• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইউনাইটেডের ডাগআউটে ফিরছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন!

    ইউনাইটেডের ডাগআউটে ফিরছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন!    

    ১৯৮৭ থেকে ২০১৩। জীবনের ২৬টি বসন্ত কাটিয়ে দিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাগআউটে। সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতিয়েছেন 'রেড ডেভিল'দের। সর্বকালের সেরা ম্যানেজারের তালিকায় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের নামটা স্বাভাবিকভাবেই আসে শুরুর দিকেই। ইউনাইটেডের হয়ে জেতা ৩৮টি শিরোপার মধ্যে খুব সম্ভবত ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগটাই ফাইনালটাই সবচেয়ে আপন তার কাছে। ন্যু ক্যাম্পের সেই বিখ্যাত রাতের ২০ বছর পূর্ণ হচ্ছে এ বছর। ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে ম্যানএস্টার ইউনাইটেড ফাউন্ডেশন। আগামী মে মাসে ওল্ড ট্রাফোর্ডে মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ এবং ম্যান ইউনাইটেড। বর্তমান সময়ের ফুটবলাররা নয়, ওল্ড ট্রাফোর্ডে মাঠে থাকবেন লোথার ম্যাথিউস, ওলে গানার সোলশায়াররা। নব্বইয়ের দশকের ফুটবলারদের মত ফিরছেন ফার্গুসনও। সোলশায়ার নয়, এই ম্যাচে ইউনাইটেডের ম্যানেজার থাকবেন 'ফার্গি'ই।

     

     

    অবসরের ৬ বছর পর ইউনাইটেডের ডাগআউটে ফিরতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ফার্গুসন, 'মে মাসে ন্যাচটির জন্য মুখিয়ে আছি আমি। ইউনাইটেড ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ এমন এক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। ম্যাচটি দিয়ে পরিচিত অনেক মুখের সাথেও দেখা হয়ে যাবে।' ১৯৯৯ সালের বিখ্যাত সেই ম্যাচের কথা মনে পড়তেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন কিংবদন্তী স্কটিশ কোচ, 'সেবার (১৯৯৯) প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপ জিতলেও আমাদের সব আকর্ষণ এবং ধ্যানজ্ঞান জুড়ে ছিল এই ম্যাচটিই (চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল)। আমাদের মত বায়ার্নও দুর্দান্ত ফর্মে ছিল। ঐ মৌসুমে ইউরোপের সেরা এবং যোগ্য দুই দলই ফাইনাল খেলেছিল। শুরুতেই পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়িনি আমরা। শেষ বিশ্বাস লড়ে যাওয়ার বিশ্বাসই আমাদের জয়ে মূল ভূমিকা রেখেছিল। অবশ্যই ইউনাইটেডে আমার সময়ের অন্যতম সেরা এবং প্রিয় স্মৃতি এটি।'  

     

     

    ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমটা অসাধারণ কেটেছিল ইউনাইটেডের। প্রিমিয়ার লিগ এবং এফএ কাপ আগেই ঘরে তুলেছিল ফার্গুসনের দল, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে যাওয়ায় সুযোগ এসেছিল প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে 'ট্রেবল' জয়েরও। কিন্তু ন্যু ক্যাম্পে সেদিন শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি 'রেড ডেভিল'দের। ৬ মিনিটেই মারিও বাজলারের ফ্রিকিকে লিড নেয় বায়ার্ন। ম্যাচের বাকিটা সময় শত চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি ইউনাইটেড। বায়ার্নের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ঘরে তোলা যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, তখনই আবারও 'ফার্গি টাইম'-এর জাদু। ৯১ মিনিটে টেডি শেরিংহাম এবং ৯৩ মিনিটে ইউনাইটেডের বর্তমান কোচ সোলশায়ারের গোলে শেষ হাসি হাসে ইউনাইটেডই। এখনও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা ফাইনালগুলোর তালিকায় শীর্ষেই দিকেই থাকবে ম্যাচটি।