শামি-কুলদীপে নিউজিল্যান্ডকে পাত্তাই দিল না ভারত
নিউজিল্যান্ড ৩৮ ওভারে ১৫৭ অলআউট (উইলিয়ামসন ৬৪; সামি ৩/১৯, কুলদীপ ৩/৩৯ )
ভারত ৩৪.৫ ওভারে ১৫৬/২ (ধাওয়ান ৭৫*, কোহলি ৪৫)
ফলঃ ভারত ডিএল মেথডে ৮ উইকেটে জয়ী
রোদ এসে বন্ধ রেখেছে খেলা। কিন্তু ভারতের জয় তাতে আটকায়নি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ যেখানে শেষ করেছিল, নিউজিল্যান্ড সিরিজ সেখান থেকেই শুরু করলেন কোহলিরা। লক্ষ্য ছিল ১৫৮, তবে ডিএল মেথডে সেটা দাঁড়াল ১৫৬। ৮ উইকেট হাতে রেখেই সেই রান করে ফেলেছে ভারত, পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটা শুরু করেছে জয় দিয়ে।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়েছে স্বাগতিকদের, মোহাম্মদ শামির কথা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড হয়ে গেছেন মার্টিন গাপটিল। সিম মুভমেন্ট কাজে লাগিয়ে এক ওভার পর আবারও শামির আঘাত, এবার ৮ রান করে ফিরে গেলেন কলিন মানরো। ১৮ রানের মধ্যে দুই উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের। রস টেলর ছিলেন দারুণ ফর্মে, তবে এবার ভারতের স্পিনের ফাঁদে পা দিলেন। বেশ খানিকটা বিরতির পর আজ আবার জুটি বেঁধেছেন ভারতের দুই রিস্ট স্পিনার। টেলর ফিরলেন চাহালের বলে, ২৪ রান করে দিলেন রিটার্ন ক্যাচ। ভারতের মাঠে গিয়ে স্পিনে দুর্দান্ত ছিলেন টম ল্যাথাম, তবে তিনিও টেলরের মতো একই টেম্পলেটে আউট। বলের ফ্লাইট বুঝতে ভুল করে রিটার্ন ক্যাচ দিলেন সেই চাহালকেই। ৭৬ রানে ৪ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের।
উইলিয়ামসন অবশ্য একপ্রান্ত থেকে তাঁর মতোই খেলছিলেন। কিন্তু বাকিরা সঙ্গ দিতে পারলেন কই? ভারতের স্পিনাররা আবারও চেপে বসলেন কিউইদের ওপর। কেদার যাদব আরও একবার নিজের উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য দেখালেন, ১২ রান করার পর ফেরালেন হেনরি নিকোলসকে। মাঝে শামি শুধু এসে স্যান্টনারকে ফিরিয়ে দিলেন। এর মহ্যে ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম ওয়ানডেতে ১০০ উইকেটও হয়ে গেছে এই শামির। ওদিকে শেষ পর্যন্ত টেলরের প্রতিরোধও ভেঙে গেল ৬৪ রানে, ফিরে গেলেন কুলদীপ যাদবের বলে। ১৪৬ রানে ৬ উইকেট থেকে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে গেল। চার উইকেট নিয়ে লেজটা একাই ছেঁটে দিয়েছেন কুলদীপ।
সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ৪১ রানে রোহিত শর্মাকে হারাল ভারত। কিন্তু ব্রেসওয়েলের ওই উদযাপনটুকুই অনেকক্ষণ পর্যন্ত একমাত্র সুখস্মৃতি হয়ে রইল তাদের। শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলির ৯১ রানের জুটিই ভারতের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছে। কোহলি ৪৫ রানে আউট হলেও ধাওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। তবে ধাওয়ান বা কুলদীপ নয়, দুর্দান্ত ওপেনিং স্পেলের জন্য ম্যাচসেরা শামিই।