• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    'ডি ভিলিয়ার্সদের কাছ থেকে শেখার জন্য তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে'

    'ডি ভিলিয়ার্সদের কাছ থেকে শেখার জন্য তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে'    

    স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্স- বিপিএলে তো বটেই, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও অনেক দিন এই তিন জনকে একসঙ্গে দেখেনি। স্মিথ, ওয়ার্নার অবশ্য চলে গেছেন, ডি ভিলিয়ার্স আছেন। তাছাড়াও গেইল, রাসেল, পোলার্ড, নারাইনরা এবার বিগ ব্যাশের বদলে বেছে নিয়েছেন বিপিএলকে। বাংলাদেশকে তাটদের দেওয়ার যতটুকু আছে, তার চেয়েও বেশি তরুণদের আছে এঁদের কাছ থেকে নেওয়ার। কিন্তু কতটা নিতে পারছেন তরুণরা? একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করায় কতটা সমৃদ্ধ হচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতা? আজ সংবাদ সম্মেলনে রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলে গেলেন, শেখার জন্য আগে এগিয়ে আসতে হবে তরুণদেরই।

     

     

    সিলেটে ওয়ার্নারের ব্যাটিং তো আছেই, অধিনায়কত্ব আর নিবেদন দিয়েও এর মধ্যেই আলাদা করে নজর কেড়েছেন। বিপিএল থেকে যাওয়ার আগে স্থানীয় তরুণদের প্রশংসার পাশাপাশি মাঠে আরও বেশি ‘মনযোগী’ হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। স্মিথ সেভাবে প্রভাব রাখার মতো খুব বেহসি সময় পাননি, তবে স্থানীয় বোলারদের ব্যবহারে বুদ্ধিমত্তার ছাপ রেখেছেন প্রথম কয়েকটা ম্যাচেই। ডি ভিলিয়ার্স অধিনায়ক না হলেও রংপুরে মিঠুন, মারুফরা তাঁর থেকে অন্তত শিখতে পারছেন ব্যাটিংয়ে। স্থানীয়রা অনেকেই এই তিন জনের প্রশংসাও করেছেন। নারাইন, রাসেলরা অবশ্য বিপিএলে নতুন নন।

    কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে কতটা শিখতে পারছেন তরুণরা? মাশরাফি এখানে স্থানীয়দেরই এগিয়ে আসতে বললেন, ‘তাঁরা অনেক স্বচ্ছন্দ, জানতে না চাইলে কেউ তো নিজ থেকে সে বলবে না। আমাদের দায়িত্ব ওদের কাছ থেকে কিছু শেখা। এবি ডি ভিলিয়ার্সের মত প্লেয়ার আছে ড্রেসিং রুমে। শুধু আমাদের দলের প্লেয়াররা, তা না। অন্যান্য দলের প্লেয়াররা যদি কিছু জানতে চায়, শিখতে চায়, অবশ্যই ওরাও ওপেন আছে। যদি কেউ জানতেও চায়, অন্যান্য দলের কেউ আমাদের কাছে এসে বললে আমরাও হেল্প করতে পারি। কিছু জানতে চাইলে ওরা রেডি আছে।’

    কিন্তু তরুণরা কতটা এগিয়ে আসছে আসলে? মাশরাফি আলাদা করে ওয়ার্নার-সাব্বিরের কথা বললেন, ‘এটা তো মানুষভেদে একেক রকম। আমাদের ড্রেসিং রুমে যারা আছে হয়তো বা দুই একজন কথা বলছে। হয়তো আরও ওদের সাথে আরও বেশি সময় পার করলে আমার মনে হয় আরও ভালো হত। বিশেষ করে আমাদের দলের কথা বলব না। যেমন ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে সাব্বির অনেক কথা বলেছে। আমি মাঠেও দেখেছি ওকে হেল্প করছে। এই ধরনের হেল্প একটা অফ ফর্মের প্লেয়ারদের জন্য ভালো সুযোগ। আমাদের বাংলাদেশি প্লেয়ারদের জন্য গ্রেট অপরচুনিটি। এরা এমন না যে শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সফল। এখানে অনেক প্লেয়ার খেলছে যারা অল ওভার দ্য ওয়ার্ল্ড পারফর্ম করে এবং টেস্ট ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি সব কিছুতেই। ’