দাবিটা জানান দিচ্ছেন রাব্বি
দেশীদের ব্যাট কথা বলছে, বিপিএলে বড় দিক এটা। তবে জাতীয় দলের বাইরে চলে যাওয়া দেশী পেসাররা ভালো করছেন, বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য এটা কম বড় সুসংবাদ নয়। এই মুহূর্তে তাসকিন আহমেদ সিলেট সিক্সারসের হয়ে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে সাইফ উদ্দিন আর রংপুর রাইডার্সের হয়ে শফিউল ইসলাম দারুণ বল করছেন, এবার নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে নিজের দাবিটা ভালোমতো জানান দিচ্ছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
রাব্বির জন্য শুরুটা কঠিনই ছিল। প্রথম তিন ম্যাচে জায়গা পাননি, রংপুরের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে এসেই করলেন বাজিমাত। ক্রিস গেইল আর মাশরাফি বিন মুর্তজাকে তুলে নিয়েছিলেন প্রথম স্পেলেই। সেই ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বলতে গেলে একাই জিতিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। খুলনার বিপক্ষে সিলেটে উইকেট পাননি বটে, তবে তিন ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান। ঢাকার সঙ্গে পরের ম্যাচেও আবার ধারাবাহিক রাব্বি। এবার শেষ দিকে বল করেছেন, ১৭তম ওভারে এসে তুলে নিয়েছেন বিপজ্জনক হতে থাকা কাইরন পোলার্ডকে এসে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
তবে আজ যা করেছেন, তা ছাড়িয়ে গেছে সবকিছুকেই। ইসিরু উদানা চলে যাওয়ার পর রাজশাহীর পেস অ্যাটাকে মোস্তাফিজের সঙ্গে ভরসা ছিলেন শুধু রাব্বি। সেই আস্থার কী দারুণ প্রতিদানই না দিলেন! প্রথম ওভারে নিলেন দুই রান, পরের ওভারে সে ফিরিয়ে দিলেন বিপজ্জনক তামিম ইকবালকে।
তবে আসলটা জমিয়ে রেখেছিলেন শেষের জন্য। ১৮তম ওভারে এসে যখন বল হাতে পেলেন, কুমিল্লার তিন ওভারে জয়ের জন্য দরকার ৪২ রান। ক্রিজে আফ্রিদি আর লিয়াম ডসন শুরু করে দিয়েছেন ঝড়। প্রথম বলে রাব্বি ফেরালেন আফ্রিদিকে, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ডসন ও সাইফ উদ্দিনকে। তিন ওভারে ১০ রান দিয়ে পেলেন ৪ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে যা তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। ম্যাচ শেষে কুমিল্লার শামসুর রহমান শুভও প্রশংসা করছেন রাব্বির, ‘রাব্বি অলওয়েজ ভাল বোলার। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে সবই খেলেছে। আমি মনে করি ও ডিফারেন্ট অ্যাটিচ্যুড নিয়ে এই বিপিএলে ওকে দেখছি। প্রথম দিকে ম্যাচ খেলেনি, যখন সুযোগ পেল ভাল করতেছে। যে সময়ে টিমের দরকার সে সময়ে ব্রেক ত্রু আনছে। আশা করি সে আরও ভাল করবে। রাব্বি খুব ফর্মে আছে। স্লোয়ার, ইয়র্কার অ্যাকুরেট হয়েছে। ওর টিমের জন্য ওর রোলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’