টি-টোয়েন্টির রেকর্ড বইয়ে তোলপাড় তুললো আফগানিস্তান
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, দেরাদুন
আফগানিস্তান ২৭৮/৩, ২০ ওভার
আয়ারল্যান্ড ১৯৪/৬, ২০ ওভার
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েছে আফগানিস্তান। দেরাদুনে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের অপরাজিত ১৬২ ও উসমান গণির ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করে আফগানরা তুলেছে ৩ উইকেটে ২০ ওভারে ২৭৮ রান। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অস্ট্রেলিয়ার, পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তারা তুলেছিল ৩ উইকেটে ২৬৩ রান।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে জাজাই ও গণির ওপেনিং জুটিতেই উঠেছে ২৩৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনও উইকেটে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি, এর আগের সর্বোচ্চ ছিল অ্যারন ফিঞ্চ ও ডারসি শর্টের, গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওপেনিংয়েই এই জুটি গড়েছিলেন দুজন।
জাজাই তার ইনিংসে ১৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১৬টি ছয়। বাউন্ডারি থেকেই এসেছে ১৪০ রান, টি-টোয়েন্টিতে যেটি রেকর্ড। ছয়ের সংখ্যাতেও রেকর্ড গড়েছেন জাজাই, এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চসংখ্যক ছয় ছিল ফিঞ্চের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাউদাম্পটনে ২০১৩ সালে ১৫৬ রানের ইনিংসে তিনি মেরেছিলেন ১৪টি ছয়।
জাজাই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৪২ বলে, টি-টোয়েন্টিতে যা তৃতীয় দ্রুততম। তার ইনিংসে খেলেছেন ৬২ বল, সেঞ্চুরি ইনিংসে স্ট্রাইক রেটেও যা আছে তিনে। জাজাইয়ের ১৬২ রানের ইনিংস টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস, ১৭২ রান করে তার ওপরে আছেন ফিঞ্চ।
জাজাইদের থামাতে ৮ জন বোলার ব্যবহার করেছে আয়ারল্যান্ড, কমবেশি সবার ওপর দিয়েই গেছে ঝড়। সবচেয়ে ‘মিতব্যয়ী’ ছিলেন বয়েড র্যাঙ্কিন, ৪ ওভারে তিনিও গুণেছেন ৩৫ রান।
জবাবে শুরুটা দারুণ হয়েছিল আয়ারল্যান্ডেরও। পল স্টার্লিংয়ের ২৭ বলের ফিফটিতে তারা ১০০ ছাড়িয়েছিল ১০ ওভারেই। ওপেনিংয়ে নামা কেভিন ও’ব্রায়েন ২৫ বলে ৩৭ করে ফরিদ আহমেদের বলে ক্যাচ দিলে ভেঙেছে ১২৬ রানের জুটি। স্টার্লিং আয়ারল্যান্ডকে অসম্ভবের স্বপ্ন দেখিয়েছেন আরও কিছুক্ষণ, এরপরই তাদের বাস্তবে ফিরিয়ে এনেছেন যেন রশিদ খান।
এই লেগস্পিনার ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর ৫০ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ৯১ রান করে স্টার্লিং ক্যাচ দিয়েছেন মুজিব-উর-রেহমানের বলে। আয়ারল্যান্ড থেমেছে ১৯৪ রানে।
এ জয় দিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেছে আফগানিস্তানের, সিরিজের শেষ ম্যাচ একই ভেন্যুতে ২৪ ফেব্রুয়ারি।