• আইপিএল ২০২৪
  • " />

     

    যেভাবে এই আইপিএলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন ব্যাটার নারাইন

    যেভাবে এই আইপিএলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন ব্যাটার নারাইন    

    বেশ কিছুদিন আগের কথা।

    ইডেনে গার্ডেনসে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংসটা কেবল অর্ধেক শেষ হয়েছে। এমন সময়ে টিভি ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিতে এলেন রয়্যালস ডিরেক্টর অব ক্রিকেট কুমার সাঙ্গাকারা। চলতি আইপিএলে বোলারদের দুরবস্থায় একটু সমবেদনা ঝরে পড়লো তাঁর কণ্ঠে, কোন টুর্নামেন্টে ব্যাটসম্যানদের এমন আধিপত্য যে ক্রিকেট ইতিহাসেই বিরল।

    ইডেন গার্ডেনসের সহস্র কলকাতা-সমর্থকের তাতে বয়েই গেল। সুনীল নারাইন তখন আগুন ঝরাচ্ছেন বাইশ গজে, কুলদীপ সেনের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলটাকে করলেন সীমানাছাড়া। টিভি ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে জিজ্ঞেস করেই বসলেন কুমার সাঙ্গাকারাকে, “এই নারাইনকে কীভাবে আটকাবে রাজস্থান?” “আশা করি সে নিজে থেকেই আউট হয়ে যাবে,” সাঙ্গাকারার রসিকতার সাথে একটু হতাশাও মিশ্রিত ছিল কি!

    রাজস্থানের বিপক্ষে দুর্দান্ত নারাইন; Image Source: Getty Images

    নারাইন যখন আউট হলেন, ততক্ষণে নিজের পাঁচ শতাধিক টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা চলে এসেছে। ইডেনের মাটিতে কেকেআরের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ডেও নিজের নামটা লিখিয়ে ফেলেছেন, সেটিও মাত্র ৪৯ বল, ছয় ছক্কা আর তেরো চারে।

    নারাইন আর ফিল সল্টের দুর্ধর্ষ ওপেনিং জুটিটাই ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে দিচ্ছে কলকাতাকে, তুলে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে। শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্মারক অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়েও ভালোভাবেই রয়েছেন নারাইন। বিরাট কোহলি আর রিশাভ পন্তের পর এই মুহূর্তে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাঁর। 

    তবে মুখ্য ভূমিকাটা বল হাতে থাকলেও, টি-টোয়েন্টিতে নারাইনের ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য এবং কার্যকারিতা এখন প্রশ্নাতীত। বিশেষত চলতি মৌসুমের প্রথম আট ইনিংসে ৪৪.৬২ গড় আর ১৮৪ স্ট্রাইক রেটে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করা নারাইনকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে চেয়েছিলেন অনেকেই। তবে এবারের আসরে এমন তাণ্ডবলীলা চালানো নারাইন গত কয়েক মৌসুমে ব্যাট হাতে ছিলন নিষ্প্রভ। গত তিন মৌসুমে ব্যাট হাতে করেছিলেন যথাক্রমে ৬২, ৭১ ও ২১ রান। ওপেনিংয়ে নিজের জায়গাটাও হারিয়েছিলেন এ সময়ে।

    সেই ওপেনার নারাইন আবার ফিরে এলেন।

    সকল তথ্য ২৫ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত; Image Source: ESPN Cricinfo

    এর কৃতিত্বটা নারাইন দিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের মেন্টর ও সাবেক অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে। 

    “জিজি (গৌতম গম্ভীর) আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন, আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমাকে সব ম্যাচে ওপেনিং করানোর আশ্বাস দিয়েছেন, বিনিময়ে চেয়েছেন তিন-চারটা ম্যাচে দারুণ শুরু।” 

    বলে রাখা ভালো, এই গৌতম গম্ভীরের অধিনায়কত্বেই ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো কেকেআরের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেছেন নারাইন। যদিও মূল আইডিয়াটা ছিল কেকেআরের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ সাইমন ক্যাটিচের। বিগব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে নারাইনকে ওপেনিং করতে দেখেই মূলত অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন ক্যাটিচ। তবে ২০১৬-১৭ বিগব্যাশে ওপেনিং করে খুব বেশি ভালো করতে পারেননি নারাইন, তিন ম্যাচে করতে পেরেছিলেন ৩৭ রান। তবে পর্যাপ্ত রান না পেলেও সম্ভাবনার আলোটা ঠিকই দেখতে পেয়েছিলেন ক্যাটিচ, পরের বছরের আইপিএলে তাই কেকেআরের ওপেনিংয়ে ক্রিস লিনের ওপেনিং সঙ্গীর নামটা সুনীল নারাইন।

