আবারও লিড হারিয়ে লেস্টারে কপাল পুড়ল টটেনহামের
প্রিমিয়ার লিগ
ফলাফল লেস্টার সিটি ২-১ টটেনহাম
২০১৯-২০ মৌসুমে গোল খাওয়া এবং লিড হারানোকে যেন রুটিনই বানিয়ে ফেলেছে টটেনহাম হটস্পার। নতুন মৌসুমে খেলা সাত ম্যাচে মাত্র একটি ক্লিনশীট রেখেছে মরিসিও পচেত্তিনোর দল। লেস্টার সিটির বিপক্ষে লিড নিয়েছিল স্পার্সই, কিন্তু আবারও প্রতিপক্ষের ঘুরে দাঁড়ানোয় কপাল পুড়ল পচেত্তিনোর দলের। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্রেন্ডন রজার্সের দলের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে স্পার্স। শেষ চার ম্যাচে তিনবার লিড হারিয়েছে স্পার্স।
নিজেদের মাঠে স্পার্সের বিপক্ষে লিড নিয়েছিল লেস্টারই। ১৫ মিনিটে ইয়ুরি তিয়েলেম্যান্সের শট ধরতে ব্যর্থ হন হুগো লরিসের স্থলাভিষিক্ত পাউলো গাজানিগা, গোলমুখে জটলা থেকে বল জালে পাঠান উইলফ্রেড এন'দিদি। কিন্তু ভিএআর-এর রিপ্লেতে দেখা যায়, গোলের সময় অফসাইডে ছিলেন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধে অবশ্য খেলার ধারার বিপরীতে ঠিকই লিড নেয় স্পার্স। ২৯ মিনিটে হিউঙ-মিন সনের চমৎকার ব্যাকহিলে ডিবক্সে বল পেয়ে যান হ্যারি কেইন। পেছন থেকে ডিফেন্ডার ক্যালিয়ার সোয়ুঞ্চুর চার্জে ডিবক্সে পড়ে গিয়েও ডানপায়ের শটে ক্যাসপার স্মেইকেলকে পরাস্ত করেন ইগ্লিশ স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধের 'ভিএআর'-এর এপিঠ দেখা স্পার্স দ্বিতীয়ার্ধে দেখেছে ওপিঠ। ৬৪ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে কেইনের পাস থেকে আগুনে শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাইটব্যাক সার্জ অরিয়ের। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, গোলের বিল্ড আপে লেস্টারের জনি ইভান্সকে ফাউল করেছিলেন সন; গোল বাতিল করেন ভিডিও রেফারি। এর মিনিট দুয়েক পরই সমতায় ফেরে লেস্টার। ৬৯ মিনিটে জেমি ভার্ডির ক্রস ক্লিয়ার করতে ভুল করেন স্পার্স ডিফেন্ডার টবি অল্ডারওয়েরেল্ড। ডিবক্সে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রাইটব্যাক রিকার্ডো পেরেইরা।
দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগের অভাব হয়নি কোনও দলেরই। ভার্ডি, কেইন দুজনই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন; কিন্তু গোল করতে পারেননি কেউই। তবে নাটক শেষ হয়নি তখনও। ৮৫ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত বাঁকানো শটে গাজানিগাকে পরাস্ত করেন জেমস ম্যাডিসন। লেস্টারের কাছে হেরে যাওয়ায় টেবিলের পাঁচ-এ নেমে গেছে টটেনহাম, দারুণ জয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে 'ফক্স'রা।