• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    ঢাকা-কুমিল্লা ফাইনাল: দেশী কোচ আর অলরাউন্ডারদের লড়াই

    ঢাকা-কুমিল্লা ফাইনাল: দেশী কোচ আর অলরাউন্ডারদের লড়াই    

    কুমিল্লার দ্বিতীয় না ঢাকার চতুর্থ? বিপিএল ফাইনালের আগে লড়াইয়ের মধ্যেও আছে আরও খন্ড লড়াই। দুই দলেরই কোচ দেশী, আর দুই দলেই আছে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিতে পারার মতো অলরাউন্ডার। বিশেষ করে শেষের লড়াইটিই ঠিক করে দিতে পারে, কাল মিরপুরে শিরোপা উঠবে সাকিব আল হাসান না ইমরুল কায়েসের হাতে।

     

     

    দেশী কোচের প্রসঙ্গটা আসছে প্রাসঙ্গিকভাবেই। এবারের বিপিএলে যে সাতটি দল ছিল, তার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রাম- সবার প্রধান কোচ ছিলেন বিদেশী। শুধু ঢাকা আর কুমিল্লাই দেশি কোচের অধীনে ছিল- তারাই খেলছে ফাইনালে অবশ্য বিপিএলের মতো আসরে কোচদের কতটা কী করার থাকে সেটি নিয়ে প্রশ্ন থাকেই। কুমিল্লা কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন একটা নগদ লাভ অবশ্য দেখছেন, 'দেশি কোচদের জন্য অনেক লাভ হবে আমি আশা করি। প্রথমবার যেভাবে শুরু হয়েছিল আস্তে আস্তে কিন্তু দেশি কোচরা হারিয়ে যাচ্ছিল। সহকারী কোচ যারা ছিল তাদেরও কাজের পরিধি কমে যাচ্ছিল। আমার মনে হয় যেহেতু আমরা দুজন ফাইনালিস্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ত পরবর্তীতে চিন্তা করবে আমাদের দেশি কোচদের আরেকটু সুযোগ দেয়া উচিত। আমরা ভাল করলে আমাদের দেশি কোচদের অনেক লাভ।’

    আপাতত ঢাকা কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের চেয়ে সালাহউদ্দিনের দিকে পাল্লাটাই বেশি ভারি। মুখোমুখি আগের দুই দেখাতেই যে কুমিল্লা হারিয়েছে ঢাকাকে। সালাহউদ্দিন অবশ্য খালেদ মাহমুদের সঙ্গে কোনো তুলনাতেই যেতে চাইলেন না, ‘ সুজন ভাই অনেক বড় মাপের কোচ। তার অনেক কোয়ালিটি আছে। সে অনেক কিছু দেখতে পারে আমি হয়ত সে তুলনায়... আমি নিজেকে কখনো তুলনা করি না এই জায়গাটায়। আমার মনে হয় এই জিনিসটা না বললেই আমার জন্য ভাল। ’  

    তবে কোচদের তো মাঠে গিয়ে লড়তে হবে না, সেই লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন দুই দলের অলরাউন্ডাররা। থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদি আর সাইফ উদ্দিন এগিয়ে নিচ্ছেন কুমিল্লাকে। আবার ঢাকা বলতে গেলে সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল আর সাকিব আল হাসানের ঘাড়ে চড়েই এসেছে ফাইনালে। এখানেও দুজন বিদেশী আর একজন দেশীর সমতা। তার ওপর সাকিব আর সাইফ উদ্দিন মূলত বোলিং করেই জেতাচ্ছেন দলকে। কুমিল্লা কোচ সালাহউদ্দিন মনে করছেন, এই জায়গায় ঢাকা কিছুটা এগিয়ে আছে, ‘আমি মনে করি যে আসলে এখানে অলরাউন্ডারদের একটা বড় ভূমিকা থাকবে কারণ টিম সাজাতে বা ব্যালেন্স আনতে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা সবসময়ই বেশি। ঢাকা টিমের এই অ্যাডভানটেজটা আছে কারণ তাদের তিন-চারজন অলরাউন্ডার আছে, তারা যদি খেলে তারা বাড়তি ২- জন প্লেয়ার খেলাতে পারে। আমাদের ভাল অলরাউন্ডার আছে, তারপরও বলব ঢাকা এই দিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে। কিন্তু আমি আমার স্ট্রেন্থের কথা বলব, হয়ত পুরো টুর্নামেন্টে ইনডিভিজ্যুয়াল পারফরম্যান্স খুব নজর কাড়েনি কিন্তু দলীয় সমন্বয় খুব ভাল ছিল এবং সঠিক জায়গায় সঠিক খেলোয়াড় আছে, যেটি খুব বেশি জরুরী।’

    তবে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ঢাকার এই তিন অলরাউন্ডার মিলেও আগের দুই বার হারাতে পারেননি কুমিল্লাকে, ‘আমরা তাদের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলেছি। আর এই দুই ম্যাচে কিন্তু চারটি অলরাউন্ডারই খেলিয়েছিলো তারা। আমাদের কাছে এই দুই ম্যাচেই হেরেছে তারা। সুতরাং আমরা অতিরিক্ত কোনও পরিকল্পনা বা চিন্তা করছি না। মাঠে গেলে পরিস্থিতি কী হয়, সেই পরিস্থিতিই বলে দেয় যে মানুষ কিভাবে ফেস করতে হবে বা হ্যান্ডেল করতে হবে। আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। শহীদ আফ্রিদি আছে সে জানে, অনেক ক্রিকেট খেলেছে টি টুয়েন্টি ফরম্যাটে। আপনারা জানেন যে সে প্রথম থেকেই ভালো বোলিং করে আসছে। আমি আশা করি সে কালকেও তেমন একটি ভালো পারফর্মেন্স উপহার দিবে। আমরা আমাদের স্ট্রেন্থ অনুযায়ী ঠিকমতো এক্সিকিউট করতে পারি ইনশাল্লাহ একটি ফলাফল আসার সম্ভাবনা আছে।’