    মেলবোর্নের হয়ে ওপেনিং করতে নামছেন অ্যারন ফিঞ্চ ও সুনীল নারাইন; Image Source: Getty Images

    “আমরা জানতাম, লিনকে আটকানোর জন্য শুরুতে স্পিন দিয়ে আক্রমণ করতে চাইবে দলগুলো,” ক্যাটিচ বলেন, “আমাদের মনে হয়েছি, এই চেষ্টাকে প্রতিপক্ষের ওপরই চাপ আকারে পাঠিয়ে দিতে, তাই আমরা বেছে নিই নারাইনকে। প্রথম দুই ওভারে নারাইন যদি আক্রমণ করতে পারে বোলারদের ওপরে, ততক্ষণে ক্রিজে সেট হয়ে যাবে লিন, পাওয়ারপ্লের শেষ দিকে চড়াও হওয়ার কাজটা তিনিই করবেন।”

    এই পরিকল্পনাটা কাজে দিয়েছিল দারুণভাবে। ওই মৌসুমেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৫৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রথম ৬ ওভারেই ১০৫ তুলে ফেলেছিলেন নারাইন-লিন, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ট্রাভিস হেড আর অভিষেক শর্মা কর্তৃক ১২৫ রান তোলার আগ পর্যন্ত সেটাই ছিল আইপিএল রেকর্ড।

    এটা মানতেই হবে, আইপিএলের চলতি মৌসুমে ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছেন। এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাই তো ভেঙেছে তিনবার, দুবার ভেঙেছে হেড-অভিষেকের হায়দরাবাদই। আর ওপেনিং জুটি হিসেবে এই হেড-অভিষেকের চেয়ে খুব পিছিয়ে নেই নারাইন-সল্ট। রাজস্থানের বিপক্ষের ম্যাচটাই ধরা যাক।  সুনীল নারাইনের বিপক্ষে দুই স্পিনার, যুজবেন্দ্র চাহাল আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন পরিকল্পনা করেই অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল করে যাচ্ছিলেন, যেন নারাইন সুবিধা করতে না পারেন। তবুও তাঁদের দুজনের বিপক্ষেই বেশ ভালো রান তুলেছেন নারাইন।

    কলকাতার স্বপ্নের শুরুটা সল্ট-নারাইনের ব্যাটেই; Image Source: Getty Images

    স্পিনাররা নারাইনের বিপক্ষে বল করার সময়ে লং অফ এবং লং অনকে অনেকটাই সোজাসুজি রেখেছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। চাহাল আর অশ্বিনের বিপক্ষে খেলা ২৮টা বলের মধ্যে পাঁচটা ছক্কা হাঁকিয়েছেন নারাইন, তুলেছেন মোট ৬৭ রান। অথচ এই ম্যাচের আগে, পুরো টুর্নামেন্টের মাঝের ওভারগুলোতে চাহাল মোটে হজম করেছিলেন পাঁচটা ছক্কা, আর অশ্বিন একটাও না। 

    তবে সল্ট-নারাইন জুটিকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর কৃতিত্বটা গৌতম গম্ভীরকে দিচ্ছেন সাইমন ক্যাটিচও।

    “খেলাটার যে বিবর্তন ঘটছে, এটা তারই প্রমাণ,” ক্যাটিচ বলেন, “বিশেষ করে এই বছরে দলগুলো খুবই আক্রমণাত্মক খেলছে, আর তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে কলকাতা এবং হায়দরাবাদের মতো দলগুলো। আমরা চাইছিলাম ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে। হ্যাঁ, এই প্রক্রিয়ায় আমরা কিছু উইকেট হারাতে পারি, কিন্তু বেশিরভা দিনই এটা কাজে দেবে। আর আমাদের এই শুরুর আগ্রাসনটা মিডল অর্ডারের ওপর থেকেও চাপ সরাবে।”

    রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে বলকে মোট উনিশবার বাউন্ডারির ওপারে পাঠিয়েছিলেন নারাইন, গড়েছিলেন আইপিএলের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড। সব মিলিয়ে মোট চব্বিশটা ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি, এই মৌসুমের আপাতত তৃতীয় সর্বোচ্চ।

    এই আইপিএলে নারাইনকে ওপেনিংয়ে ফিরিয়েছেন গৌতম গম্ভীর; Image Source: Getty Images

    কিন্তু ট্রিগার মুভমেন্ট খুব বেশি না থাকলেও কীভাবে শটে এত জোর পান নারাইন?

