• বিশ্বকাপের ক্ল্যাসিক মুহুর্ত
  • " />

     

    ১৯৯২ : কোণঠাসা বাঘের বিরানব্বই মিরাকল

    ১৯৯২ : কোণঠাসা বাঘের বিরানব্বই মিরাকল    

    দ্রুত দুই উইকেট যাওয়ার পর ইমরান খানের সঙ্গে যোগ দিলেন জাভেদ মিঁয়াদাদ। যদি বৈপরীত্যে ভরা ‘জুটি’র কথা বলা হয়, তাহলে এই দুজনের কথা আগেভাগেই আসবে। দুজন প্রতিনিধিত্ব করতেন পাকিস্তানের দুই মেরুর দুই জনগোষ্ঠিকে, দুজনের সংস্কৃতি ছিল আলাদা। দুজনের মাঝে ছিল একটা অলিখিত ‘প্রতিদ্বন্দিতা’, যেটা রূপ নিয়েছিল বৈরিতায়। 

    মিঁয়াদাদকে ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেই ফাইনাল খেলেছিলেন ডাক্তারের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে। ইমরানের চোট ছিল আগে থেকেই। কাঁধের চোট অগ্রাহ্য করে, পেইনকিলার নিয়ে খেলছিলেন তিনি। 

    প্রায় তিন সপ্তাহ আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল পাকিস্তান। আগের পাঁচ বছরের রেকর্ডে তারা ছিল দারুণ শক্তিশালি, জয়ের সংখ্যায় শুধু অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে পিছিয়ে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচগুলো দিয়েই শুরু হলো তাদের দুর্দশা। ইমরান খেলতে পারছেন না। মিঁয়াদাদকে চোটের অজুহাতে নেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য নিজের আত্মজীবনীতে তিনি পরে বলেছিলেন, ইমরানের সঙ্গে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই তাকে বাদ দেওয়া হচ্ছিল। তবে চোট ছাড়া ফর্মটাও কথা বলছিল না সে পর্যন্ত সবকটি বিশ্বকাপেই খেলা মিঁয়াদাদের হয়ে। 

    লাহোরে প্রস্তুতি ক্যাম্পেই চোট পাওয়ার পরও দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন ওয়াকার ইউনুস, তবে ফিরে আসতে হয়েছিল তাকে। তার চলে আসাটা এমনকি আঘাত করেছিল ইমরানকেও। আর যাকেই নেওয়া হোক না কেন, তিনি তো আর ওয়াকার নন। 

    বলা হয়, দেশে রাজনৈতিক যোগসূত্রের জোরে দলে জায়গা ফিরে পেয়েছিলেন মিঁয়াদাদ। হয়তো সেটার জবাব দিয়েছিলেন পাঁচটি ফিফটি করে, সেমিফাইনালের মতো যেমন করলেন ফাইনালেও। ইমরান করলেন ৭২। 

    শুরুটা তাদের ছিল অদ্ভুত শ্লথগতির, ইনিংসের মাঝপথেও ৭০-এর ঘর পেরিয়ে যাওয়া হয়নি পাকিস্তানের। মিঁয়াদাদের বিপক্ষে দুটি এলবিডব্লিউর আবেদন নাকচ করেছিলেন স্টিভ বাকনর, যেগুলো প্রায় আউট ছিল। ৯ রানে ইমরানের ক্যাচ ফেলেছেন গ্রাহাম গুচ। চোটের মতো ভাগ্যের দিক দিয়েও একই ছিলেন সেদিন ইমরান-মিঁয়াদাদ। 

    তাদের সেই জুটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল টুর্নামেন্টজুড়েই, পাকিস্তানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। ইমরান তিনে আসবেন, মিঁয়াদাদ তার পরিচিত চারে। একটা ভিত দেওয়া হবে এরপর আসা ইনজামাম, ওয়াসিম, মইনদের হাত খুলে খেলার জন্য।  


    **** 

     

    ইমরান বিশ্বকাপটা জিততে চেয়েছিলেন মায়ের নামে ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্যও। 

