• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    গুডিসন পার্ক থেকে খালি হাতেই ফিরল চেলসি

    গুডিসন পার্ক থেকে খালি হাতেই ফিরল চেলসি    

    চেলসির বিপক্ষে নিজেদের শেষ ৫ ম্যাচে গোল করতে পারেনি এভারটন। গত সপ্তাহে ডায়নামো কিয়েভের বিপক্ষে ৫ গোল করা চেলসিই ছিল খোশ মেজাজে। তবে ইউরোপের আর প্রিমিয়ার লিগের চেলসির মধ্যে যেন আকাশ পাতাল পার্থক্য। গত সপ্তাহে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের সাথে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজেই ড্র করেছিল চেলসি। মৌসুমের শুরুর দিকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজেই চেলসিকে রুখে দিয়েছিল এভারটন। আর আজ গুডিসন পার্কে ২-০ গোলে হারিয়েই দিল তাদের। এভারটনের কাছে হেরে যাওয়ায় শীর্ষ চারে থাকার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে গেল চেলসির। 'ব্লুজ'দের কোচ হিসেবে ম্যাচের 'হাফসেঞ্চুরি'টাও স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না মরিজিও সারি। ২ বছর পর প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ছয়ের কোনও দলের বিপক্ষে প্রথমবার জিতল এভারটন।

    গুডিসন পার্কে ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিল চেলসি। ৮ মিনিটে ডিবক্সের প্রায় ২০ গজ দূর থেকে এডেন হ্যাজার্ডের চমৎকার বাঁকানো শট প্রতিহত হয় বারপোস্টে। মিনিটখানেক পরই গঞ্জালো হিগুয়াইনের শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন এভারটন ডিফেন্ডার মাইকেল কিন। ম্যাচের শুরুতেই চেলসির আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খাওয়া এভারটন অবশ্য সময়ের সাথে ঠিকই ফিরেছে ম্যাচে।

     

     

    তবে গোলের সুযোগের জন্য বেশ অপেক্ষাই করতে হয়েছে তাদের। ২৮ মিনিটে গিলফি সিগুর্ডসনের জোরাল শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। ৩৮ মিনিটে রিচার্লিসনের জোরাল প্রচেষ্টাও ফিরিয়েছেন কেপা। প্রথমার্ধের শেষদিকে এভারটনের জালে ঠিকই বল পাঠিয়েছিল চেলসি। কিন্তু ডেভিড লুইজের ফ্রিকিক থেকে পেদ্রো রদ্রিগেজ গোল করলেও অফসাইডে বাতিল হয় গোলটি। প্রথমার্ধে লিড নিতে না পারার চড়া মূল্যই দিতে হয়েছে সারির দলকে।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চেলসিকে চেপে ধরে এভারটন। আন্দ্রে গোমেজ এবং ডমিনিক কার্লভার্ট-লেউইনের দুটি শট দক্ষহাতে ফিরিয়ে দেন কেপা। তবে ৪৯ মিনিটে আর শেষরক্ষা হয়নি কেপার। কর্নার থেকে কালভার্ট-লেউইনের হেডও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক, কিন্তু গোলের সামনে থেকে ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি রিচার্লিসন। দ্বিতীয়ার্ধের বাকি গল্পটা শুধুই এভারটনের।

     

     

    মার্কো সিলভার দলের 'প্রেসিং' ফুটবলের সামনে রীতিমত অসহায় মনে হয়েছে চেলসিকে। হিগুয়াইন, হ্যাজার্ডসের খুঁজে পাওয়া যায়নি দ্বিতীয়ার্ধে। সুযোগটাও দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে 'টফিস'রা। অবশ্য এজন্য চেলসিকে ধন্যবাদ জানাতেই পারে এভারটন। ৭১ মিনিটে ডিবক্সে রিচার্লিসনকে ফাউল করে বসেন মার্কোস আলোনসো। এবারের গোলটাও এসেছে চেলসি রক্ষণভাগ ফিরতি বল ক্লিয়ার করতে না পারায়। ১২ গজ থেকে সিগুর্ডসনের পেনাল্টি কেপা ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ভুল করেননি আইসল্যান্ডের মিডফিল্ডার।

     

     

    গোলের আশায় ক্যালাম হাডসন-ওদোয়, অলিভিয়ের জিরু, রুবেন লফটাস-চিকদের নামিয়ে দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি চেলসির। 'ব্লুজ'দের বিপক্ষে নিজের শেষ ২ ম্যাচে ক্লিনশীট রেখেছিলেন এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড, আজ পূরণ করলেন ক্লিনশীটের 'হ্যাটট্রিক'। পিকফোর্ডদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণের দিন খালি হাতেই ফিরল চেলসি। সারির চাকরি ধরে রাখার অনিশ্চয়তাও হয়ত বেড়ে গেল কয়েকগুণ।