোভাবেই কাজে আসবে না বলেই মনে করছেন রোডস।

    এবারের পরিস্থিতিটা অনেকটা দুই বছর আগের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেবার বিপিএল শেষের পর পরেই নিউজিল্যান্ডে সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও বিপিএল শেষের কয়েক দিনের মধ্যে মাশরাফিদের ধরতে হবে নিউজিল্যান্ডের ফ্লাইট। ওয়ানডে দিয়েই যেহেতু সিরিজ শুরু হচ্ছে, রঙিন পোশাকে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার একটা মঞ্চ হতে পারত বিপিএল। কিন্তু মন্থর, লো স্কোরিং ট্র্যাকে রান পাচ্ছেন না জাতীয় দলের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই। রোডস কথাটা মজা করেই বললেন, ‘আমরা যে উইকেটে খেলছি সেটা নিউজিল্যান্ডের কাছে চেপে যেতে হবে। প্রস্তুতিটা আদর্শ দূরে থাক, তার কাছাকাছিও নয়। বিপিএলের এরকম উইকেটে খেলার পর আমরা নিউজিল্যান্ডের উইকেটে গিয়ে সরাসরি খেলব। কিন্তু কী করার আছে, বলুন?’

    আপাতত ব্যাপারটা মেনেই নিতে হচ্ছে কোচকে, ‘ওই সময়টাই শুধু ফাঁকা ছিল, আর বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টের জন্য এরকম সময়েই আয়োজন করতে হবে। আমরা সেটা জানি, আর নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’ বিপিএলের ফাইনাল হবে ৮ ফেব্রুয়ারি, আর নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। ওয়ানডে দলকে প্রায় বিনা প্রস্তুতিতেই যেতে হচ্ছে। রোডসও সেটা জানেন, ‘বুঝতে পারছি ওয়ানডে সিরিজের জন্য খুবই তাড়াহুড় হয়ে যাচ্ছে। সেটা মেনে নিয়েই আমাদের যেতে হবে, এবং নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। টেস্টের জন্য অবশ্য কিছুদিন সময় পাওয়া যাচ্ছে। আশা করা যায়, তার আগেই আমরা ধাতস্থ হতে পারব। সুতরাং ওখানে বেশি সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।’

    রোডসের চিন্তা আছে অন্য জায়গায়ও। এবারের বিপিএলে জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের অনেকেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। তামিম ক্যারিয়ারে প্রথম বার দুই টি-টোয়েন্টিতে টানা ডাক পেয়েছেন, ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর ব্যাটে রান নেই। লিটন, মুশফিক আর সাকিবের একটি করে ইনিংস বাদ দিলে সেরকম কোনো পারফরম্যান্সও নেই।

    বিশেষ করে সৌম্য রান না পাওয়ার পর রাজশাহী কিংসের হয়ে এক ম্যাচ বাদও পড়েছেন। রোডস মনে করছেন, কাজটা সৌম্যকেই করতে হবে, ‘বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকই বাংলাদেশি, তাদের দেশের খেলোয়াড়দেরই আগে নামানোর কথা। তবে জয়ের জন্য তারা বিদেশীদের দিকে ঝুঁকতে পারে। তার মানে সৌম্যর কাছ থেকে যা রান তারা চায় সেটা পাচ্ছে না। সৌম্যদেরই সেই দায়িত্বটা নিতে হবে।’

    এই টুর্নামেন্টেই যেমন রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়েই খেলেননি সৌম্য। তিনে এমনকি চারেও ব্যাট করেছেন। রোডস মনে করছেন, নিজের সেরা জায়গাটা সৌম্যকেই খুঁজে নিতে হবে, ‘ওর ভূমিকা তো অনেক হতে পারে। ও কি নিজেকে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মনে করে, নাকি মিডল অর্ডার অথবা অলরাউন্ডার হিসেবে খেলে। ও সব ফরম্যাটে আলাদা আলাদা জায়গায় খেলতে পারে। কিন্তু সে কোথায় খেলবে, এসব প্রশ্নের উত্তর সৌম্যই দিতে পারবে।’