    তবে শুরুর দিকে সেটা অসম্ভব এক প্রত্যাশায় পরিণত হয়েছিল। প্রথম পাঁচ ম্যাচে পাকিস্তান ছিল বিধ্বস্ত। ব্যাটিং অর্ডারের ঠিক নেই, ইনজামাম ওপেনিংয়ে যান, ওয়ান-ডাউনে আসেন। ইজাজ আহমেদকে ব্যবহার করা হচ্ছিল প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে। টুর্নামেন্টে তিনি রানের চেয়ে বেশি ওভার করেছিলেন।  

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটা জয়, সঙ্গে ৭৪ রানে অল-আউট হয়েও বৃষ্টির কল্যাণে ইংল্যান্ডের সঙ্গে পাওয়া একটি পয়েন্ট। সব নেমে এলো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচে, যেটিতে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। ইমরান হাজির করলেন তার কোণঠাসা বাঘের থিওরি।

    টসের আগে একটা সাদা টি-শার্ট পরে ড্রেসিংরুমে এলেন তিনি, যে টি-শার্টের ওপর একটা বাঘের ছবি। তার দলের ক্রিকেটারদের তিনি চান কোণঠাসা বাঘের মতো খেলতে, কারণ কোণঠাসা বাঘের চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু নেই। চোখে-মুখে আত্মবিশ্বাস ঠিকরে পড়ছে তার, বিশ্বকাপটা জিততে চান। সেটার জন্য দরকার সেই ম্যাচে জেতা।



    তার সেই বক্তব্য শুনেই সবাই জিততে ঝাঁপিয়ে পড়লো, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমন নয়। মিঁয়াদাদ যেমন তার আত্মজীবনীতে সেদিন ইমরানের বক্তব্যের ব্যাপারে কিছুই উল্লেখ করেননি। একজন সিনিয়র ক্রিকেটার বলেছিলেন, ইমরান কী বলেছেন সেটা শোনেননি তিনি, কারণ পেছনে নুসরাত ফতেহ আলি খানের কাওয়ালি বাজছিল। আরেকজন দাবি করেছিলেন, এমন বক্তব্যের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। 

    তবে ইমরানের সে বক্তব্য বদলে দিয়েছিল তরুণদের। যেমন আকিব জাভেদ। ইমরানের বিশ্বাসটা সঞ্চারিত হয়েছিল তার মাঝে, তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন, তার চেয়ে মেধাবি ক্রিকেটার আর কেউ নেই। যদি ইমরান- বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার- এটা বিশ্বাস করতে পারেন যে তারা বিশ্বকাপ জিততে পারেন, তাহলে আকিবও বিশ্বাস করবেন। 

     

     

    সেই আকিব ফাইনালে নিলেন অ্যালেক স্টুয়ার্ট ও নেইল ফেয়ারব্রাদারের উইকেট। স্টুয়ার্টকে করা তার পারফেক্ট আউটসুইং হয়তো ইমরানের বলা সেই কথাটারই সাক্ষ্য দেয় সে মুহুর্তে। সঙ্গে বাউন্ডারি থেকে ছুটে এসে ধরলেন গ্রাহাম গুচের ক্যাচ। অথচ ফিল্ডিংয়ে আকিবের দুর্নাম ছিল হাস্যকর ভুল করার। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সে ম্যাচের আগের ইমরানের ওই বক্তব্য থেকে সেই টি-শার্ট পরে টস নামার পর খেলা শুরুর আগ পর্যন্ত ১৫ মিনিটই বদলে দিয়েছিল আকিবকে। হয়তো আজীবনের জন্যই। 

     

    **** 

    আব্দুল কাদির থেকে শুরু করে মুশতাক আহমেদ, ওয়ানডেতে ইমরান সবসময়ই ব্যবহার করে এসেছেন একজন লেগস্পিনার। তারা রান দিক, সমস্যা নেই। উইকেট পেলেই চললো। তবে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কেমন এলোমেলো হয়ে গেলেন মুশতাক, নিজের ওপর যেন কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাকে বাদ দিয়ে আরেক লেগস্পিনার ইকবাল সিকান্দারকে নেওয়া হয়েছিল। তবে ইমরান ভরসা হারাননি মুশতাকের ওপর থেকে। 