    উত্তরটা আছে নারাইনের সিপিএলের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের সাবেক হেড কোচ সাইমন ক্যাটিচের কাছেই, “আপনি ওর গ্রিপিংয়ের দিকে তাকান। দেখবেন যে সেটা বেশ ওপরের দিকে। অর্থাৎ শট খেলার সময়ে ব্যাটটা যেন সাইজে একটু বড় হয়ে যায় নারাইনের ক্ষেত্রে, ফলাফল একেকটা সজোর শট।”

    শর্ট বলে বেশ দুর্বলতা ছিল নারাইনের, প্রতিপক্ষের পেসাররাও এই ব্যাপারটাই খেয়াল করে বোলিং করতেন। শর্ট বলের বিপক্ষে নারাইনের স্ট্রাইক রেট মন্দ না হলেও গড়টা একটু কমই ছিল। ‘১৭তে ১১, ‘১৮তে ১৮, ‘১৯-এ ১৫.৬৬। কিন্তু এবারের আসরে সেই দুর্বলতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন নারাইন। নিজের প্রথম সাত ইনিংসে ৫৯টা শর্ট বলের মোকাবেলা করেছেন তিনি, ৪১ গড় আর প্রায় ১৩৯ স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন ৮২।

    নারাইনের ব্যাটিংয়ের আরেকটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো তাঁর অননুমেয়তা। পাওয়ারপ্লেতে বাউন্ডারিতে মাত্র দুজন ফিল্ডার রাখা যায়, আর সেই সুযোগটাই নিচ্ছেন নারাইন। শর্ট বল দিয়ে যে বোলার তাঁকে আক্রমণ করেই যাবেন, ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডার চলে এলে সেটাও আর সম্ভব হচ্ছে না। আর বোলার বল ছোঁড়ার আগে ক্রিজে নিজের জায়গায় নড়াচড়া করেন নারাইন, বোলারকে ভড়কে দিতে সেটাও যথেষ্ট। অফসাইড-লেগসাইড, মাঠের দুই অংশেই ব্যাটিং করতে সাবলীল নারাইন।

    ব্যাট হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন নারাইন; Image Source: Getty Images

    সাধারণত লেগ স্ট্যাম্পে গার্ড নেন নারাইন, ব্যাটটা খুব শক্ত করে আঁকড়ে ধরেন না। ব্যাকলিফট থাকে হাই। নিজের বটম হ্যান্ডকে ব্যবহার করার জন্য ডান কোমর ও ডান কাঁধটা একটু ডানদিকে সরিয়ে দাঁড়ান। তাতে পিচের দুপাশেই বল পাঠাতে সুবিধা হয় তাঁর, স্কয়ার লেগের পাশাপাশি ডিপ পয়েন্টের ওপর দিয়েও বল পাঠাতে পারেন সীমানার ওপারে। ক্যাটিচ যেমনটা বলছেন, নারাইনকে ঠেকাতে স্লোয়ারের ওপর ভরসা করতে শুরু করেছেন বোলাররা, আর বলটা ফেলতে চাইছেন অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরে।

    নারাইনও তাঁর খেলায় পরিবর্তন এনেছেন। বিশাখাপত্তনমে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৮৫ রান করার ম্যাচেযেমন, ইশান্ত শর্মা পয়েন্টের ফিল্ডারকে বাউন্ডারিতে ঠেলে ত্রিশ-গজি বৃত্তের ভেতরে এনেছিলেন মিড অফকে। নারাইনও ব্যাপারটা পড়তে পেরেছিলেন, পরের বলটা ওই মিড অফের মাথার ওপর দিয়ে খেলেই তুলেছিলেন চার রান।

    ওই ওভারেই স্কয়ার লেগ আর মিড উইকেটকে বাউন্ডারিতে রেখে ইশান্ত শর্মা চেয়েছিলেন ইয়র্কার করতে। কিন্তু ইয়র্কারটা পরিণত হয় অফ স্ট্যাম্পের বাইরের লো ফুলটসে, আর নারাইনও প্রায় এক হাতেই বলটাকে সীমানাছাড়া করেন পয়েন্ট আর শর্ট থার্ডম্যানের মাঝ দিয়ে। ১৫ বলে ৩৪ রানে পৌঁছে যান এই ক্যারিবিয়ান, কে বলবে যে ইনিংসের শুরুতেই তিনি খেলেছিলেন পাঁচটি ডট!

