• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং : কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের কে কতো পাবেন?

    প্লেয়ার রেটিং : কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশের কে কতো পাবেন?    

    কাতারকে কাঁপিয়ে দিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কিন্তু জেমি ডের দল দেখিয়েছে ঘরের মাঠে যে কোনো দলের বিপক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য রাখে তারা। বাংলাদেশ কোচ তাই ম্যাচ শেষে দলের সবাইকেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ঘোষণা করেছেন।

    কাতার  ও বাংলাদেশের পার্থক্য বিবেচনায় নিয়ে প্যাভিলিয়নের এই প্লেয়ার রেটিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন আপনার নম্বর।
     


    আশরাফুল ইসলাম রানা ৪/১০
    বাংলাদেশ গোলরক্ষককে এদিন বিস্ময়করভাবেই পরীক্ষায় পড়তে হয়েছে কম। যে দুইটি গোল হজম করেছেন তাতে তাকে দোষ দেওয়াও কঠিন। প্রথম গোলে গোলকিপিংয়ের প্রথম সূত্র অনুযায়ী  কাছের পোস্ট পাহারায় রেখেছিলেন। ইউসুফ শট করেছিলেন অন্য পোস্টে। রানার কিছুই করার ছিল না তাই।

    তবে রানা ভুল করেছেন ম্যাচের শেষদিকে গিয়ে। এক গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে বাংলাদেশ যখন সমতায় ফেরার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল তখন বল ছাড়তে দেরি করছিলেন তিনি। তাতে কাতার রক্ষণ গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছিল, আর ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করে এগিয়ে যাচ্ছিল ৯০ মিনিটের দিকে।


    রায়হান হাসান ৬/১০

     

    জেমি ডের অধীনে বিশ্বনাথ ঘোষ এতোদিন লম্বা থ্রো নিতেন। রায়হান স্কোয়াডেই ছিলেন না, পরে ডাক পেয়েছেন টুটুল হোসেন বাদশা ইনজুরি পড়ায়। ভুটানের বিপক্ষে বদলি হয়ে মাঠে নেমে নিজেকে প্রমাণ করে কাতারের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে গেছেন একাদশে। লম্বা থ্রো এদিন তিনিই নিয়েছেন। বারবার কাতার রক্ষণকে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছে তাই। দুর্দান্ত সব থ্রো নিয়েছেন রায়হান।

    প্রথম গোলে অবশ্য দায় এড়াতে পারেননা তিনি। বক্সের ভেতর ডান পাশে কাতারের দুই ফুটবলার বিপক্ষে রায়হান একা পড়ে গিয়েছিলেন একা। এরপর অবশ্য প্রথমার্ধেই দারুণ এক ইন্টারসেপ্ট করে কাতারকে গোলবঞ্চিত করেছেন। 


    ইয়াসিন খান ৫/১০
    শেষ ম্যাচেই জোড়া গোল করার পর আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকার কথা ছিল। অথচ ৭০ মিনিটে কাতারের বক্সের মাথায় ফাঁকায় বল পেয়েও এদিন সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। রক্ষণে অবশ্য তরুণ রিয়াদুল হাসানের সঙ্গে জুটি গড়তে হয়েছিল তাকে। তার যা কাজ সেটা মোটামুটি ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছেন। রক্ষণে নেতৃত্ব দিয়ে কাতারকে আটকে রাখতে সাহায্য করছিলেন দলকে।


    রিয়াদুল হাসান ৬.৫/১০
    দেশের জার্সি গায়ে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন কাতারের বিপক্ষে। দৃষ্টিকটু কোনো ভুল করেননি রক্ষণে। জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ তাকে ভাবাই যায়। আক্রমণেও ভালো ছিলেন। ৪৩ মিনিটে অল্পের জন্য গোল পাননি। গোললাইন থেকে ক্লিয়ার হওয়া দুই শটের একটি ছিল রিয়াদের।