    পার্থের ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য বিখ্যাত ওয়াকায় নিজেকে ফিরে পেলেন মুশতাক। ৪১ রানে ৩ উইকেট। এরপর মেলবোর্নের ফাইনাল- মুশতাকের বোলিং ফিগার ওই একই, ১০ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট। গুচ, গ্রায়েম হিকের পর ডেরমট রিভ- সবাই তার শিকার। একটা করে উইকেট পান, আর ছুটতে থাকেন মুশতাক। যেন তাকে ধরার কেউ নেই। 

    মুশতাকের মতো অবস্থা শুরুতে ছিল ইনজামামেরও। দারুণ মেধাবি, তবে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না একেবারেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে অসুস্থ তিনি ইমরানকে গিয়ে বললেন, পরদিন খেলতে পারবেন না। ইমরানের সাফ কথা, “পাগল নাকি! ওসব না ভেবে কিভাবে খেলবে তার পরিকল্পনা করো।” আকিবদের মতো ইনজামামের বন্ধুকে দায়িত্ব দিলেন ইমরান, যাতে তারা বুঝান। 

    ইনজামাম খেললেন। ইডেন পার্কে জয়টা একরকম ছিনিয়ে নিলেন নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে। ফাইনালেও তার কাছ থেকে এমন একটা ঝড় আশা করছিল পাকিস্তান। ইনজামাম করলেন ৩৫ বলে ৪২। 

    **** 

    ওয়াসিম সে বিশ্বকাপের আগে মাঝারি মানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, একটা বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। ইমরানের অনেক বড় অস্ত্র। তবে দুইদিক থেকে দুটি নতুন বলে সুইংয়ে ঠিক যুত করতে পারছিলেন না। সঙ্গে ছিল এলোমেলো লাইন-লেংথ। ওয়াইড। নো। ওয়াসিম ছন্দের ধারেকাছেও ছিলেন না। 

    অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচের আগেই পত্রিকায় দেওয়া ইমরানের সাক্ষাতকারের শিরোনাম বদলে দিল ওয়াসিমকে- “ওয়াসিম নো বল (অতিরিক্ত) করে যাক, আমার আপত্তি নেই। যতক্ষণ না সে তার গতি ধরে রাখছে।” 

    অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২৮ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াসিম। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছিল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে, তবে তখনও তাদের সেমিফাইনালে যাওয়া নির্ভর করছে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে। সেটার দিকে তাকিয়ে ছিলেন পাকিস্তান খেলোয়াড়রা, তবে নির্ভার ওয়াসিম ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। এমনকি ফেরার পথে ট্যাক্সি-ড্রাইভারকে সই করা কাগজে দিনতারিখ দিয়ে লিখেছিলেন, পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতবে। 



    ফাইনালে ওয়াসিমের প্রথম কাজ ছিল ব্যাটিং। এর আগে ৭ ইনিংসে করেছিলেন ২৯ রান। তবে সেদিন কেমন নিজেকে উড়ো উড়ো লাগছিল ওয়াসিম, যেন তিনি মুক্ত হয়ে গেছেন। ব্যাটিংয়ে করলেন ১৮ বলে ৩৩। 

    বোলিংয়ে শুরুতে ওভার দ্য উইকেট থেকে ছন্দ পাচ্ছিলেন না, হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগছিল। এলেন রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে। প্রথমে গেলেন ইয়ান বোথাম। অ্যালেক স্টুয়ার্টের বিপক্ষে জোরালো আবেদন নাকচ করলেন আম্পায়ার, একটা কঠিন ক্যাচ ফেললেন মইন। 

    ফেয়ারব্রাদার-ল্যাম্বের জুটিটা জমছিল এরপর, আবার এলেন ওয়াসিম। এরপর সেই বিখ্যাত দুটি বল। প্রথমে ফিরলেন ল্যাম্ব, এরপর ক্রিস লুইস। ছন্দে থাকা ওয়াসিম পাকিস্তানের সামনে খুলে দিলেন স্বপ্নদুয়ারের বেশ বড় তালাটা। 

    **** 

    মিঁয়াদাদ ফাইনালে ফিল্ডিং করেননি অসুস্থতার কারণে। অবশ্য ইমরানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধা হয়ে উঠতে পারেনি ফাইনালে তার গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে। 

