• সাকিবের নিষেধাজ্ঞা
  • " />

     

    "বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃখের দিন"

    "বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃখের দিন"    

    ২০০৭, চট্টগ্রাম। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক সাকিব আল হাসানের। সে দলের অধিনায়ক ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। ২০১৯, মিরপুর। সেই বাশার এখন নির্বাচক, ভারত সফরের টেস্ট দল ঘোষণা করার সময় দাঁড়িয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনের পাশে। হয়তো এ দলেও সাকিবকে অধিনায়ক করেই দল ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল বাশারদের। তবে উলটো তাদেরকে প্রতিক্রিয়া জানাতে হলো সাকিবকে নিয়ে, আগামী এক বছর তাকে না পাওয়া নিয়ে। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধি কমিশনকে অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য জানাতে ব্যর্থ সাকিব পেয়েছেন এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। নিজের ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃখের দিন হিসেবে এটিকে বলছেন বাশার।

    সাকিবের অনুপস্থিতিতে নতুন টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছে মুমিনুল হককে। শুধু অধিনায়ক নয়, দলের অন্যতম সেরা বোলার ও ব্যাটসম্যানকেও বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে সাকিবের নিষেধাজ্ঞায়। মিনহাজুল বলছেন, সাকিবের শূন্যতাটা বেশ বড় হবে, “সে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অবশ্যই তার অভাব পূর্ণ করতে হবে। দেশের জন্য ক্ষতি। একজন সেরা ক্রিকেটারকে পাব না।”

    তবে মিনহাজুল আশাবাদি, পাইপলাইনের ক্রিকেটার দিয়ে সাকিবের মতো কাউকে তৈরি করতে পারবেন তারা, “আমাদের এইচপিতে অনেক ক্রিকেটার আছে। চেষ্টা করব, একজন ভাল ক্রিকেটার তৈরি করতে।”

    আকরাম খান আফসোস করছেন, ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ এক সফরে সাকিবকে না পাওয়াতে, “খুবই খারাপ লাগছে। অনেক দিন পর ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলছি, বিশ্বকাপে সে অসাধারণ ছিল। তাকে এখানে পাব না। খুবই খারাপ লাগছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ওর জন্য।”

    জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়ে সেটা যে সাকিব জানাননি, এবং এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে, সেটি নিয়ে কিছুই জানতো না বিসিবি। আকরাম বলছেন, সাকিবের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে আর কারও না হয়, “আমি চাই, এ ধরনের ভুল যাতে কেউ আর না করে। যারা খেলছে, তারা যাতে এ ভুলটা না করে। আর ও যে ধরনের, সে আরও দৃঢ়ভাবে ফিরে আসবে। অনেক দিন থেকে দেখে আসছি। ইনশাআল্লাহ আরও ভালভাবে ফিরে আসবে।”

    বাশারও একই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাকিবকে নিয়ে। তবে মনে করিয়ে দিয়েছেন, সাকিবের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কতো বড় ধাক্কা, “আমার ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃখের দিন। তবে সাকিবকে যেভাবে জানি, সে এক বছর পর অনেক দৃঢ়ভাবে ফিরে আসবে।”

    নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের পর খেলায় ফিরতে পারবেন সাকিব।