মোড়ক উন্মোচন হল 'প্যাভিলিয়নের পাঁচালি'র
২০১৩-এর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পথচলা শুরু। দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচ বছর। ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করল প্যাভিলিয়ন। গত পাঁচ বছরে লেখা জমা হয়েছে অনেক, স্মৃতি তার চেয়েও বেশি। ক্রিকেট এবং ফুটবল বিশ্বকাপে ম্যাগাজিনের সাফল্যের পর এবার প্রথমবারের মত বই আকারে পাঠকদের কাছে এল প্যাভিলিয়ন। পাঁচ বছরের পথচলাকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৯-এর অমর একুশে বইমেলায় প্রথমবারের মত প্রকাশ পেয়েছে প্যাভিলিয়নের বই ‘প্যাভিলিয়নের পাঁচালি’। ১৮জন লেখকের ২৩টি লেখা সম্বলিত বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার বর্ষাদুপুর স্টলে। আজ কলাবাগানের এম ক্যাফেতে হয়ে গেল বইটি আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন।
অনুষ্টানটিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া লেখক এবং কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী। আরও ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক এবং বিসিবির পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম। অতিথিদের সাথে আরও ছিলেন প্যাভিলিয়নের সম্পাদক অম্লান মোস্তাকিম হোসেন, পরিচালক অনিন্দ্য চৌধুরী, প্রিয়ম মজুমদার এবং ফুয়াদ বিন নাসের। বক্তব্যে জালাল আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, প্যাভিলিয়নের এই কয় বছরের পথচলায় ক্রীড়া বিষয়ক লেখালেখি এবং বিশ্লেষণে তিনি নতুন ধারার ছাপ পেয়েছেন। খেলাধুলার যৌক্তিক বিশ্লেষণে আমাদের দেশে যে ঘাটতি রয়েছে, প্যাভিলিয়ন তা মেটানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেই তাঁর বিশ্বাস। আহমেদ সাজ্জাদুল আলমও মনে করেন, বাংলাদেশে ক্রীড়া বিষয়ক লেখালেখিতে যে শূন্যতা অনুভূত হচ্ছে, তা প্যাভিলিয়নের তরুণদের হাত ধরেই ঘুচবে।
প্যাভিলিয়নের ফিচারভিত্তিক এই বইয়ে জায়গা পেয়েছে একাল-সেকাল মিলিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের বিশেষ কিছু মুহূর্ত। উঠে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় ঊষার আলো, জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের মহারথীরাও। বাদ যায়নি ফুটবলও। লেস্টার সিটি, আইসল্যান্ডের রূপকথা থেকে শ্যাপেকোইন্সে ট্রাজেডি বা ইয়োহান ক্রুইফের চিরবিদায়ের অশ্রু- জায়গা পেয়েছে সবই। প্যাভিলিয়নের বিশ্বাস, গত পাঁচ বছরের এই লেখাগুলো পাঠককে নিয়ে যাবে ক্রীড়াসাহিত্যের রূপকথার অঙ্গনে; যেখানে ক্রুইফ, মাশরাফিদের মাঝে ডুবে থাকবেন তারা। আর তা হলেই হয়ত সার্থক হবে ক্ষুদ্র এই প্রয়াস।