• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    চেলসির ৪ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড আর্টেটার প্রথম জয়ের স্বপ্ন

    চেলসির ৪ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড আর্টেটার প্রথম জয়ের স্বপ্ন    

    ফুল-টাইম

    আর্সেনাল ১-২ চেলসি


    বোর্নমাউথের বিপক্ষে গত সপ্তাহের ড্রয়ে আর্সেনালের ম্যানেজার হিসেবে অভিষেক হয়েছিল মিকেল আর্টেটার। ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট তিনি। এভাবে খেললে জয় আসবেই বলে জানিয়েছিলেন আর্টেটা। চেলসির বিপক্ষে নিজের ‘হোম’ অভিষেকে সে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিলেন স্প্যানিশ ম্যানেজার। কিন্তু ৫ মিনিটের ঝড়ে জয়ের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল আর্সেনালের। ৮২ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও চেলসির কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে ‘গানার’রা। জয়হীন থাকার রেকর্ডটা ১২ থেকে ১৩-তে দাঁড়াল তাদের।

    এমিরেটসে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত হয়েছিল আর্সেনালের। প্রথম থেকেই দারুণ পাসিং ফুটবলে চেলসিকে চেপে ধরেছিল তারা। মেসুত ওজিল যেন ফিরে পেয়েছেন নিজেকে। দুই উইংয়ে রিষ নেলসন এবং পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াংয়ের গতির কাছে হিমশিম খেতে হয়েছে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দলকে। ১৩ মিনিটে আর্সেনালকে লিড এনে দিয়েছেন গ্যাবন স্ট্রাইকারই। ওজিলের কর্নারে ক্যলাম চেম্বার্স হেড করে পাস বাড়ান অবামেয়াংকে। মার্কার এন’গোলো কান্তেকে ছিটকে ফেলে চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগাকে পরাস্ত করেন তিনি।

    ওজিলের মত ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল চেম্বার্সের। ২৩ মিনিটে পায়ের পাতার ইনজুরিতে পড়েন চেম্বার্স, স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে প্রথমার্ধে আর্সেনালের আক্রমণভাগ ছিল দুর্দান্ত। ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষদিকে অবামেয়াংয়ের পাস থেকে আলেকজান্ডার লাকাজেত ডিবক্সে জায়গা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি। প্রথমার্ধে আর্সেনালের সামনে একেবারেই পাত্তা পায়নি চেলসি। তবে হাফটাইম টিমটকে দলকে অনুপ্রাণিত করেন ল্যাম্পার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে দেখা মেলে অন্য এক চেলসির, এবার তাদের আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন ডেভিড লুইজরা। দ্বিতীয়ার্ধে সময় যত গড়িয়েছে, আর্সেনালের আক্রমণভাগ রং হারিয়েছে তত।
     

     

     

    চেলসি চাপে ফেললেও রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে নিজেদের ভুক্তভোগী ভাবতেই পারে আর্সেনাল। ৫৫ মিনিটে লাকাজেতকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন জর্জিনহো। ৭৬ মিনিটে আর্সেনালের প্রতি-আক্রমণের সময় মাতেও গুয়েন্দুজিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার। কিন্তু কিছুটা বিস্ময়করভাবে জর্জিনহোকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাননি রেফারি, উল্টো প্রতিবাদের জন্য কার্ড দেখতে হয়েছে লাকাজেতকে। রেফারির এই সিদ্ধান্তে শেষদিকে পাশার দান গেছে পালটে, সমতায় ফেরে চেলসি। অবশ্য সেজন্য আর্সেনাল গোলরক্ষক বার্নড লেনোকে ধন্যবাদ দিতেই পারে ল্যাম্পার্ডের দল। ৮৩ মিনিটে বাঁ-প্রান্তে উইলিয়ানের ফ্রি-কিক ধরতে এসে ব্যর্থ হন লেনো। ফাঁকা পোস্টে আলতো টোকায় দলকে সমতায় ফেরান জর্জিনহো।

    লিড হারানোয় হতাশ হওয়া আর্সেনাল কিছুক্ষণ বাদে পিছিয়ে পড়ে চেলসির প্রতি-আক্রমণের কারণে। ৮৭ মিনিটে লাকাজেত বল হারালে দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণের সুযোগ পায় ‘ব্লুজ’রা। আর্সেনাল ডিবক্সের ডানপ্রান্ত থেকে উইলিয়ানের মাইনাস নিয়ন্ত্রণে এনে ডানপায়ের মাপা শটে প্রত্যাবর্তন পূরণ করেন  ট্যামি আব্রাহাম। দ্বিতীয়ার্ধের শেষে ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দিলেও সমতায় আর ফেরা হয়নি আর্সেনালের। আশা জাগিয়েও তাই খালি হাতেই ফিরলেন আর্টেটা। প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে ৪ নম্বরেই থাকল চেলসি, ২০ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৩৫ পয়েন্ট। আরও এক হতাশাজনক হারে টেবিলের ১২-তে নেমে গেছে আর্সেনাল। ২০ ম্যাচে ‘গানার’দের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট।,