• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    পাঁচ-এ উঠে এল ইউনাইটেড, স্পার্সকে বাঁচালেন এরিকসেন-কেইন

    পাঁচ-এ উঠে এল ইউনাইটেড, স্পার্সকে বাঁচালেন এরিকসেন-কেইন    

    ফুল-টাইম

    বার্নলি ০-২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

    নরউইচ সিটি ২-২ টটেনহাম হটস্পার


    মার্কাস রাশফোর্ড, অ্যান্থনি মার্শিয়ালের কারণেই গত সপ্তাহে ওল্ড ট্রাফোর্ডে পিছিয়ে পড়েও নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সপ্তাহ না পেরুতেই এবার আবারও ইউনাইটেডের দুই ফরোয়ার্ডে আরও এক সহজ জয় তুলে নিল ‘রেড ডেভিল’রা। বার্নলির মাঠ টার্ফ মুরে ২-০ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। ২০ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের ৫-এ আছে ওলে গানার সোলশারের দল। ইউনাইটেডের জয়ের দিনে পয়েন্ট হারিয়েছে হোসে মরিনহোর টটেনহাম হটস্পার। দু'বার পিছিয়ে পড়েও নরউইচ সিটির সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছে স্পার্স।

    এই মৌসুমে গোল করার চেয়েও ক্লিনশিট রাখা নিয়ে দারুণ ভুগতে হয়েছে ইউনাইটেডকে। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে গোল না খেয়ে মাঠ ছেড়েছিল সোলশারের দল। বার্নলির মাঠে তাই আর যাই হোক, ইউনাইটেডের গোল খাওয়ার পক্ষেই হয়তো বাজি ধরার লোকের সংখ্যা ছিল বেশি। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে পুরো ম্যাচ দুর্দান্ত খেলেছেন ইউনাইটেড ডিফেন্ডাররা। ম্যাগুয়ের-লিন্ডেলফের কারণে প্রথমার্ধে ডেভিড ডি গেয়ার গোলে একবারও শট নিতে পারেনি বার্নলি।

    শন ডাইশের দলের গোলমুখে নিষ্প্রভ থাকার সুযোগটা প্রথমার্ধের শেষদিকে নেয় ইউনাইটেড। চার্লি টেইলরের ভুলে বার্নলি গোলরক্ষক নিক পোপকে একা পেয়ে দলকে লিড এনে দেন মার্শিয়াল। প্রিমিয়ার লিগে ১৪ ম্যাচ এবং প্রায় ১০ মাস পর প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ক্লিনশিট নিয়ে ফিরল ইউনাইটেড। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ইউনাইটেড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বার্নলির জালে আবারও বল পাঠিয়েছিলেন মার্শিয়াল, কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় গোলটি। ব্যবধান দ্বিগুণ করতে না পারার চড়া মাশুলই দিতে হত সোলশারের দলকে, কিন্তু ফিল বার্ডসলির শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে যে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন ডি গেয়া।

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধে স্প্যানিশ গোলরক্ষকের মত দুর্দান্ত ছিলেন তরুণ লেফটব্যাক ব্রেন্ডন উইলিয়ামস। তার কারণেই নিজেদের ডানপ্রান্ত দিয়ে একেবারেই আক্রমণ গড়তে পারেনি বার্নলি। শেষ পর্যন্ত সমতায় ফিরতে না পারা বার্নলির কফিনে দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন রাশফোর্ড। প্রতি-আক্রমণে ড্যানিয়েল জেমসের পাস থেকে বার্নলি ডিবক্সে শট নিতে যেয়ে পড়ে যান তিনি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়েও বল জালে পাঠান ইংলিশ ফরোয়ার্ড। জয়ের চেয়েও হয়তো ক্লিনশিট নিয়েই সোলশারের উচ্ছ্বাস হবে বেশি।

    ইউনাইটেডের মত প্রতিপক্ষের মাঠে রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে টটেনহামকে। ক্যারো রোডে ম্যাচের শুরু থেকেই স্পার্স রক্ষণভাগকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল নরউইচ। স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণ সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছিল হোসে মরিনহোর দলকে। ১৮ মিনিটে লিডও নেয় নরউইচ। স্পার্স ডিফেন্ডার হুয়ান ফয়েথের ভুলে স্পার্স ডিবক্সে গোলরক্ষক পাউলো গাৎজানিগাকে একা পেয়ে দলকে লিড এনে দেন ভ্রানচিচ। মিনিট দশেক পর তার পাস থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণও করেছিল নরউইচ। কিন্তু কয়েক মিলিমিটারের জন্য অফসাইড থাকায় ভিডিও রেফারিতে বাতিল হয় টিমু পুকির গোল। খুব সম্ভবত এর আগে প্রিমিয়ার লিগে এতটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হয়নি ‘ভিএআর’-এ।

     

     

    প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজতেই ‘ক্যানারি’ সমর্থকদের জোর দুয়ো শুনে মাঠ ছাড়তে হয় রেফারি, লাইনসম্যান এবং ভিডিও রেফারিকে। প্রথমার্ধে রেফারিদের ওপর অসন্তুষ্ট নরউইচ সমর্থকরা রীতিমত ফুঁসে ওঠেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। হ্যারি কেইনের উদ্দেশ্যে লুকাস মউরার থ্রু পাস ম্যাক্স অ্যারনসের কাধে লাগলেও হ্যান্ডবলের বাঁশি দেন রেফারি। ফ্রি-কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। কিছুক্ষণ বাদে আবারও নরউইচের জালে বল পাঠিয়েছিল স্পার্স, কিন্তু অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় ড্যালে আলির গোল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আবারও লিড নিয়েছিল ড্যানিয়েল ফার্কের দল।

    ডিবক্সে স্পার্স ডিফেন্ডার টবি অল্ডারওয়েরেল্ডের ক্লিয়ারেন্স রাইটব্যাক সার্জ অরিয়েরের গায়ে লেগে গাৎজানিগাকে পরাস্ত করলে লিড পুনরুদ্ধার করে নরউইচ। তবে শেষ হাসি আর হাসা হয়নি তাদের। ৮২ মিনিটে ডিবক্সে কেইনকে ফাউল করে বসেন জিমারম্যান, পেনাল্টি পায় স্পার্স। প্রিমিয়ার লিগে নিজের ২০০তম ম্যাচে ১২ গজ থেকে গোল করতে ভুল করেননি ইংলিশ স্ট্রাইকার। পয়েন্ট হারিয়ে টেবিলের ৬-এ নেমে গেল স্পার্স, ২০ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৩০ পয়েন্ট।