• লা লিগা
  • " />

     

    ঘটা করে রামোস জানালেন ক্লাব ছাড়ছেন না তিনি

    ঘটা করে রামোস জানালেন ক্লাব ছাড়ছেন না তিনি    

    মাত্র কয়েক ঘণ্টার নোটিশে আজ রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোস যখন সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন, তখন রিয়ালের অনেক সমর্থকেরই হয়তো দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। পুরো সপ্তাহ জুড়ে রামোসের রিয়াল ছাড়ার গুঞ্জনে সরগরম ছিল ইউরোপ। ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে দ্বন্দ্বের কারণেই রামোসের এমন সিদ্ধান্ত, শোনা যাচ্ছিল এমনটাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনে কথা উড়িয়ে দিয়ে রামোস জানিয়েছেন, রিয়ালেই থাকছেন তিনি।

    নিজের ডাকা সংবাদ সম্মেলনেই প্রায় ১৫ মিনিট দেরি করে এসেছিলেন রামোস। এসেই দূর করে দিলেন তার ক্লাব ছাড়াকে ঘিরে সৃষ্টি হওয়া দুশ্চিন্তার কালোমেঘ, ‘গত কয়েকদিন ধরেই আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কিছু শোনা যাচ্ছে। অনেকেই অনেক কিছু বলেছেন। তবে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, ক্লাবের সমর্থক বা বোর্ডের কারও সাথেই কখনও আমার কোনও প্রকার সমস্যা হয়নি। রিয়ালেই আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। এখনকার চুক্তিতে আমার আরও প্রায় ২ বছর বাকি আছে। আমি ২০২১-এর পরেও চুক্তি নবায়ন করে রিয়ালে থাকতে চাই। তবে সেটা অনেক দূরের হিসাব। তবে আমি নিশ্চিত করতে চাই, রিয়াল ছাড়ার গুঞ্জন সত্য নয় কোনওভাবেই।’

    যার সাথে এত দ্বন্দ্বের খবর রামোসের, সেই পেরেজের জন্যও রিয়াল অধিনায়কের কণ্ঠে ঝরল শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা, ‘আমি জানি না দ্বন্দ্বের খবর কারা কোত্থেকে জেনেছে। তার সাথে আমার কখনও সমস্যা হয়নি। আমাদের সম্পর্কটা পিতা-পুত্রের মত। উনি চান না আমি ক্লাব ছাড়ি, আমি নিজেও রিয়ালেই থাকতে চাই।’

    জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুলও রামোসকে দলে নিতে চায়- এমন গুঞ্জনের জবাবে রামোস বলেছেন, ‘আমি কখনোই রিয়ালের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী কোনও ক্লাবে যাব না, সেটা ইউরোপ হোক বা লা লিগাই হোক। প্রেসিডেন্টকে এ ব্যাপারে আগেও বলেছি আমি। আমার সতীর্থরাও চায় না আমি ক্লাব ছাড়ি। আশা করি আমার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনগুলো অবসান এখানেই। সপ্তাহ দুয়েক বাদে আমার বিয়ে, এরপর আগামী মৌসুম নিয়েই চিন্তা করতে চাই।’

     

     

    রিয়াল ছেড়ে চীনে যাচ্ছেন রামোস, শোনা গিয়েছিল এমনটাও। সে খবরের সত্যতা অবশ্য স্বীকার করেছেন রামোস নিজেই, ‘হ্যাঁ এটা সত্য যে চীন থেকে প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু সত্যি বলতে ঐ প্রস্তাব আমাকে কখনোই টানেনি। সমর্থক বা বোর্ড সদস্যরা আমাকে না চাইলে হয়তো চীনের ব্যাপারে ভেবে দেখতাম, কিন্তু সে বিষয়ে এখন আর কোনও চিন্তাই করছি না।’