• " />

     

    মৌসুমের প্রথম হারে উদযাপন পিছিয়ে গেল বসুন্ধরার

    মৌসুমের প্রথম হারে উদযাপন পিছিয়ে গেল বসুন্ধরার    

    হারতে কেমন লাগে সেটা বোধ হয় ভুলেই গিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। সিলেটে জিতলেই যখন শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত সে সময়ই ভুলে যাওয়া স্বাদটা বসুন্ধরাকে মনে করিয়ে দিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। মৌসুমের প্রথম হারে অপরাজিত হয়ে শিরোপা জেতার স্বপ্নতাও ভেঙে গেছে বসুন্ধরার, ১-০ গোলে হেরে গেছে তারা শেখ রাসেলের কাছে। আর একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে আবাহনী লিমিটেড ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে। তাই শিরোপা উপদযাপন আপাতত কিছুটা পিছিয়ে গেল বসুন্ধরার।

    ২১ ম্যাচ শেষে বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ৫৮ ও তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে আবাহনীর পয়েন্ট ৫৪। বাকি তিন ম্যাচের একটিতে জিতে গেলেই প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে বসুন্ধরার ক্লাবটি। বসুন্ধরার পরের ম্যাচ ঘরের মাঠ নীলফামারিতে, মোহামেডানের বিপক্ষে। তাই ঘরের মাঠেই শিরোপা উদযাপনের সুযোগ থাকছে তাদের। 

    টানা ১৪ ম্যাচ জিতে সিলেটে গিয়েছিল বসুন্ধরা। ৫২ মিনিটে আলিশের আজিজভের গোলে জয় পেয়েছে শেখ রাসেল। তাতে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে গেছে তারা। 

    আর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৩৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়েছিল আবাহনীও। বসুন্ধরা কিংস ফেরত আসতে না পারলেও আবাহনী এরপর দারুণভাবে ফিরেছে ম্যাচে। দুই পেনাল্টিতে কপাল খুলেছে আবাহনীর।দ্বিতীয়ার্ধে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুইবার পেনাল্টি পেয়ে যায় ঘরের দল। ৫১ মিনিটে সানডে চিজোবা গোলরক্ষক সাইফুল ইসলামকে ভুল দিকে পাঠিয়ে গোল করেন। 

    ঝামেলার শুরু দুই মিনিট পর। রেফারি আরও একবার পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন আবাহনীর পক্ষে। সেটাই নিয়েই সাইফের ডিবক্সের মাথায় রেফারিকে ঘিরে ধরেছিলেন খেলোয়াড়েরা। আরও কিছুক্ষণ পর জটলার ভেতর এসে মাসিহ সাইঘানি আসাদুজ্জামান বাবলুকে ফেলে দেন। সাইঘানির উদ্দেশ্য কি ছিল সেটা আন্দাজ করা অবশ্য কঠিন, তবে বাবলু সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন তাতে সন্দেহ নেই। 

    পরে নতুন করে ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। বাইসেঙ্গে তেড়েফুঁড়ে একসময় সাইঘানির দিকে দৌড় দেন আবাহনীর অর্ধে। পরে রেফারি সাইঘানি ও বাইসেঙ্গে দুইজনকেই লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। প্রায় মিনিট দশেক খেলা বন্ধ থাকার পর এরপর নাবিব নেওয়াজ স্পটকিক থেকে টপ রাইট কর্নারে বল জড়িয়ে এগিয়ে নেন আবাহনীকে।  

    ৬৫ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ভলিতে গোল করে সাইফকে আবারও চমকে দেন সানডে। লিগের সর্বোচ্চ  নিজের গোল নিয়ে গেছেন ১৯ এ। আর ম্যাচশেষের ১০ মিনিট বাকি থাকতে মামুনুল ইসলাম গোল করেছেন সরাসরি কর্নার কিক থেকে। তাতে হতাশা আরও বেড়েছে সাইফের।