• " />

     

    পিটারসেনের পরামর্শ চাইতেও ভয়!

    পিটারসেনের পরামর্শ চাইতেও ভয়!    

    ইংল্যান্ডের হয়ে শেষবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন গত বছরের জানুয়ারিতে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৫-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ হারের মাসখানেকের মাথায় বাদ পড়েন দল থেকে। এরপর জল গড়িয়েছে বহুদূর। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করলে দলে ফিরতে পারবেন- এমন আশ্বাস দিয়েও রাখা হয় নি। নিজের ভাষায় ‘প্রতারিত’ সাবেক ইংলিশ তারকা ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন এখন বলছেন দলের বর্তমান খেলোয়াড়েরা চাইলে তাঁদের কোচিং করাতে তাঁর আপত্তি নেই। একইসাথে জানালেন অনেক খেলোয়াড় উপর মহলের ‘ভ্রুকুটি’র ভয়ে তাঁর দ্বারস্থ হতে ‘ভয়’ পাচ্ছেন!

     

     

    ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস এ বছর আভাস দিয়েছিলেন যে ঘরোয়া ক্রিকেটে সামর্থ্যের জানান দিতে পারলে পিটারসেনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। সে প্রেক্ষিতে আইপিএলে না গিয়ে কাউন্টি ক্রিকেটেই মনযোগী হন কেপি। চাহিদামতো সামর্থ্যের জানানটাও দেন ভালোভাবেই। গত মে মাসে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সারের হয়ে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা রেকর্ড ৩৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস।

     

    কিন্তু গত অ্যাশেজের আগে ইসিবির তরফে জানানো হয় তাঁকে স্কোয়াডের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে না। ওইসময় পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রস পিটারসেনকে বোর্ডের উপদেষ্টা হিসেবে একদিনের ক্রিকেট দলের উন্নয়নে কাজ করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ‘প্রতারিত’ সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান সেটা সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করেন।

     

    অপরাজিত ৩৫৫ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়ছেন কেভিন পিটারসেন

     

    তবে এবার সুর নরম করেছেন ৩৫ বছর বয়সী ইংলিশম্যান। খেলোয়াড়েরা সাহায্য চাইলে করবেন কিনা এমন প্রশ্নে পিটারসেন ইতিবাচক জবাবই দিচ্ছেন, “অবশ্যই করবো।” পিটারসেনের দাবী এর মধ্যে বিদেশী একটি জাতীয় দলের তরফে কোচিংয়ের প্রস্তাব পেলেও ‘সময়ের অভাবে’ তাতে রাজী হন নি।

     

    এখন ইংলিশ ক্রিকেটারদের জন্য তাঁর দুয়ার উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটারের বিশ্বাস বর্তমান ক্রিকেটারদের অনেকেই কর্তামহলের ‘বিরাগভাজন’ হওয়ার ভয়ে তাঁর শরণাপন্ন হচ্ছে না, “বর্তমান খেলোয়াড়দের কয়েকজনের কাছ থেকে এমন ইঙ্গিত পেয়েছি যে আমার সাথে যোগাযোগ করলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে এই ভয়ে তাঁরা আমার কাছে কোন পরামর্শ চাইতে আসে না। ব্যাপারটা আমি নিজেও জানি। বিশেষ একটা কারণে আমার কাছে খেলোয়াড়রা সাহায্যের জন্য এলে সেটা কারও কারও ভ্রুকুঞ্চনের কারণ হবে।...এর মানে দাঁড়াচ্ছে ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলে আমার যা কিছু অর্জন সেটার আর কোনরকম ব্যবহারই সম্ভব না! ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক।”

     

    এখনও ইংল্যান্ড দলে ডাক পাবার প্রত্যাশা করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পিটারসেন হতাশাটুকু গোপন করছেন না, “সে আশা বহু আগেই ছেড়ে দিয়েছি।”

     

    খানিক যেন শ্রাগও করলেন, “প্রতিদিন আমার কাজটুকু একটু একটু করে উন্নত করার চেষ্টা করি। হলে হল, না হলে কি আসে যায়?”