• " />

     

    ভয় কাটিয়ে লিভারপুলের ফুলহাম জয়

    ভয় কাটিয়ে লিভারপুলের ফুলহাম জয়    

    একপ্রান্তে অ্যালিসন তখনও আফসোস ভুলতে পারেননি। ভার্জিল ভ্যান ডাইকের সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝিতে গোল হজম করে সমতায় ফিরেছিল ফুলহাম। লিভারপুলের শিরোপা যখন হাত ফসকে যেতে বসেছিল, তখনই অন্যপ্রান্তে ভুল করে বসলেন গোলরক্ষক সার্জিও রিকো। একটি নয় দুইটি, প্রথমে মোহাম্মদ সালাহর দুর্বল শট ঠেকাতে পারেননি, পরে রিবাউন্ডে গোল করতে যাওয়া সাদিও মানেকে ফাউল করে বসলেন। রেফারির পেনাল্টির বাঁশিতে স্বস্তি; জেমস মিলনার রিকোকে ভুলদিকে পাঠিয়ে বাকি কাজটা সারলেন। লিভারপুলের দম আটকে আসা মুহুর্তের সমাপ্তিও ঘটল তাতে। ক্রাভেন কটেজে ফুলহামকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে উঠেছে লিভারপুল। 

    এই মাসের ৩০ তারিখের আগে ম্যানচেস্টার সিটির আর কোনো ম্যাচ নেই লিগে। তাই সিটিজেনদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ২ পয়েন্টের লিডে শীর্ষে থেকে আন্তজার্তিক বিরতিতে যাচ্ছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।  



    পয়েন্ট তালিকার ১৯ নম্বরে থাকা ফুলহামের বিপক্ষে ম্যাচটা যে লিভারপুলের জন্য এতো কঠিন হবে সেটা প্রথমার্ধেও বোঝা যায়নি। ২৬ মিনিটে সাদিও মানের গোলে লিড নিয়েছিল অলরেডরা। রবার্তো ফিরমিনোর সঙ্গে ডিবক্সের বামপ্রান্ত দিয়ে দারুণ বোঝাপড়ার পর মানে চলে গিয়েছিলেন গোলের সামনে। আর সাম্প্রতিক সময়ে মানে মানেই তো গোল। এরপর ডান পায়ের শটে করেছেন লিগে নিজের ১৭ তম গোল। 

    প্রথমার্ধ পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করেছে লিভারপুল। ফুলহামকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে রক্ষণেই। দ্বিতীয়ার্ধেও গল্পটা মোটামুটি একইরকম ছিল। তবে স্বস্তির দ্বিতীয় গোলের জন্য লিভারপুলের আক্রমণে তেমন একটা তোড়-জোড় দেখা যায়নি। ৫৬ মিনিটে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের একটি হেড অল্পের জন্য লক্ষ্য মিস করে। আরও কাছে যান মানে, তবে এবার ফেরত আসেন খালি হাতে। কর্নার থেকে ৭২ মিনিটে তার হেড লাগে বারপোস্টে।  

    ফুলহাম অবশ্য  এর মধ্যে দুইবার কাউন্টার অ্যাটাকে ভীতি ছড়িয়েছিল লিভারপুলের রক্ষণে। তবে গোলটি তারা যখন পেল সেটা লিভারপুলেরই উপহার ছিল। সার্জিও রিকোর গোলকিক হেডে সামনে বাড়িয়েছিল ফুলহাম। জেমস মিলনার মাঠে নেমেছেন কেবল, তিনিও উড়িয়ে মারলেন সেই বল। ভার্জিল ভ্যান ডাইক আর অ্যালিসন গড়বড় পাকিয়ে ফেললেন সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে। রায়ান বাবেল দৌড়ে আসছিলেন, তিনিই বাকি কাজটা সেরেছেন ফাঁকা বারে। 

     

     

    সাবেক লিভারপুল ফরোয়ার্ডই যখন লিভারপুলের সর্বনাশের কারণ হতে বসেছিলেন, তখনই রিকো করে বসেন ওই ভুল। পরে ৮১ মিনিটে মিলনার স্পটকিক থেকে দলের ভাগ্য ফেরান। এরপর মানে, সালাহ, ওয়ানাইল্ডামরা ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ অবশ্য পেয়েছিলেন, কিন্তু জয়ের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেননি কেউই।