ইংলিশ যুবাদের বাংলাদেশের 'ক্লিন-সুইপ'
দ্বিতীয় যুব টেস্ট, চট্টগ্রাম
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ ৩৩৭ ও ২২৩/৮ ডিক্লে.
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ২২৮ ও ৩৩৩/৭
বাংলাদেশ অ-১৯ ৩ উইকেটে জয়ী ও সিরিজ ২-০তে জয়ী
মাহমুদুল হাসানের সেঞ্চুরি ও তৌহিদ হৃদয়ের ৭৬ রানের ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে দ্বিতীয় যুব টেস্টে ৩ উইকেটে হারিয়ে ২-০তে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। যুব টেস্টে একাধিক ম্যাচের প্রথম সিরিজ জয় এটি বাংলাদেশের। চট্টগ্রামে প্রথম যুব টেস্টে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জিতেছিল ৮ উইকেটে।
এ জয় দিয়ে এ সফরে ‘ক্লিন সুইপ’ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। এর আগে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০তে জেতার পর একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও জিতেছিল বাংলাদেশের যুবারা।
৩৩৩ রানের লক্ষ্যে শেষদিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৯ উইকেটে ২৯৯ রান। পারভেজ হোসেন ইমন আজ ফিরেছিলেন আগেভাগেই। তৃতীয় উইকেটে তানজিদ হাসান ও মাহমুদ যোগ করেছেন ৫৪ রান, সমানসংখ্যক বলে ৫১ রান করে তানজিদ আউট হওয়ার আগে। এই ইনিংসে তানজিদ মেরেছেন ছয়টি চার। বাংলাদেশ যুব দলকে এরপর অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে মাহমুদুলের সঙ্গে তৌহিদ হৃদয়ের ১৪২ রানের জুটি।
যুব টেস্টে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি
রনি তালুকদার ১০৭, বিপক্ষ পাকিস্তান, ২০০৭
অমিত মজুমদার, ১২৯, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০০৯
মেহেদি হাসান, ১০৫, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০১৩
মোসাদ্দেক হোসেন, ১০৭, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০১৩
জয়রাজ শেখ, ১০০*, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০১৫
মাহমুদুল হাসান, ১১৪, বিপক্ষ ইংল্যান্ড, ২০১৯
অ্যাডাম ফিঞ্চের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে হৃদয় করেছেন ১৪৫ বলে ৭৬, ছয় চার ও এক ছয়ে। অধিনায়ক আকবর আলি মাহমুদুলের সঙ্গে টিকে ছিলেন ১৯ রানের জন্য। তবে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে ৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদুলের ৪৪ রানের জুটি জয় প্রায় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের। ২২৪ বলে শেষ পর্যন্ত ১১৪ রান করে আউট হয়েছেন মাহমুদুল। ৩০৭ মিনিট ব্যাটিং করেছেন, মেরেছেন ১৩টি চার। যুব টেস্টে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস।
চতুর্থ ইনিংসে এটি সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরও। এর আগে গত বছর শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ এর বিপক্ষে ৩৫০ রানের লক্ষ্যে ২৭৬ রানেই থেমেছিল বাংলাদেশ।