• লা লিগা
  • " />

     

    জিদান, ইস্কোদের ফেরার দিনে জয় রিয়ালের

    জিদান, ইস্কোদের ফেরার দিনে জয় রিয়ালের    

    সান্তিয়াগো সোলারির অধীনে তাদের তিনজনকে যেন ভুলতেই বসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সোলারি ২০২১ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করায় রিয়াল ছাড়া সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল কেইলর নাভাস, ইস্কো এবং মার্সেলোর। বরখাস্ত হলেন সোলারি, ফিরলেন জিনেদিন জিদান। ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তীর প্রথম ম্যাচে মূল একাদশে ফিরলেন তিনজনই। জানান দিলেন নিজেদের সামর্থ্যের। নাভাস, ইস্কো, মার্সেলোর সঙ্গে জিদানের ফেরার ম্যাচে সেল্টা ভিগোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

    ফলাফল দেখে আপাতদৃষ্টিতে সহজ জয় মনে হলেও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধে বেশ ভুগতে হয়েছিল রিয়ালকে। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল সেল্টা ভিগোই। ১৬ মিনিটে পিওনে সিস্টোর ক্রসে ম্যাক্সি গোমেজের হেড দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন নাভাস। থিবো কর্তোয়ার বদলে তাকে নামানোর সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিয়েছেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক।

    গড়পড়তা এক প্রথমার্ধে রিয়ালের প্রথম সুযোগ এসেছে ২৭ মিনিটে। টনি ক্রুসের দূরপাল্লার শট চলে যায় গোলের সামান্য উপর দিয়ে। সুযোগ কম পেলেও প্রথমার্ধে লিডটা নিতে পারত রিয়ালই। ৩০ মিনিটে গ্যারেথ বেলের শট প্রতিহত হয় সেল্টা ভিগোর ক্রসবারে।

     

     

    রিয়ালকে লিড এনে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষদিকে হয়ত লাল কার্ডও পেতে পারতেন ওয়েলশ ফরোয়ার্ড। লুকা মদ্রিচের পাসে ডিবক্সে ঢোকার সময় ডেভিড কস্তাসের মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করে বসেন বেল। তবে লাল কার্ড নয়, বেলকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি।

    প্রথমার্ধের শেষদিকের মত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও বিতর্ক। ৫৬ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে লুকা মদ্রিচের শট জড়ায় সেল্টা ভিগোর জালে। প্রথমে গোলের বাঁশি দিলেও এরপর ‘ভিএআর’-এর শরণাপন্ন হন রেফারি। রিপ্লেতে দেখা যায়, অফসাইডে থেকে পরোক্ষভাবে খেলায় প্রভাব ফেলছিলেন রাফায়েল ভারান। বাতিল হয় গোল। তবে এজন্য খুব একটা ভুগতে হয়নি রিয়ালকে।

    ৬২ মিনিটে সেল্টা ভিগোর ৪ জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ-প্রান্তে বেনজেমাকে পাস বাড়ান আসেন্সিও। গোলের সামনে থেকে রিয়ালকে লিড এনে দেন ইস্কো। গোলের পর অবশ্য তাকে উঠিয়ে নেন জিদান। মাদ্রিদ সমর্থকেরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান তাকে, মুহূর্তেই ‘ইস্কো! ইস্কো!!’ চিৎকারে  মুখরিত হয় বার্নাব্যু।

     

     

    ৬৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ পেয়েছিলেন বেল। সেল্টা ভিগোর ৩ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পাস না ছেড়ে শটের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কপাল পোড়ে তাতেই। রুবেন ব্লাঙ্কোর দারুণ সেভে গোল পাওয়া হয়নি বেলের, উলটো স্বার্থপরতার কারণে শুনতে হয় বার্নাব্যুর দুয়ো। তবে শাপমোচনটা দারুণভাবেই করেছেন বেল।

     

     

    ইস্কোর মত সোলারির অধীনে বেশিরভাগ সময় বেঞ্চেই কাটাতে হয়েছিল মার্সেলোকে। জিদানের অধীনে নাভাস, ইস্কোর মত ফিরেই জ্বলে উঠলেন তিনি। ৭৮ মিনিটে তার পাস থেকেই গোল করেন বেল। মিনিট দশেক আগের দুয়ো পরিণত হয় হর্ষধ্বনিতে। সহজ জয়েই শুরু হল রিয়ালে জিদানের দ্বিতীয় অধ্যায়। ৩ পয়েন্ট, ক্লিনশীট, দলের মূল ফুটবলাররা ফর্মে- প্রথম ম্যাচে এর চেয়ে বেশি আর কিইবা চাইতে পারতেন তিনি।