    “সুনীলের একটা ব্যপার অনেকের চোখ এড়িয়ে যায়, সেটা হলো ওর পরিশ্রম। অনেকের মতো সেও অনেক পরিশ্রম করে,” বিভিন্ন সময়ে নারাইনের বিপক্ষ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করা টম মুডি বলেন, “তাই প্রতিপক্ষকে দ্রুত ব্যাকফুটে ঠেলতে সে যা যা করে, সেটাকে কাকতালীয় বলার কোন সুযোগ নেই। এমন না যে ব্যাপারটা মাঠে হঠাৎ ঘটে যাচ্ছে। সুনীল এগুলোর প্রস্তুতি নিয়েই আসে।”

    “আমি জানি আমার একটাই দায়িত্ব। এর বেশি কিছু আমি মাথায় রাখতে চাই না,” ব্যাটসম্যানদের মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে নারাইনের বক্তব্য এমনটাই ছিল। মিটিংয়ে ম্যাচ-আপ নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে পুলের ধারে বসে থাকাটাই তাঁর কাছে নাকি অগ্রাধিকার পায়।

    সকল তথ্য ২৫ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত; Image Source: ESPN Cricinfo

    খুব বেশি চিন্তা করেন না বলেই হয়তো নিজের ব্যাটিংয়ে পুরো ফোকাস করতে পারেন নারাইন। পাঞ্জাবের সাথে ম্যাচের আগ পর্যন্ত এই আইপিএলের পাওয়ারপ্লেতে অন্তত ৪০ বল খেলা ওপেনারদের মধ্যে তাঁর শটে নিয়ন্ত্রণ ছিল সবচেয়ে কম, ৫১.৫৫ শতাংশ। তবে নিয়ন্ত্রণ কম থাকলেও ইন্টেন্ট দিয়ে সেটা পোষায়ে দেন নারাইন, পাওয়ারপ্লেতে অন্তত ৩০ বল খেলা ওপেনারদের মধ্যে শতাংশের হিসেবে তাঁর চেয়ে বেশি আগ্রাসন ছিল শুধুই ট্র্যাভিস হেডের ব্যাটে। রাজস্থানের বিপক্ষে তাঁর খেলা প্রথম ২৪ বলের মধ্যে ১৪টি ছিল ‘ফলস শট’, আউট হতে পারতেন যেকোন ক্ষেত্রেই। কিন্তু তবুও, ভাগ্যটাও তাঁর সাথে ছিল, কেননা ভাগ্য তো সাহসীদের সাথেই থাকে! 

    তবে কি নারাইন এখন পূর্ণাঙ্গ ব্যাটসম্যান?

    টম মুডি তেমনটা ভাবছেন না, “নারাইন একজন দারুণ বোলার, যে ব্যাটিংটাও পারে। আর এই ফরম্যাটে তার ব্যাটিংয়ের এই ধরণটাই সবচেয়ে বেশি কার্যকর ও বিধ্বংসী। এই ফরম্যাটে এখন ইমপ্যাক্ট-ইনিংসের কদর বেশি। দশ বলের একটা ইনিংস আপনাকে দারুণ একটা ফিনিশিং এনে দিতে পারে, বা পাওয়ারপ্লেতে ঝড়ো শুরু করে দিতে পারে।”

    নারাইনকে ওপেনিংয়ে আনার সিদ্ধান্তের প্রশংসা ঝরেছে ক্যাটিচের কণ্ঠেও, “নারাইন একজন গেম চেঞ্জার। আইপিএলে সে পরীক্ষিত, প্রমাণিত। অভিজ্ঞতার অভাব নেই তার, বুদ্ধিতেও সে সেরা। এমন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে তো সেরাটা চাইবেনই আপনি, চাইবেন যেন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এমনভাবে অবদান রাখতে পারে। তবেই না ম্যাচে আপনার জয়ের সুযোগ বাড়বে।”

    কলকাতা নাইট রাইডার্স সুনীল নারাইনের ওপর সেই আস্থা আর ভরসাটা রেখেছিল, আর তার প্রতিফলন তো পয়েন্ট টেবিল আর অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়েই স্পষ্ট!