• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    খেলোয়াড় নির্বাচনে ভুলের কথা স্বীকার করলেন না মাহমুদউল্লাহ

    খেলোয়াড় নির্বাচনে ভুলের কথা স্বীকার করলেন না মাহমুদউল্লাহ    

    কিছুতেই কিছু হচ্ছে না খুলনা টাইটানসের। ১০ ম্যাচ শেষে মাত্র দুইটি জয়, প্রায় নিশ্চিতভাবে পয়েন্ট তালিকার সবার নিচে থেকেই শেষ করতে যাচ্ছে টুর্নামেন্ট। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আজ ম্যাচ শেষে স্বীকার করলেন, তাঁর অধিনায়কত্বও হচ্ছে না, দলের জন্য কোনোভাবেই অবদান রাখতে পারছেন না। তবে খেলোয়াড় নির্বাচনে ভুলের কথা স্বীকার করলেন না।

     

     

    মাহমুদউল্লাহর হতাশ হওয়ার অবশ্য কারণ আছে। গত দুই বার খুলনাকে শেষ চারে তুলেছেন, এবারের দলটা অন্তত কাগজে কলমে এর চেয়ে খারাপ ছিল না। প্রশ্ন উঠতে পারেম গত বারের শফিউল, রাহী, রুশোদের ছেড়ে দিয়ে কি তাহলে বড় ভুল করে ফেলল খুলনা? যাদের ধরে রেখেছে, এদের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত আর আরিফুল হক এবার কিছুই করতে পারেন নি। কার্লোস ব্রাথওয়েট তো খেলারই সুযোগ আচ্ছে না। দলে ভুল পরিকল্পনার কথা অবশ্য মাহমুদউল্লাহ স্বীকার করলেন না, ‘না আমার মনে হয় না। ওই ধরনের কোন কারণ ছিল। দল যথেষ্ট ভালো করা হয়েছিল। যদি স্থানীয় ক্রিকেটারদের কথা বলেন বেশ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নেওয়া হয়ছিল। জুনায়েদ অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। শান্ত প্রমেজিং ক্রিকেটার। আরিফুল শেষ দুই বছল ধরে ভালো খেলেছে। জহুরুল অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বোলিং সাইডেও আমাদের ভ্যারাইটি ছিল। ভালো অলরাউন্ডার ছিল। আসলে কোন সাইড থেকেই আমরা দলের জন্য অবদান রাখতে পারিনি।’

    এ ধরনের পরিস্থিতিতে দলকে উদ্দীপ্ত করা যে কঠিন সেটিও মানলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজির একটা প্রত্যাশা থাকে। খুলনার সমর্থকদের একটা প্রত্যাশা থাকে। নিজের একটা প্রত্যাশা থাকে। কোনটাই আসলে কোনভাবে ফুলফিল হচ্ছে না।যেহেতু এখন আমরা টুর্নামেন্ট থেকে আউট। সুপার ফোরে কোন সুযোগ নেই। খুবই হতাশাজনক অবশ্যই। বিশ্লেষণ করা কঠিন। প্রথম ৫/৬ ম্যাচের মধ্যে  আমরা কয়েকটা ক্লোজ ম্যাচ জিততে পারতাম, তখন হয়তো পয়েন্ট টেবিলে ভিন্নরকম হতো। আমাদের আত্মবিশ্বাস তখন বেশি থাকতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোন বিভাগেই ভালো করতে পারিনি।’

    মাহমুদউল্লাহ অসহায় কন্ঠেই বললেন, কিছুতেই কাজ হচ্ছে না, ‘কোন বিভাগেই কোন কিছু হচ্ছে না। নিজেরা কথা বলার চেষ্টা করেছি, সমস্যা বের করার চেষ্টা করেছি। ব্যাটিং অর্ডার চেইঞ্জ করার চেষ্টা করেছি। কেউই দলের জন্য কন্ট্রিবিউশন করতে পারছে না। এটা দলের জন্য হতাশাজনক। আমি যেভাবে অবদান রাখতে পারতাম, ওভাবে পারিনি। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও হতাশ।’

    নিজেও সেভাবে এবার বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেন না। ব্যক্তিগত ব্যর্থতাও পোড়াচ্ছে মাহমুদউল্লাহকে, ‘আমি বেশ কিছু ম্যাচে শুরুটা ভালো করতে পেরেছি। কিন্তু ইনিংসগুলো বড় করতে পারিনি। রান গুলো বড় করতে পারলে দলের জন্য ভালো হতো। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বাদই দিলাম। ১৫, ১৬, ২০ , ২৫ পেয়েছি, কিন্তু বড় করতে পারেনি।  এটা এক দিক থেকে আমার ব্যর্থতা। এখান থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।