     রহমত মিয়া ৬/১০
    বাংলাদেশের দুই ফুলব্যাকই দারুণ খেলেছেন। বাকি ডিফেন্ডারদের তুলনায় তিনি অবশ্য আক্রমণে উঠেছেন কম। দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের ভেতর দূরের পোস্ট থেকে আত্মবিশ্বাসী এক ক্লিয়ারে কাতারের ভালো আক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়েছেন।


    জামাল ভূঁইয়া ৭.৫/১০
    বক্স টু বক্স মিডফিল্ডারের ভূমিকায় দুর্দান্ত এক ম্যাচ খেলেছেন জামাল। বাংলাদেশ অধিনায়ক দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন শুরু থেকেই। বাংলাদেশের শেষ চারটি ম্যাচে ছায়া হয়ে ছিলেন। বড় ম্যাচে জামাল নিজের কাজটা করেছেন ঠিকঠাক। মিডফিল্ডে বেশ কয়েকবার বল ছিনিয়ে নিয়েছেন কাতারের কাছ থেকে। গোলটাই শুধু পাওয়া হয়নি তার। ৭৪ মিনিটে তার বাম পায়ের শট কাতার ডিফেন্ডার হেডে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। নইলে জামালই হয়ে যেতেন ম্যাচের নায়ক।


    সোহেল রানা ৫/১০
    জাতীয় দলের হয়ে এদিন কিছুটা ভিন্ন ভূমিকায় ছিলেন সোহেল। মিডফিল্ডে কিছুটা ওপরের দিকে শুরু করেছিলেন। শুরুটা অবশ্য ভালো করেছিলেন। সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে গেছে সেটা।


    মোহাম্মদ ইব্রাহিম ৬/১০
    ২৫ মিনিটে আঁচ করতে পারেননি বলটা তার দিকেই আসছে। কাতার ডিফেন্ডারের ভুল থেকে নইলে বড় শাস্তি বুঝিয়ে দিতে পারতেন তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে সতীর্থ বিপলুকে ভালো একটি পাস বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু বিপলু হেলায় সুযোগ হারিয়েছেন।


    বিপলু আহমেদ ৫/১০
    দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া সুযোগে অন্তত অন টার্গেটে শট করা উচিত ছিল বিপলুর। নিজেও হয়ত হতাশ হবেন এমন সুযোগ হাতছাড়া করে।


    সাদ উদ্দিন ৪.৫/১০
    পুরো ম্যাচ খেটে খেলেছেন। শারীরিক সামর্থ্যের দিক দিয়ে সতীর্থদের চেয়ে কিছুটা এগিয়েও ছিলেন। তবে প্রথম গোলে দায় এড়াতে পারেননা। রায়হানকে রক্ষণের ডানদিকে সাহায্য করার কথা ছিল তার। মনোযোগ হারিয়েছেন, দলও গোল খেয়েছে। বিশেষ করে ক্লাবের হয়ে রাইটব্যাকে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় আফসোস আরও বেশি হওয়ার কথা সাদের।


    নাবিব নেওয়াজ জীবন ৫/১০
    জীবনের খেলায় পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট। কাতারের বিপক্ষে নিঃসঙ্গ থাকার কথা ছিল। কিন্তু সে তুলনায় বেশ কয়েকবার বলের দেখা পেয়েছেন।


    বদলি



    মাহবুবুর রহমান সুফিল ৭/১০

     

    জীবনের বদলি হয়ে নেমেছিলেন। মাঠে ছিলেন ২০ মিনিট। তাতেই নিজের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন সুফিল। ডানদিক দিয়ে জামালকে দেওয়া ক্রসটা তারই করা ছিল। কাতারকে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ডান প্রান্তে ভালো জায়গায় গিয়ে ক্রস করেছিলেন সেসময়। এর কিছুক্ষণ সুফিল নিজেও গোল করতে পারতেন। আলমোয়েজ আলিকে দারুণ এক টার্নে ছিটকেও ফেলেছিলেন কাতারের বক্সের ভেতর। কিন্তু তার নেওয়া শট আটকে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক।