• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    'বর্ণবাদী' মন্তব্যের কারণে ফেঁসে যেতে পারেন সরফরাজ

    'বর্ণবাদী' মন্তব্যের কারণে ফেঁসে যেতে পারেন সরফরাজ    

    দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার অ্যান্ডাইল ফেলুকয়ায়োকে উদ্দেশ্য করে করা মন্তব্যের কারণে ফেঁসে যেতে পারেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ফেলুকয়ায়োকে চটানোর কারণে করা তার এই মন্তব্য আসতে পারে আইসিসির বর্ণবাদী আচরণের আওতায়। 

     

     

    দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২০৮ রানের লক্ষ্যে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দিয়েছে ফেলুকয়ায়োয়ের সঙ্গে রাসি ডুসেনের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ইনিংসের ৩৭তম ওভারের মাঝামাঝিতে ব্যাটিং করছিলেন ফেলুকয়ায়ো, শাহিন আফ্রিদির বলে সিঙ্গেল নিয়ে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময় সরফরাজ তাকে উদ্দেশ্য করে উর্দুতে যা বলেছেন সেটার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, “ওই কালা (কৃষ্ণবর্ণ মানুষের ব্যঙ্গাত্মক রুপ), তোর মা আজ কই বসেছে? আজ তাকে কী প্রার্থনা করতে বলেছিস?” 

    স্টাম্প মাইকে ধরা পড়েছে সরফরাজের এই মন্তব্য, যেটা শুনে ধারাভাষ্যকার মাইক হেইসমেন সহকারি রমিজ রাজাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন অনুবাদের জন্য। তবে “এটা অনুবাদ করা কঠিন, এটা অনেক বড় আর লম্বা বাক্য” বলে আর সে পথে এগোননি রমিজ।


    ২য় ওয়ানডে, ডারবান
    পাকিস্তান ২০৩ অল-আউট, ৪৫.৫ ওভার (হাসান ৫৯, সরফরাজ ৪১, ফেহলুকোয়াও ৪/২২, শামসি ৩/৫৬)
    দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৭/৫, ৪২ ওভার (ডুসেন ৮০*, ফেলুকয়ায়ো ৬৯*, আফ্রিদি ৩/৪৪)
    দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জয়ী, ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা 


    এদিন ব্যাটিং-বোলিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা ফিগারে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফেলুকয়ায়ো। প্রথমে ব্যাটিং করে ১১২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। দশে নামা হাসান আলির দ্বিতীয় ফিফটি ও ক্যারিয়ারসেরা ৫৯ রানের ইনিংস, সরফরাজের সঙ্গে ৯ম উইকেটে তার ৯০ রানের জুটিতে ২০৭ পর্যন্ত পৌঁছায় পাকিস্তান। সে জুটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও সরফরাজকে যেমন হারতে হয়েছে, ‘অযাচিত’ মন্তব্যে যুক্ত হয়েছে বাড়তি দুশ্চিন্তাও। 

    এখন সরফরাজের ভাগ্য নির্ভর করছে ম্যাচ অফিশিয়ালদের ওপর। আইসিসির বর্ণবাদবিরোধী কোড অব কন্ডাক্টের আওতায় পড়তে পারে তার এই মন্তব্য। অবশ্য ২.১৩ ধারায় বলা আছে, “এই অপরাধ এমন কোনও কথার অন্তর্ভুক্ত হবে না, যা অন্য কাউকে তাদের গোত্র, ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ, গোত্র, জাতীয়তা বা জাতিগত বুৎপত্তিতে আঘাত করে।” 

    “এমন আচরণ আইসিসির বর্ণবাদবিরোধী কোডে নিষিদ্ধ, এবং এরপরের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটার নিস্পত্তি করতে হবে।” 

    ২০১২ সাল থেকে আইসিসির বর্ণবাদবিরোধী কোডে এমন অপরাধকে বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে, “যে কোনও আচরণ যা কোনও প্লেয়ার, প্লেয়ারদের সাপোর্টিং স্টাফ, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ারদের সাপোর্টিং স্টাফ অথবা দর্শকসহ যে কাউকে তাদের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সংস্কৃতি, জাতিগত বুৎপত্তি, জাতীয়তাকে আঘাত করে, তার অন্তর্ভুক্ত হবে।” 

    অবশ্য প্রেজেন্টেশনে গিয়ে ফেলুকয়ায়ো বলেছেন, পাকিস্তানীদের সঙ্গে তার কথাবার্তা “ভাল একটা আলোচনা” ছিল।