• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    একদিনের জন্য ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম বর্জন সালাহ-পগবাদের

    একদিনের জন্য ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম বর্জন সালাহ-পগবাদের    

    ফেসবুকে হ্যাজার্ড, আগুয়েরোদের পেজে হয়তো লাইক দেওয়া আছে আপনার। টুইটারে স্টার্লিং-সালাহদের হয়তো অনুসরণ করেন। ইনস্টাগ্রামে পগবা, ওজিলদের পোস্ট চোখে পড়লে নিশ্চয় লাইকও দেন। তবে শুক্রবার থেকে ২৪ ঘন্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এঁদের কারোই পোস্ট দেখবেন না। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ২৪ ঘন্টার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বর্জন করেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়েরা। শুক্রবার ব্রিটিশ সময় সকাল নয়টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জারি থাকবে এই বর্জন।

    বেশ  কিছুদিন ধরেই ইউরোপিয়ান ফুটবলে বর্ণবাদের সেই পুরনো ক্ষত নতুন করে যন্ত্রণা দিতে শুরু করেছে। জুভেন্টাসের স্ট্রাইকার ময়জে কিনের অমনব উদযাপনের পর তো তোলপাড়ই হয়ে গিয়েছিল। ইতালিতে সমস্যা বেশি হলেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে অন্য দেশেও। গত মাসে মন্টেনেগ্রোতে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে গিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে টটেনহাম লেফটব্যাক ড্যানি রোজকে। গত সপ্তাহেই তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অ্যাশলে ইয়াং বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের পর অনলাইনে শুনেছেন বর্ণবাদী গালি। ওয়াটফোর্ডের ট্রয় ডিনি উলভসের বিপক্ষে এফএ কাপ সেমিফাইনালের পর ইনস্টাগ্রামে শুনেছেন গায়ের রঙ নিয়ে কটুক্তি। কদিন আগে মোহামেদ সালাহকে ‘বোমারু’ বলায় ইংলিশ লিগে টটেনহামের বিপক্ষে গোল করার পর অন্যরকম উদযাপনে জানিয়েছেন প্রতিবাদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইংল্যান্ডে পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন পিএফএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বর্জন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তাদের চলমান লড়াইয়ের একটা ধাপ।

     

     

    এর মধ্যে ফিফা জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের এই উদ্যোগে তারা সাথেই আছে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ জানিয়েছে, নিজেদের মাধ্যমে এই সমস্যা রুখতে তারা যেন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়। ফিফার নিজেদের ভূমিকাও এখানে কিছুটা বিতর্কিত। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে ২০১৬ সালে অ্যান্টি রেসিজম ইউনিটের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন আবার সেটি শুরুর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে।