মাঠে দর্শক টানতে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে একমত সৌরভ-কোহলি
সেই ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে দিবা রাত্রির টেস্ট। প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো গোলাপি বলের টেস্ট খেলা হয়নি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ভারতের। গত সপ্তাহেই বিসিসিআইয়ের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়া সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, তিনি ও ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি দুইজনই এখন দিবারাত্রির টেস্ট খেলার পক্ষে। খুব তাড়াতাড়িই গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে দেখা যেতে পারেন কোহলিদের।
বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর মুম্বাইয়ে কোহলির সাথে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেছিলেন সৌরভ। গতকাল বেঙ্গল ক্রিকেট এসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে সৌরভ জানান, কোহলিও তার মতো দিবারাত্রির টেস্টের ব্যাপারে আগ্রহী, ‘আমরা সবাই দিবারাত্রির টেস্টের ব্যাপারে ভাবছি। এটা নিয়ে কিছু পরিকল্পনাও আছে। আমি গোলাপি বলের টেস্ট খেলার পক্ষে। কোহলিও এটার সাথে একমত। অনেক রিপোর্টে আমি পড়েছিলাম যে সে আসলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে চায় না। কিন্তু তার সাথে কথা বলার পর তো এমনটা মনে হয়নি। টেস্টকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া দরকার। দিবারাত্রির টেস্টই এটার অন্যতম বড় উপায়। মানুষ তাদের কাজ শেষ করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে আসবে। আমি জানি না কবে নাগাদ এটা হবে, কিন্তু এটা দ্রুতই হবে।’
বোর্ড প্রধান হিসেবে কোহলি-রোহিতদের সাথে সৌরভের প্রথম বৈঠক
নতুন টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান এখনো দিবারাত্রির টেস্ট খেলেনি। অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের মাঝে শুধু বাংলাদেশ ও ভারতই গোলাপি বলের টেস্টে মাঠে নামেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শেষে কোহলি বলেছিলেন, টেস্টকে আরও জনপ্রিয় করতে ভারতে শুধু পাঁচ ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করা হোক। শেষ দুই টেস্টে দর্শকখরা দেখেই এমনটা বলেছিলেন কোহলি।
সৌরভ মানছেন, দিবারাত্রির টেস্ট দর্শকখরার এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন, ‘ক্রিকেটের পরিবর্তন দরকার। কে ভেবেছিল টি-টোয়েন্টি এতোটা প্রভাব ফেলবে? আমাদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও এই ফরম্যাট শুরুর সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল। কেউ এখন স্কুল ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট খেলা দেখতে পারে না। জীবনটা অনেক বদলে গেছে। সবাইকে কাজের পরই মাঠে আনতে হবে।’