• " />

     

    আরও একবার মোহামেডানকে পাত্তাই দিল না আবাহনী

    আরও একবার মোহামেডানকে পাত্তাই দিল না আবাহনী    

    মোহামেডান ৫০ ওভারে ২৪৮/৭

    আবাহনী ৪৭.৩ ওভারে ২৫৪/৪

    ফলঃ আবাহনী ৬ উইকেটে জয়ী


    আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ এখন হয়ে গেছে পুরনো জমিদারবাড়ির শানশওকতের মতো, অতীতের কথা ভেবে শুধু আক্ষেপই করতে হয়। কয়েক বছর আগেও ঢাকা লিগে দুই দলের ম্যাচে কিছু দর্শক গ্যালারি উত্তপ্ত করে রাখতেন। আজ মার্চের তপ্ত দুপুরে গ্যালারির ফাঁকা সিটগুলোই শুধু দগ্ধ হলো, মাঠে হলো না শখানেক দর্শক। আর খেলাটাও হলো সেরকম ম্যাড়ম্যাড়ে, আরও একবার আবাহনীর কাছে পাত্তা পেল না মোহামেডান। ৬ উইকেটের জয়ে লিগে আবাহনী রইল সবার ওপরেই।

    মোহামেডান অবশ্য একটা লাইফলাইন পেয়েছিল ম্যাচে, নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর দলে যোগ দিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু শুরুটা সেরকম হয়নি মোটেই, স্কোরকার্ডে যখন ৪০ রান উঠল তখন ১২.২ ওভার। লিটন ৩৮ বলে ২৭ রান করে আউট হলেন। অন্য পাশে আবদুল মজিদ টেস্টই খেলছিলেন, ২৬ রান করতে লাগিয়ে ফেললেন ৬৭ বল। ৮৭ রানে যখন ২ উইকেট হারাল মোহামেডান, হয়ে গেছে ২৩.১ ওভার। ইরফান শুক্কুর অবশ্য ততক্ষণে থিতু, স্কোরকার্ডটা একটু সচল করার চেষ্টা করলেন অধিনায়ক রকিবুল হাসানকে নিয়ে। দুজন তৃতীয় উইকেটে ৬৮ রান যোগ করলেন ১৪.১ ওভার। ইরফান ৪৭ রান করে সাইফের বলে বোল্ড হলেও রকিবুল খেলছিলেন হাত খুলেই।

    শেষ ১০ ওভার এসেই একটু গা ঝাড়া দিয়ে উঠল মোহামেডান। রকিবুল ৫১ রান করে আউট হলেন, এরপর চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও সোহাগ গাজী ছোটখাটো একটা ঝড় শুরু করলেন। ডি সিলভা শুরুতেই মারলেন দারুণ একটা চার। তবে দুজন তোপটা চালিয়েছেন মাশরাফির ওপরেই বেশি, তিনটি ছয় খেয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। এর মধ্যে দুইটিই মেরেছেন গাজী। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি। ২০ বলে ২৭ রান করেছেন গাজী, ডি সিলভা আউট ২৪ বলে ৩২ রান করে। দুইটি উইকেটই নিয়েছেন সাইফ উদ্দিন। ২৬০ এর আশা জাগিয়েও মোহামেডানের রান তাই হলো ২৪৮ রান।

     

     

    মিরপুরের উইকেট দ্বিতীয় ভাগে এমনিতেই সহজ হয়ে আসে বেশ। জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিটাই জয় অনেকটা নিশ্চিত করে দিল। শুরুতেই দুজন ১০৫ রান তুলে ফেললেন ১৯.৫ ওভারে। ফিফটির আশা জাগিয়েও পারেননি সৌম্য, ৫৪ বলে ৪৩ রান করে বোল্ড হয়েছেন শাহাদাতের বলে। জহুরুল ও ওয়াসিম জাফর এরপর গড়েছেন ৬৯ রানের আরেকটি জুটি। শফিউলের দুর্দান্ত একটি বলে ফিরেছেন জাফর, ৪২ বলে ৩৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এর মধ্যে ১৬ রান করে এলবিডব্লু হয়েছেন শান্ত, তবে জহুরুল সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৯৬ রান করে শাহদাতের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন। ম্যাচের ফল নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই তখন। ২৩ বলে ১৮ রান করে মোসাদ্দেক ও ১৯ বলে ২১ রান করে সাব্বির জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।