• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লেস্টারকে হারিয়ে দূরত্ব কমাল ম্যান সিটি

    লেস্টারকে হারিয়ে দূরত্ব কমাল ম্যান সিটি    

    ফুলটাইম
    ম্যানচেস্টার সিটি ৩-১ লেস্টার সিটি


    দুই দলের মানের পার্থক্য অনেক, কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে এবারের পয়েন্ট টেবিল সেটা বলছে না প্রায় এক মাস ধরে। ইতিহাদে দুই দলের ম্যাচের শুরুতেও সে কথা বলেনি। তবে মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির দাপুটে পারফরম্যান্স জানিয়ে রেখেছে শিরোপার সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও হাল ছাড়ছে না তারা। লেস্টার সিটিকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের উন্নতি হয়নি ম্যান সিটির। তবে লেস্টারের সঙ্গে দূরত্ব কমেছে। ফক্সদের সঙ্গে এখন ১ পয়েন্টের দূরত্ব সিটির। এর পরও শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ১১ পয়েন্টে পিছিয়ে তারা, সিটিজেনরা তাদের চেয়ে খেলেছে একটি ম্যাচ বেশিও।


    টানা দশ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ জিতে ইতিহাদে এসেছিল লেস্টার সিটি। ব্রেন্ডন রজার্সের দল এর আগে মৌসুমে হেরেছিল মাত্র দুই ম্যাচ। আর জেমি ভার্ডি ১৭ ম্যাচে করেছিলেন ১৬ গোল। চ্যাম্পয়িনদের মাঠে ২২ মিনিটে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নিয়ে শুরুতে দাপট দেখিয়েছিলেন ভার্ডিই। হার্ভি বার্নসের পাস থেকে সিটির ডিফেন্স লাইন ফাঁকি দিয়ে বক্সের ভেতর কোণায় ঢুকে পড়েন ইংলিশ স্ট্রাইকার। এডারসনও তার দিকে এগিয়ে আসছিলেন, সিটি গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে মারা ছাড়া উপায়ও ছিল না ভার্ডির। সেই কাজটাই নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছেন তিনি।

    লেস্টারের স্বপ্নের শুরুতে ৮ মিনিট পরই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ভার্ডির সাবেক সতীর্থ রিয়াদ মাহরেজ। ৩০ মিনিটে বাম দিক থেকে কাট করে বক্সের মাথা থেকে বাম পায়ে শট নেন সিটির আলজেরিয়ান মিডফিল্ডার। লেস্টার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে সেই বল ঢুকে যায় ক্যাস্পার স্মাইকেলের জালে। সমতায় ফেরে সিটিও। এর পর প্রথমার্ধের আগেই খানিকটা ভাগ্যের জোরেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় সিটি। রাহিম স্টার্লিংকে বক্সের ভেতর ট্যাকেল করেন পেরেইরা। অবশ্য সেই ট্যাকেল কতোখানি শক্তিশালী ছিল সেটা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। তবে রেফারির কাছে ওইটুকুই যথেষ্ট মনে হয়েছে। পেনাল্টি থেকে গোল করে সিটিকে এগিয়ে নেন ইলকে গুন্দোয়ান। 

    এগিয়ে যাওয়ার পর ডাগ আউটে পেপ গার্দিওলার উন্মত্ত উল্লাস বলে দিয়েছে জয়টা কতোখানি গুরুত্বপূর্ন সিটি তার কাছে। রদ্রিকে ছাড়া এদিন হোল্ডিং মিডফিল্ডারের ভূমিকায় মিডফিল্ডে গুন্দোয়ানকে খেলিয়েছিলেন গার্দিওলা। বের্নার্দো সিলভাও ফিরেছিলেন একাদশে। কিন্তু আগের ম্যাচে আর্সেনালের বিপক্ষে জয়ের নায়ক কেভি ডি ব্রুইন আরও একবার জয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছেন সিটিকে।

    ৬৯ মিনিটে লেস্টারের দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলে বক্সের ভেতর ডানদিকে ঢুকে যান ডি ব্রুইন। তার নিচু ক্রস দূরের পোস্টে একেবারে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। ওখান থেকে গোল করতে না পারলে সেটা বড় অস্বস্তির কারণ হত ব্রাজিলিয়ানের। বাম পায়ের টোকায় গোল করে সিটির জয়টা নিশ্চিত করে ফেলেন হেসুস।

    তৃতীয় গোলটি দরকারই ছিল সিটির। এর আগে মাহরেজও দারুণ দুইটি সুযোগ পেয়েছিলেন, একবার মেরেছিলেন বাইরে দিয়ে, আরেকবার স্মাইকেলের কাছে হার মেনেছিলেন। অন্যপ্রান্তে ভার্ডির ক্রস থেকে বার্নস গোলের সামনে থেকে পা ছোঁয়াতে পারলে সমতায় ফিরতে পারত লেস্টারও। ওই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরই তৃতীয় গোলটি খেয়ে বসে ব্রেন্ডন রজার্সের দল। জয়ের সঙ্গে সিটি সমর্থকেরা শেষদিকে পেয়েছে আরও বড় স্বস্তি। দেড় মাস পর সার্জিও আগুয়েরো ফিরেছিলেন ইনজুরি থেকে। শেষের কয়েক মিনিট খেলে জয়ের স্বাদটা পেয়েছেন আগুয়েরোও।