    আকিব তার কাজটা সেরে রেখেছেন। মুশতাক করেছেন। ওয়াসিম চলে গেছেন স্বপ্নদুয়ারে। 

    যিনি এই বিশ্বকাপ জেতার বিশ্বাসটা শুরু করেছিলেন, শেষটা হলো সেই ইমরানকে দিয়েই। রিচার্ড ইলিংওর্থের ক্যাচটা মিড-অনে নিলেন রমিজ রাজা, এরপর শুরু করলেন দুহাত তুলে দৌড়। কেউ লুটিয়ে পড়েছেন সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিতে। এরপর চলছে একে অপরকে জড়িয়ে ধরা। তবে ইমরানের সঙ্গে একটা দূরত্ব আছে তাদের, কড়া বাবার সঙ্গে ছেলেদের থাকে যেমন। তিনি দুহাতে তালি দিয়ে মুখে একটা হাসি এনে এরপর ব্যস্ত হয়েছেন নিজের চুল ঠিক করতে। 



    মিঁয়াদাদ ততক্ষণে ছুটে এসেছেন মাঠে, ডানহাতে পতাকা। ইমরানের সঙ্গে কেউ করমর্দন করে গেলেন, ফটোগ্রাফার গোছের একজন। এরপর ডানহাতে একটা একটা টোকা ইমরানের, কেউ ডাকছেন। ঘুরে দেখেন দুহাত মেলে আছেন মিঁয়াদাদ। 

    প্রথমে একটু বিস্ময়ের চোখে তাকিয়ে থাকলেন ইমরান। এরপর জড়িয়ে ধরলেন, বেশ জোরালো আলিঙ্গনে। ইমরানের সঙ্গে এমন আলিঙ্গনের অধিকার যেন শুধু তারই। মিঁয়াদাদ তার আত্মজীবনীতে বলেছিলেন, তাদের দুজনের মাঝে কী চলছিল, সেটা বর্ণনা করার মতো শব্দ নেই। 

    ভারতের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ বদলে দিয়েছিল তাদের গতিপথ। অস্ট্রেলিয়ার ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ আভাস দিয়েছিল তাদের আধিপত্যের। শ্রীলঙ্কা বড় দল হয়ে উঠেছিল ১৯৯৬ বিশ্বকাপ দিয়ে। আর ১৯৯২ বিশ্বকাপ পাকিস্তানকে দেখিয়েছিল, অনেক দলাদলির পরও ক্রিকেটে তাদের সামর্থ্য কী।

    সে বিশ্বকাপ আলিঙ্গনে জড়িয়েছিল ইমরান-মিঁয়াদাদকে। যাদের একজন পাকিস্তানকে কোণঠাসা বাঘের মিরাকলের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আরেকজন নিজের কাজটা করে গিয়েছিলেন। 

    ২৫ মার্চ, ১৯৯২ ছিল পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দিন। যেদিন পূর্ণতা পেয়েছিল মিরাকল। 

     

    এরপর কী ঘটেছিল- 
    ওয়াসিম পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এরপর ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে, পরেরটিতে পাকিস্তান গিয়েছিল ফাইনাল পর্যন্ত। আকিব তার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন ওয়াসিম-ওয়াকারের ছায়ায়। ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্কের জেরে টালমাটাল পাকিস্তানের ‘স্বচ্ছ’ একজন আকিবের ক্যারিয়ার শেষ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। মুশতাক আহমেদ খেলেছিলেন ২০০৩ সাল পর্যন্ত, এরপর বিভিন্ন দলে কোচিং করিয়েছেন। মিঁয়াদাদ ১৯৯৬ সালে রেকর্ড ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলে গিয়েছিলেন অবসরে, পরে পাকিস্তানের কোচ ও ডিরেক্টর জেনারেল হয়েছিলেন। তবে দুই ক্ষেত্রেই শেষটা মধুর হয়নি তার। 

    ইমরানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মেলবোর্নের ফাইনালই হয়ে আছে শেষ ম্যাচ। মায়ের নামে ক্যান্সার হাসপাতাল করেছিলেন, যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। 


    ওসমান সামিউদ্দিনের দ্য আনকোয়াইট ওয়ানস : আ ব্রিফ হিস্টোরি অফ পাকিস্তান ক্রিকেট অবলম্বনে