• " />

     

    তামিমের কৌশলটা মনে রেখেছিলেন অধিনায়ক

    তামিমের কৌশলটা মনে রেখেছিলেন অধিনায়ক    

    এই হ্যামিল্টন তাঁকে সব সময়ই দুহাত ভরে দিয়েছে। এখানেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন, বিশ্বকাপেও এখানে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। এবার এখানে পেলেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসও। তারপরেও দলের ইনিংস পরাজয়টা বাঁচাতে পারলেন না, সংবাদ সম্মেলনে এসে তাই প্রথম ইনিংসের হতাশাটাই জানিয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।

     

     

    কদিন আগে কুশল মেন্ডিস আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস নিউজিল্যান্ডে এসে অবিশ্বাস্যভাবে বাঁচিয়ে ফেলেছিলেন ম্যাচ। মাহমুদউল্লাহ আর সৌম্য সরকারকে তার চেয়েও বেশি কিছু করতে হতো। শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি, আশা জাগিয়েও অলৌকিকের মৌমাছিটা ঘরে আটকে রাখতে পারেননি দুজন। মাহমুদউল্লাহ প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে অলআউট হওয়ার ব্যর্থতাকেই দুষলেন সে জন্য, ‘আমার মনে হয় প্রথম ইনিংসে আমরা মিস করেছি। ওই ইনিংসে আর কেউ যদি একটা বড় রান করতে পারত, তাহলে গল্পটা অন্যরকম হতে পারত। এই টেস্ট থেকে আমরা ব্যাটসম্যানদের জন্য ইতিবাচক বেশ কিছু দিক নিতে পেরেছি। তামিম অনেক ভালো ব্যাট করেছে, সৌম্যও ভালো করেছে।’

    বিশেষ করে সৌম্য সকালে যেমন শুরুটা এনে দিয়েছিলেন, সেটাই আলাদা করে বললেন অধিনায়ক, ‘আমার মনে হয় ওই সময়ে সৌম্যের উইকেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সৌম্য খুব সহজে ব্যাট করছিল, সুযোগগুলো সে-ই নিচ্ছিল। ধরেন, একটা বোলার ভালো বাউন্সার মারছে বা ভালো লাইন-লেংথে বল করছে। ওই সময় আপনি যদি ওভারে এক দুইটি বাউন্ডারি মারতে পারেন, চার-পাঁচ করে যদি আসতে থাকে তাহলে বোলারের 'হতাশা’ বেড়ে যায়। ওই কাজটা সৌম্য ভালো করছিল। আমার মনে হয় আমাদের জুটিটা ভালো হয়েছে।’

    কাল দুজনের জুটিটা হয়েছিল ৫০ রানের। আজ সেটি গিয়ে থামল ২৩৫ রানে। কিন্তু সকালে মাঠে নামার সময় কী চিন্তা করছিলেন দুজন? মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘আমি চিন্তা করছিলাম প্রথম ঘণ্টায় যেন উইকেট না দিই। কালকে আমরা ওই সময় যদি টিকে থাকতে পারি, তাহলে আজকে কিছু একটা হতে পারে। আমার মনে হয় ওরাও বেশকিছু পর্যায়ে ভালো বল করেছে। ওয়াগনার টানা ব্যাক অব দ্য লেংথে বাউন্সার মেরে যাচ্ছিল। বোল্ট ও সাউদি নতুন বলে সুইং করানোর চেষ্টা করছিল। এটাই ওদের আসল প্রক্রিয়া। নতুন বলে সুইং করানোর চেষ্টা করে, আর বল একটু পুরনো হয়ে গেলে বাউন্সার চেষ্টা করে। তো আমাদের একটা ধারণা হয়ে গেছে ওরা কীভাবে বল করে। পরের টেস্টে সেটা আমরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

    মাহমুদউলাহ আজ যেভাবে শর্ট বল সামলেছেন, সেটাও বড় কৃতিত্বের দাবি রাখে। সেজন্য ধন্যবাদ দিলেন সতীর্থ তামিমকে, ‘আমরা একটু সময় নিতে চেয়েছিলাম। ওরা একটু ক্লান্ত হলে আমরা আমাদের চান্স নিতে পারি। কালকে যেমন ওরা বাউন্সার চেষ্টা করেছে। তামিমের একটা পয়েন্ট মেনশন করতে চাই, ও খুব ভালো ব্যাট করেছে। একটা পর্যায়ে তামিমকে টানা বাউন্সার দিয়ে যাচ্ছিল ওয়াগনার। আমরা সবাই জানি, তামিম আমাদের মধ্যে পুল-হুক সবচেয়ে ভালো খেলে। কিন্তু ওই সময় ও ভালোভাবে টিকে গেছিল। আমিও ওই জিনিসটা মনে রাখার চেষ্টা করেছি যেন একই কাজ আমিও করতে পারি।’