• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    দিল্লীর বায়ুদূষণে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে সংশয়

    দিল্লীর বায়ুদূষণে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে সংশয়    

    দুই বছর আগে দিল্লীর ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলংকা ম্যাচে মাস্ক পরে খেলতে বাধ্য হয়েছিলেন শ্রীলংকান ক্রিকেটাররা। বাতাসের অতিরিক্ত দূষণের কারণে অনেক লঙ্কান ক্রিকেটার মাঠে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। এবার ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচকে ঘিরেও জেগেছে একই আশংকা। দীপাবলির পর অতিরিক্ত বায়ুদূষণে ৩ নভেম্বর দিল্লীতে হতে যাওয়া ম্যাচটি আদৌ ঠিকভাবে হতে পারবে কিনা, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে উঠেছে এমন প্রশ্ন। 

    গত কয়েক বছর ধরে আশংকাজনক হারে বেড়েছে দিল্লীর বায়ুদূষণের মাত্রা। গতকালও দিল্লীর বাতাসে প্রচুর পরিমাণ দুষিত পদার্থ ছিল। সকাল নয়টায় কোয়ালিটি ইনডেক্স(বায়ুদূষণের পরিমাণ মাপার একক) ছিল ৩১৩। দুপুর ২.৩০ মিনিটে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪১ এ। সাধারণত এই মাত্রাটা ১ থেকে ১০০ এর মাঝে থাকলে সেটাকে স্বাভাবিক ধরা হয়। ৩০০ থেকে ৪০০ এর মাঝে থাকলে সেটা ধরা হয় খারাপ, ৪০০ এর ওপরে থাকলে সেটা খুব বেশি খারাপ। 

    শ্রীলংকার মতো মাস্ক পরতে হবে বাংলাদেশকেও? 

     

    এই দূষণের সাথে যোগ হতে যাচ্ছে দীপাবলির উৎসব। পুরো ভারতজুড়েই এই রাতে নানা ধরনের আতশবাজি ছোড়া হয়, এতে দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। গতবার দীপাবলির পর দিল্লীর কোয়ালিটি ইনডেক্স দাঁড়িয়েছিল ৬০০ তে! দীপাবলির ঠিক পরপরই দিল্লীতে হবে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এমন দূষণের মাঝে কি ক্রিকেটাররা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারবেন? নাকি শ্রীলংকার ক্রিকেটারদের মতো অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে? 

    টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে অবশ্য বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা আশ্বস্ত করেছেন, মাঠে কোনো ক্রিকেটারের খুব বেশি সমস্যা হবে না, ‘আমরা জানি দীপাবলির পর দিল্লীর বায়ুদূষণ কেমন হয়। তবে ম্যাচটি যেহেতু দীপাবলির এক সপ্তাহ পড়ে, তাই আমরা আশা করছি ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। তাদের মাস্ক পরেও খেলতে হবে না।’ 

    শ্রীলংকান ক্রিকেটারদের ঐ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পড়েও দীপাবলির সময়ে দিল্লীতে কেনো ম্যাচ ফেলা হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে ঐ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের যেন যাতায়াতের সুবিধা হয় সেভাবেই সূচি সাজানো হয়েছে, ‘সূচিটা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন বাংলাদেশ সরাসরি দিল্লীতে আসে ও কলকাতা দিয়ে দেশ ছাড়ে। দিল্লী দিয়ে শুরু হবে, এরপর নাগপুর, রাজকোট, ইন্দোর দিয়ে কলকাতায় টেস্ট হয়েই সিরিজ শেষ হবে।’