• বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে সিরিজ ২০১৬
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েড : চোট, অলরাউন্ডার আর সাব্বির

    ২২ গজের সেলুলয়েড : চোট, অলরাউন্ডার আর সাব্বির    

    ছবির পরে ছবি চলে নাকি তৈরী হয় সিনেমা। ক্রিকেট ম্যাচও তো তাই। টুকরো টুকরো অসংখ্য ছবি জন্ম নেয় যেখানে। ২২ গজ আর সবুজ ওই উদ্যানের ছবিগুলোকে যদি ধরা যেত সেলুলয়েডে! 

     

    পরিবর্তন আর পরীক্ষা

     

    অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরার বদলে টস করতে গেলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বিশ্রাম দেয়া হলো সিকান্দার রাজা ও লুক জঙ্গোয়ীকেও। সুযোগ পেলেন রিচমন্ড মুতুম্বামি, টাউরাই মুজারাবানি ও নেভিল মাদজিভা। সিরিজ শুরুর আগেই কোচ ডেভ হোয়াটমোর বলেছিলেন, এ সিরিজে তাঁরা কাউকেই ‘পানি বহন’ করতে নিয়ে আসেননি। ঘুরে-ফিরে সবাইকেই সুযোগ দেয়া হবে। সামনেই যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ! জিম্বাবুয়ের অধিনায়কও তাই বদলে গেল। তবে বাংলাদেশের পরিবর্তন নেই কোনো। পরিবর্তন শুধু অধিনায়ক মাশরাফির কথায়, ‘আমরা গত বছর চেজ করে অনেক ম্যাচ জিতেছি। আগে ব্যাটিং করে দেখতে চাই এবার।’

     

    একবার না পারিলে দেখো তিনবার

     

    নেভিল মাদজিভার বলে চেষ্টা করলেন প্রথমে, স্কুপ খেলার। মাদজিভাও কম যান না, তাঁকে অনুসরণ করে বল করলেন স্লোয়ার। সাব্বির শেষ মুহুর্তে স্কুপ থেকে বিরত থাকলেন, পারলেন শুধু কাভারে ঠেলে এক রান নিতে। ব্রায়ান ভিটোরিকে চেষ্টা করলেন, ভিটোরি দিলেন ইয়র্কার। মিস করলেন, তবে উইকেটকিপার ‘বদান্যতায়’ এলো একটি বাই। সেই ভিটোরিকেই শেষ পর্যন্ত স্কুপ করতে পারলেন সাব্বির, ১৭তম ওভারের শেষ বলে। পেলেন ফুলটস, ফাইন লেগ দিয়ে পাঠালেন বাউন্ডারিতে!

     

    অথবা চারবার!

     

    ইনিংসের শেষ ওভার। প্রথম বলটা কাটার, সাকিব স্লগ করতে গেলেন, পারলেন না। দ্বিতীয় বলটা ফুললেংথের, সাকিব আবার উড়িয়ে মারতে গেলেন, মিস করলেন আবার। তৃতীয় বলটা অফস্ট্যাম্পের একটু বাইরে, স্লোয়ার, সাকিব সরে গিয়েছিলেন আগেই, লক্ষ্য ওই বড় শট খেলাই! পারলেন না এবারও! চতুর্থ বলটাও ফুললেংথেই করলেন মুজারাবানি, তবে ঠিক ইয়র্কার হলো না। সাকিবের ব্যাটে লাগলো বল, মিড উইকেট ও লং অনের মাঝ দিয়ে ছয় এবার!

     

    চোট

     

    ডাবলসটা পূর্ণ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম, তবে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটটাও লেগেছে তখনই। উঠে গিয়েছেন, ফিল্ডিংয়েও নামেননি। চোটের ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময়ও। ইনিংসের শেষ ওভার করছিলেন মুস্তাফিজ, কাঁধে চোট পান তখনোই। ঝুঁকি নেননি, এক বল বাকী থাকতেই উঠে গিয়েছেন তিনিও। শেষ বলটা করেছেন সাব্বির, উইকেট সে বলেও!
    তবে আশংকা চোট নিয়েই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে কি ভোগাবে এ দুইটি চোট!

     

    ‘একমুখী’ শুভাগত!

     

    আগের ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগই পাননি, অধিনায়ক মাশরাফি বলেছিলেন, বোলার শুভাগতকে ব্যবহার না করে ‘ভুল’ই করেছিলেন। তাঁকে তাই ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়েছিল চার নম্বরে। আজ আবার ব্যাটিং পাননি, তবে মাশরাফি তাঁকে বোলিংয়ে এনেছেন প্রথম ওভারেই! শেন উইলিয়ামসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটাও নিয়েছেন শুভাগত। টি-টোয়েন্টি কি তবে দেখবে সেই ‘কাঙ্ক্ষিত’ অলরাউন্ডার শুভাগতকে!

     

    সাব্বির অলরাউন্ডার

     

    সাব্বিরের লেগস্পিনটা এবার ভালমতোই কাজে লাগানোর কথা ভাবতে পারে বাংলাদেশ। ৬ষ্ঠ বোলার হিসেবে তাঁকে এনেছিলেন মাশরাফি, বোলিং করেছেন ২.১ ওভার। তবে এরই মাঝে উইকেট কলামে তিন উইকেট তাঁর! তাও ১১ রান খরচায়। তার আগে ব্যাটিংয়ে করেছিলেন ৩০ বলে ৪৩, সাব্বিরের মাঝেই নতুন নিয়মিত ‘অলরাউন্ডার’ খুঁজে নিতে পারে বাংলাদেশ!