• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    ডি ভিলিয়ার্সও বলেছেন, মানসিক শক্তিই বাধা

    ডি ভিলিয়ার্সও বলেছেন, মানসিক শক্তিই বাধা    

    বোলারদের তালিকায় বাংলাদেশীদের জয়জয়কার। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক মুশফিকুর রহিমকে বাদ দিলে বাকিদের কেউ সেভাবে পার্থক্য গড়ে দিতে পারছেন না। দেশীদের সঙ্গে বিদেশীদের পার্থক্যটা দক্ষতা বা অন্য কিছু নয়, মানসিক শক্তিতেই গড়া হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁর রংপুর সতীর্থ ডি ভিলিয়ার্সের ভাবনাও একই বলে জানিয়েছেন মাশরাফি।

     

     

    বোলিংয়ে মাশরাফি, সাকিব, তাসকিনরা দারুণ করলেও ব্যাট হাতে দেশীদের মধ্যে মুশফিক ছাড়া ধারাবাহিক সেভাবে কেউ নেই। মাশরাফি মনে করিয়ে দিলেন, দীর্ঘদিন ধরে খেললেও বিপিএলে এখনও একটা চাপ থাকে তাদের ওপর, ‘আমি আগেও বললাম বিপিএল খেলাটা এতো ছোট না এখন, আগের পর্যায়ে নাই। আমি নিজে চাপ অনুভব করি। আমি নিশ্চিত সাকিব নিজেও চাপ অনুভব করে। সিনিয়র যারা আছে সবাই চাপ অনুভব করে। এখানে তরুণদের জন্য কাজটা কঠিন।’

     মাশরাফি জোর দিলেন, বেশি ক্রিকেট খেলিয়ে মানসিকভাবে খেলোয়াড়দের আরও পোক্ত করার, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ধরনের ক্রিকেট খেলিয়ে তাদেরকে মানসিক ভাবে সেট করতে হবে। শুধু খেললেইতো হবে না, আমাদের সব থেকে দুর্বল দিক হচ্ছে মানসিক শক্তি। সামর্থ সবারই আছে, কিন্তু মানসিক শক্তি কিভাবে বাড়ানো যায়, সেটা চিন্তা করে তাদেরকে প্রপার গাইড কার যায় সেটা চিন্তা করতে হবে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, আমার ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা আমি এতোটুকু বলতে পারি বাইরের দেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য মানসিক শক্তিতে। যেটা ওরা ক্লিয়ার মাইন্ডে করে। ভিলিয়ার্সের সঙ্গে কথা বলেছি, ও আমাকে এটা বলেছ। আমাদের কাছে মনে হয় এই জায়গাতে উন্নতি করতে পারলে এই খেলোয়াড়ই বিশ্বমানের খেলোয়াড় হয়ে যাবে।’

    কিন্তু এখানে কি উইকেটের কিছুটা দায় নেই? মাশরাফি সরাসরিই বললেন, ‘ব্যাটসম্যানদের জন্য আসলেই কঠিন, এটা নিশ্চিত।  বোলারদের উন্নতি হয় না।  যদি একটা বোলার ৪/৫ উইকেট পেয়ে যদি বলে ভালো করছি...আল্টিমেটলি কেমন প্রেসারে বল করে সেটাতো দেখার বিষয়।  প্রেসারে বোলারদের খেলতে হবে। বোলারদের উন্নতি হবে চট্টগ্রামে, আপনি কি করছেন, তখন ক্লিয়ার ছবিটা আসতে থাকবে। এই মোমেন্টে  ইয়র্কার দরকার, এই মোমেন্টে স্লোয়ার দরকার এই উইকেটে যেটা গ্রিপ হয়…..। ইয়র্কারে হয়তো উইকেটের ব্যাপার থাকে না, স্লোয়ারে গ্রিপের ব্যাপার আছে। এখান থেকে শেখার ব্যাপারটা থাকে। কিন্তু এই উইকেট শেখা লাগছে না। একটা জায়গাতেই বল করলে সফল হওয়া যাচ্ছে। আবার  ব্যাটসম্যানরা মাথা খাটিয়ে শটতো দূরে থাক সাধারণ শট খেলাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

    তবে খানিক পরেই আবার সুর নরম করে ফেললেন, ‘কিউরেটরের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের এই উইকেট সব সময়েই আনপ্রেডিকটেবল ছিল। হয়তোবা কিছু আছে উইকেটে, সবার কাছেই আনপ্রেডিকটেবল। গামিনি অনেক চেষ্টা করে, আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছি। উইকেটে ১০-১৫ ওভার পরই আচরণ পরিবরতন হয়। হুট করে বল লো হয়। ভেরি আনপ্রেডিকটেবল, কমেন্ট করা কঠিন আসলে।’